পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

63 e বজজঙ্গল [*छब আবার ভৈরব প্রস্থান করিল। টিকিট বাবু জানিতেন যে স্কুল মাষ্টার অপেক্ষ সহকারী এস টেশন মাষ্টারের পদ অনেক মানশালী। হুকুমে “ট্রেণ টচ” করে ট্রেণ ষ্ট্যার্ট করে গাড়ী থামে গাড়ী ফিরে গাড়ী চুলে। হুকুমে রাজা মহারাজেরও গতি বন্ধ হইয়া যায়। এখনো জানেন না যে আবার ঘন ঘন ফৌজদারি সুপদ হইতে হয় । যাহা হউক আমরা এখন সকলে টিকিট ক্রয় করিলাম। ভৈরব ইত্যবসরে হারাইয়াছে শুনা গেল, দূরে যাইয়া তামাক টানিতেছে, গাড়ি আগতপ্রায়, জরায় আসিতে আদেশ করায় ক্রুদ্ধস্বরে কহিল “পয়সা দিয়াছি ডাকিবে না ?” যাহা হউক সকলে একত্র হইয়া গাড়ি বরেন্দায় দণ্ডায়মান হইতেই শকটশ্রেণী দূরে দেখা গেল। ভৈরব তর্জন গর্জন শুনিয়া, অগ্নিরাশি ধুমপুঞ্জ দেখিয়াই পলাইল ও কহিল এ বড় আপদ আমি ৪ ক্রোশ পথ পায়ে শেষ করিব । সম্প্রতি রেলগাড়ীর কথা যাক, পূর্বকালিক পথের কষ্ট বর্ণন করিতে করিতে এই কথা পড়িয়াছিল। . আমরা কয়েক দিনের মধ্যে নগরের নিকটস্থ হইলাম একদিন প্রাতে নগবের শত শত অট্টালিকা শ্রেণী, কত শত ধ্বজ মন্দির চূড়া শত শত অর্ণবপোতের পটদও যেন পত্রশাখা বিরহিত শাল জঙ্গল গোধূলির গগন ভেদ করিয়া নয়ন পথে আসিল । ক্রমে আমাদের ভ্রমণ শেষ হইল । আমরা নগরে উপনীত হইলাম ।