পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>રાન્ક. ] खछेiथांब्रौन्त्र ८ब्रांजञांभछ। (oboe তৈলসিক্ত, মস্তকে ঘেসও রঙ্গের টুপি, সামনে তিনটি জরির অক্ষর বিনিৰ্ম্মিত, টেবিলের উপরিভাগে মাষ্টার বাবুর বক্ষঃস্থল পৰ্য্যস্ত দেখা যাইতেছে, কাল আলপাখাৰুচাপকানে, নীলম্বতের সেলাই দেদীপ্যমান, সৰ্ব্বোপরি সাদা বোতামটি ঘর হইতে খসিয়া উল্টাইয় পড়িয়াছে ও গলার নীচে সুপক্ক জামের আভা বাহির করিয়াছে। তাহারে আমি দেখিয়াই চিনিলাম তুষমন চেহারা—আমার সঙ্গী ভৈরব কহিয়া উঠিল এই ত সকলের ভীম মাষ্টার । টিকিট বাবু এক একটী লোকের প্রতি আবার দয়াবান ; কাহাকে খুড়া বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন ও “কম কম কেন সিংগলে কম” “রেলজম্পে কম” বলিয়া ইংরাজিষ্ঠে আহবান করিতেছেন ; একটি ভদ্র পথিক আমার নিকট দাড়াইয়া কহিলেন “দেখছেন কি ? জাতে কৰ্ম্মকার যেমন লোহার মত চেহারা তেমনি লৌহনিৰ্ম্মিত অন্তকরণ ; এদেশে উহার নাম লোহার কাৰ্ত্তিক, আইরণ অক্‌টোবর রাষ্ট হইয়াছে। কোথায় স্কুল মাষ্টার ছিলেন কিন্তু মাষ্টার বাবু বলিলে ক্ষিপ্ত প্রায় রাগান্ধ হন, প্রহার করিতে দৌড়াইয়া যান ।” + আমি কহিলাম বিলক্ষণ চিনি আমাদের শিক্ষক’ছিলেন। এদিকে পুলিস ম্যান কঙ্কর তেয়ারী দন্ত কিচমিচ করিয়া পাট যুগলে দশ সালের খদির তাম্বুলের পাটকেল রঙ্গের গাঢ় প্রলেপ প্রদর্শন করিতেছেন ; সেই দন্তের অনতি উপরে গোফের দল, হস্তশিরে স্কুল কেশ স্বরূপু দণ্ডায়মান ; মস্তকে পীতাম্বরজড়িত উঠিব, অঙ্গে কাল কম্বলের কোট, হাতে দণ্ড, ঠিক দগুধর । তাহাকে সাস্তুনা করিবার এই উপায় দেখিলাম। পান খাইবার জন্য দুটি পয়সা তাহার হস্তে অপর্ণ করিলে টিকিট পাওয়া যায় । ভৈরব সর্দার অগ্রসর হইয়া তাহাই দিল ও আমাদের প্রত্যেক জনের কত ভাড়া লাগিবে কহায় ১৩ আনা করিয়া কহিল । ভৈরব কহিল এক আনা কমিবে না ? পাহারাদার কহিল বড়বাবুকে জিজ্ঞাসা কর। বড় বাবু কহিলেন “বারেন্দায় টেবিল রহিয়াছে পড়িতে চক্ষু নাই ।” ভৈরব অগ্রসর হইয়া বাবুকে চিনিল ও মুম্বরে গাহিয়া উঠিল “চুড়া ছেড়ে এবার পাগড়ি বেন্দেছে, এত আমাদের সেই মাষ্টার মশয় ! টিকিট দেন ত " একে “মাষ্টার তাতে মশয়” “বাবু” পৰ্য্যন্ত বলিল না, সম্বোধন শুনিয়া টিকিট বাবু মনে করিলেন যেন র্তাহার অঙ্গে অগ্নিরাশি বিকীর্ণ হইল, যে লৌহ যন্ত্রে টিকিটে কটকট করিয়া, চিহ্ন দিতে ছিলেন তুই হস্তে উঠাইয়া ভৈরবের মস্তকে নিক্ষিপ্ত করিতে চেষ্টা করিলেন ; ভাগ্যক্রমে তাহা কাষ্ঠাসনে দৃঢ় আবদ্ধ ছিল। আমি ত্বরায় বিবাদস্থলে গমন করিলাম ও কহিলাম “বড় বাবুজী, ভৈরব চাষা, আপনার মৰ্ম্ম কি জানে টকিট দেন।" যেন খঞ্জ ভীমকে আমরা কেহই চিনিতে পারি নাই এইরূপ ব্যবহার করা গেল ৷ টকিট লওয়া সাঙ্গ হইলে “খোড়া ভাল আছ।” বলিয়াই