পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఠ్వాడ్హా তৈলের অপর নাম স্নেহ-বাস্তবিকও স্নেহ ও তৈল একই পদার্থ, আমি তোমায় স্নেহ করি, তুমি আমায় স্নেহ কর অর্থাৎ আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি। স্নেহ কি ? যাহা স্নিগ্ধ বা ঠাণ্ড করে তাহার নাম স্নেহ । তৈলের ন্যায় ঠাগু করিতে আর কিসে পারে! সংস্কৃত কবিরা ঠিক বুঝিয়াছিলেন। যে হেতু র্তাহারা সকল মনুষ্যকেই সমানরূপ স্নেহ করিতে বা তৈল প্রদান করিতে উপদেশ দিয়াছেন ! বাস্তবিকই তৈল সৰ্ব্বশক্তিমান, র্যাহা বলের অসাধা, যাহা বিদ্যার অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য, তাহা কেবল একমাত্র তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে। যে সৰ্ব্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করিতে জানে সে সৰ্ব্বশক্তিমান । তাহার কাছে জগতের সকল কাজই সোজা, তাহার চাকরির জন্ত ভাবিতে হয় না— উকিলিতে পসার করিবার জন্য সময় নষ্ট করিতে হয় না—বিনা কাজে বসিয়া থাকিতে হয় না, কোন কাজেই শিক্ষানবিশ থাকিতে হয় না। যে তৈল দিতে পারিবে তাহার বিদ্যা না থাকিলেও সে প্রফেসার হইতে পারে, আহাম্মুক হইলেও মাজিষ্ট্রেট হইতে পারে, সাহস না থাকিলেও সেনাপতি হইতে পারে এবং দুর্লভরাম হইয়াও উড়িষ্যার গভর্ণর হইতে পারে। i তৈলের মহিমা অতি অপরূপ, তৈল নহিলে জগতের কোন কাৰ্য্য সিদ্ধ হয় না। তৈল নহিলে কল চলে না, প্রদীপ জ্বলে না, ব্যঞ্জন মুস্বাস্থ হয় না, চেহারা খোলে না, হাজার গুণ থাকুক তাহার পরিচয় পাওয়া যায় না। তৈল থাকিলে তাহার কিছুরই অভাব থাকে না ।