পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জটাধারীর রোজমামচ ծՆ4 ه به د: করিলেও আরোহিগণকে স্থির হইয়া থাকিতে হইবেক এই পণে চড়িতে হইত। এইরূপ একটি খাল পার হইতে হইতেই আমাদের এক বিপদ উপস্থিত, নিলমণির প্রিয় কপোতপিল্পর খসিয়া জলুে পড়িল আর ভাসিয়া গেল। নগরে উহা অপেক্ষা ভাল পায়রা পাওয়া যায় কহিয়া তাহাকে সকলে সাস্তুনা করিলাম । দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ রেইলওয়ে ষ্টেসন যে হর্গম পথে আমরা এই মাত্র ভ্রমণ করিতেছিলাম তথায় এক্ষণে ক্ষেত্রমধ্যে একটা সুন্দর সেতু গ্রস্থিত অতি ঋজু পথ দেখিতে পাওয়া যায়, দূর হইতে সেতুটির বড় শোভা, শত শত উন্নত খিলানের সুগোল পরিধিসূত্র আকাশপটে অঙ্কিত বোধ হইতেছে, সেই খিলানের গর্ভ দিয়া অপর দিকে বহুদূরে শ্বের্তীকাশ শস্তক্ষেত্রে সংমিলিত ; আবার সেতুপাশ্বে সুগঠিত স্তম্ভোপরি তাড়িতবার্তাবাহী তার লম্বমান —যেন ভূমণ্ডলের যজ্ঞোপবীত সুশোভিত । বাস্তবিক পাশ্চাত্য পথের তুরাবস্থার সহিত এই পথেৰ সৌন্দর্য্য ও সুবিধা আলোচনা করিয়া দেখিলে অনুভব হয় যেন স্বৰ্গারোহণের পথ । স্বৰ্গারোহণের পথ অতি দুর্গম। পথে বিপদ থাকুক বা না থাকুক দ্বারটি দুষমনের বাস। যমদূতের হাত অতিক্রম করিতে পারিলে সেই পথের পথিক হইতে পারা যায়, আবার শুনা যায় সেই দ্বারে সেই দূতগণের সাহায্যাৰ্থ ভয়ানক কাল নেপালী কুকুর বিদ্যমান ; যমালয়ের নিয়মানুসারে সকলকে দ্ৰংষ্টা বিস্তার পূৰ্ব্বক ভয়প্রদর্শন করানই তাহার প্রধান কাৰ্য্য, উদর পূরণের প্রধান উপায় । এই যমদ্বারের প্রতিরূপ মর্ত্যে রেইলওয়ে ষ্টেসন ঘর। ইতিপূৰ্ব্বে এই পথে একক চলিতে চলিতে যে সেতু দেখিতে পাই তাহার পাশে সত্বর একটি শুভ্র প্রাসাদ নয়নপথে পড়ে। এটি একটা গাড়ি থামিবার স্থান । “ষ্টেশন ঘর ।” তথায় পহুছিয়া দেখিলাম সে স্থানটি অতি সুন্দর, স্বল্পকাল মধ্যে সুরম্য কানন শোভিত মানববাসোপযোগী অট্টালিকা পূর্ণ হইয়াছে। কিন্তু গৃহটি সুন্দর হইলেও যমালয়, যমদূতের অধিকার, চারিদিকে কেবল কাল চাপকাম কম্বলের কোট সজ্জিত, প্রস্তর কয়লা চূর্ণ প্রলেপিত, মাসক তৈলসিক্ত দূত ভূতের হযমন মুখঞ্জ ইতস্ততঃ প্রমিতে দেখা যায়। যেখানে কেবল অসভ্য ক্ষেত্ৰজীবের বাক্য শুনা যাইত এখন সেইখানে মুসজ্জিত মুসভ্য নানা লোক পাদচালনা করিতেছে। কণ্টকাকীর্ণ জঙ্গল বিনিময়ে বিপণিশ্রেণী নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। কাদা জল বিনিময়ে ডজন ভজন সোড়াওয়াটরের অগ্নিঅন্ত্ররূপ কার্ক ছুটিতেছে। জঙ্গলজাত পরিকুল সেকুল পরিবর্তে