পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२ve ] এক্সচেঞ্জ همه و একটু না একটু সুবিধা নিশ্চয়ই হয়। আর মধ্যে মধ্যে এরূপ টাকা ধার হইয়া ইংলণ্ড হইতে ভারতবর্ষে আসেই । এই ধারী টাকার অনেক রূপা আসে, যে অল্প বিল আসে তাহাতেই আমাদূের কিছু সুবিধা হয়। এখন এই এক্সচেঞ্জ গোলযোগের ঔষধ কি ? উত্তর এই যে, কোন ঔষধই আমাদের হাতে নাই । আমরা কোনরূপেই ইহার প্রতিবিধান করিতে পারি না। তবে সাহস করিয়া বলা যাইতে পারে যে অতি অল্প দিনের মধ্যে রূপার দাম মহাৰ্থ হইয়া আসিবে । রূপার বড় বড় খনিতে মাল তলায় পড়িয়াছে २००० । ७००० कूर्चंद्र নীচে বসিয়া রূপা তুলিতে হইলেই রূপার দাম একটু একটু করিয়া মহার্ঘ হইবে । আর সোণার দাম বেশী হওয়ার দরুণ, ইউরোপীয় অনেক গভর্ণমেণ্টের চক্ষু খুলিয়া যাইতেছে। জৰ্ম্মনি ত রূপা ছাপিবার হুকুম দিয়াছেন । ইংলণ্ডেও রূপার টাকা অল্প বিস্তর ছাপা হয় এবিষয়ে আন্দোলন হইতেছে। আমাদের গভর্ণমেণ্টের এখন উচিত চুপ করিয়ী থাকা, অথবা ইউরোপীয় গভর্ণমেণ্ট সকল যাহাতে রূপার টাকা ছাপেন তাহার চেষ্টা করা। উপসংহার কালে আমাদের একজন প্রধান সংবাদপত্র যে বলেন পৃথিবী শুদ্ধ রূপার টাকা হইলে এক্সচেঞ্জ গোল হইবে না তাহার বিষয় কিছু বলা আবখ্যক । জৰ্ম্মনি ফ্রান্স কেবল সোণার টাকা করিতে গিয়া এখন যেমন গোল বাধাইয়াছেন, যদি তাহারা ঐরাপ কেবল রূপার ধরিতেন তাহা হইলেও ঠিক এইরূপ গোল হইত। এখন সোণ মহার্ঘ হইয়াছে তখন রূপ মহার্ঘ হইত এই মাত্র বিশেষ । مسیه ۹