6 o' बजकथfञ [ ६छज বনে আকশী হস্তে প্রবেশ করিল। আহারাস্তুে মহাদেবার মা আমাদের তিন পুরুষের গল্প আরম্ভ করিল—কখন পিতামহ মহাশয় তাহার ঘরের স্থখ ভাল বলিয়াছিলেন, কখন জ্যেষ্ঠতাত মহাশয় তার হাতের মুড়ি ভাজা বড় “লুণখর” বড় মিষ্ট কহিয়াছিলেন, কখন দেওয়ানজী তাহার গাছের আমড়া অতি মধুরাস্বল বলিয়া সুখ্যাতি করিয়াছিলেন এই সব অভ্যস্ত ছড়ার ন্যায় কহিল । আবার কাহার কাছে কয় গণ্ডা কড়ি বা কাপড় পুরস্কার পাইয়াছিল তাহাতেও ক্রটি করিল না, তাহার সঙ্গে সঙ্গে আমার নিকট ও আমার সঙ্গী বালকদের নিকট ও নিলমণি বাবুর নিকট কি কি সামগ্রী পাইবার হকদার তাহাও অগ্রে গাইয়া রাখিল । কথা শেষ হইলে ভৈরব কহিয়া উঠিল “তামুলী মাসির পনর আন। মিথ্যা।” তামুলী মাসি তাহার পিতাকে অভিশম্পাত দিয়া উত্তর দিল দোকানে দ্রব্য লইয়া মূল্য না দিয়া প্রস্থান করা অপেক্ষ এ গল্প ভাল। ভৈরব । যদি কবুব গল্প তবে কেন হয় অল্প । অামি ভাবিতেছি কতক্ষণ পথের শেষ হইবে । যাত্রা করিতে ব্যস্ত হইয়াছি, মহাদেবার মা কহিল এত ত্বরা করিবার আবশ্বক কি ? এই ঘাট পার হইলেই পাদরি সাহেবের গিরজার চুড়া দেখা যাইবে । তাহার সুপরামর্শে আমরা কর্ণপাত করিলাম না, বিলম্ব করিলে রাত্রি হইবে বুঝিয়া তাহার প্রাপ্য বস্ত্ৰ দিয়া যাত্রা করিলাম। এখন পথনিৰ্ম্মাতার গৌরব ক্রমে প্রকাশ পাইতে লাগিল— নূতন মাটীতে এক হস্ত পরিমাণ গভীর কর্দম। যেখানে মাটী নাই এক বুক জল, কোথাও জল এড়াইবার জন্য কণ্টকবনপরিপূর্ণ উচ্চ জাঙ্গাল দিয়া যাইতে হয়, কোথাও আবার শিবিকা বাহকগণের মস্তকোপরি উখিত হইয়৷ জলা উত্তীর্ণ হইতে হয়—কোথাও ক্ষুদ্র খাল । যে খালের সেতুর উপর এখন পথিক প্রথম শ্রেণীর শকটে কোমল শয্যাশায়ী হইয়া নিদ্রাবস্থায় বাষ্পীয়বানে বাহিত হন সেকালে তাহার উপর কোন বদান্য জনের সাহায্যে একটি বুড় শুষ্ক অশ্বখ বৃক্ষশাখা প্রপাত হইয়া শাকোর কার্য্য করিত। এখানে শিবিকা হইতে অবতীর্ণ হইয়া বৃক্ষশাখায় ভদ্র পথিকজনকে আরোহণ করিতে হুইত, গুড়ি পার হইয়া ক্ষুদ্র শাখা অবলম্বন করিয়া অপর পারে উত্তীর্ণ হইতে হইত। আবার কোথাও যেখানে বাদশাহী সড়কের পাকা পুলের দুই পার্শ্ব হইতে মৃত্তিকারাশি বস্তার লোতে বাহিত হইয়াছে সেস্থানে গ্রাম্য ডোঙ্গাতে চারিজন করিয়া পরপারে যাইতে হইত, ঐ নৌযানে চড়িয়া প্ৰাণ যথার্থই হাতে রাখিতে হইত। যান টলমল
