Qoş खद्यश्चांबिका। [ চৈত্র এই অশেষগুণাকর নিশাকর নিজে কি বস্তু তাহা জানিতে কাহার কৌতুহলশিখা উদ্দীপ্ত না হয় ? কিন্তু জানিবার যে নাই। অনেককাল হইতে অনেক পণ্ডিত বিবিধপ্রকার অনুমান করিয়া আসিয়াছেন। কিন্তু আজিও একটার প্রমাণ হয় নাই ; যাহা হউক চন্দ্র যে মৃত্তিকাদি পার্থিব পদার্থঘটিত একটি প্রকাণ্ড জড়পিণ্ড তাহাতে সন্দেহের বিশেষ কারণ বিদ্যমান নাই । চন্দ্রে জীবলোক আছে কিনা, এই প্রশ্ন বহুকাল অবধি শুনিতেছি । কিন্তু জীবলোক থাকা আশ্চর্য্য নহে । যখন অগ্নিমধ্যে কীট বাস করে তখন বিশ্বনিয়ন্ত চন্দ্রে জীবস্থাপন করিবেন বিচিত্র কি ? বরং এই প্রকার প্রশ্ন অনেকটা বিবেচনা সঙ্গত । পৃথিবীতে যে সকল প্রাকৃতিক অবস্থার অধীন হইয়া জীবগণ প্রাণধারণ করে চন্দ্রে সেই সকল প্রাকৃতিক ব্যাপার আছে কি না ও তদুপযোগী জীবসকল তথায় আছে কি না ? sves xifrēt fifrē God's glory in heavens RTTE orgæ af stal পড়িয়াছিলাম তাহা অতি মনোহর ; কিন্তু তাহা প্রকৃত উত্তর কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ । যাহা হউক তাহার স্কুল মৰ্ম্ম ও সেই মৰ্ম্ম হইতে যে রূপ কল্পনা জন্মিতে পারে নিয়ে সন্নিবেশিত হইল। চন্দ্রের যে পৃষ্ঠ আমাদের দর্শনাধীন, তাহা উত্তঙ্গ গিরিপ্রদেশ ও উপত্যকায় পরিপূর্ণ, তথায় বায়ুও নাই প্রাণীও নাই। যদি বায়ু থাকিত তাহা হইলে সবুজ দেখাইত, অথবা বায়ুর কোন কাৰ্য্য লক্ষিত হইত। কিন্তু তাহ হয় না । কিন্তু চন্দ্রেব অপর পৃষ্ঠে যে বিপুল বায়ুরাশি বহমান আছে, ও জীবগণ তাহাতে পরম সুখে কালাতিপাত করিতেছে, বিজ্ঞান তাহাতে কোন সন্দেহ করতে পারে না। যদি একটা বৰ্ত্ত,লের চতুদিকে আলগা আলগা করিয়া তুলা জড়াইয়া বৰ্ত্ত লটাকে স্বত্রলগ্ন করিয়া অঙ্গুলির চতুর্দিকে ঘুরান যায়, তবে ঐ তুলাগুলি, অঙ্গুলির সম্মুখভাগ পরিত্যাগ করিয়া বওঁলের অপরপার্থ আশ্রয় করিবে। ঠিক চন্দ্রে তাহাই ঘটিয়াছে। চন্দ্রের বিশ্লিষ্ট পারমাণব অংশ সকল অপর পৃষ্ঠে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে। পৃথিবীর প্রত্যহই আবৰ্ত্তন ঘটে, এ জন্য পৃথিবীর চকুপাৰষ্ট বায়ুরাশি দ্বারা পরিবেষ্টিত। কিন্তু চন্দ্রের একপাশ্ব মাত্র বায়ুসমাচ্ছন্ন। চন্দ্রের অপর পৃষ্ঠে যখন বায়ু ও বৃহৎ বৃহৎ সমুদ্রাদি আছে, তখন তথায় যে আমাদের ন্যায় জীবগণ স্বচ্ছন্দে বিচরণ করিতেছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই । চন্দ্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অবত পৃথিবীর আপেক্ষিক গুরুষের বর্গমূলের সহিত সামামুপাতিক হইবে। অতএব তথায় মনুষ্য বপু এখানকার অপেক্ষ ৭ অংশে লঘু, সুতরাং তথাকার লোক অত্যন্ত দীর্ঘাকার না হইলে মনুষের স্থায় শক্তিতে ভূমিতে বিচরণ করিতে পারে না। এ জস্ত বোধ হয়, সেখানকার লোক অত্যন্ত দীর্ঘাকারই বা ।
