পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડેરીના ] চজের বৃত্তাত্ত శ్రీt চন্দ্রে চতুর্দশ দিবসব্যাপী দিবামান এবং চতুর্দশ দিবসব্যাপী রাত্রিমান। চন্দ্রে ঋতুবিপৰ্য্যয় নাই। প্রত্যেক দিনই গ্রীষ্মকাল। প্রত্যেক রাত্রিই শীতকাল। এমন হইতে পারে যে, চন্দ্রের অধিবাসীরা বিলক্ষণ কৃষক, জোয়ার ভাটা চন্দ্রের নদীতে নিত্য সমভাবে হইয়া থাকে। সরোবর হ্রদাদির সুগন্ধ জল কুসুম সকল প্রস্ফুটিত থাকে ও লোকেরা নৌকাযানে সেই সকল পুষ্পের আঘ্ৰাণ লইতে লইতে বায়ুসেবন করে। পদ্ম প্রচুররূপে ফুটিয়া থাকে। লাইব্রেশন বশতঃ চন্দ্রের অপর পৃষ্ঠের সীমাস্থ কিয়দংশ আমরা দেখিতে পাই, অবশু তথাকার অধিবাসীরা আমাদিগকেও দেখিতে পায় । সে স্থানে চন্দ্রে বায়ু অত্যন্ত কম, এজন্য তথায় লোক সমাগম নাই, তবে উৎসাহশীল পরিব্রাটগণ কখন কখন আমাদের পৃথিবী দেখিতে আইসে। তাহারা পৃথিবীকে কি বিশালই দেখে ! ! আমরা চন্দ্রকে যেরূপ দেখি, চন্দ্রনিবাসী পুথিবীকে তাহার ১৫ গুণ বৃহৎ দেখে। তাহারা পৃথিবীকে একটি সবুজ মণ্ডলাকার প্রায় দেখে। বার্ষিক বায়ুরাশির গতি তাহারা বোধ হয় কিছু কিছু দেখিতে পায় ও উত্তঙ্গ গিরিশৃঙ্গ সকলও কখন কখন লক্ষ্য করে । 剝 尊 চন্দ্রের প্রকাণ্ড দিব্যমান অতীত হইলে সুদীর্ঘ রজনী আইসে । সে সময়ে ঘোর অন্ধকার ও দারুণ শীত । চন্দ্রের চন্দ্র নাই যে জ্যোৎস্না দেয়, কখন কখন সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পরে শুক্র তাহার ক্ষীণ আলোক বিতৰণ করেন। অহো চন্দ্র । তুমি যখন নিজে নিশায় নিমগ্ন থাক, জানিতে পার না তোমার অপর পৃষ্ঠ আমাদিগকে স্বীয় করনিকব বিতরণ পূৰ্ব্বক উল্লাসিত করিতেছে ও শিশিরসিক্ত দৃশ্যাবলীতে কতই সৌন্দর্যোর স্বষ্টি করিতেছে ও কত কত চেীর অভিসারীগণের পথদর্শক হইতেছে । 橡 চন্দ্রলোকের অধিবাসীরা যখন পৃথিবীবাসীদিগের স্যায় জড়পদার্থের উপর আপন আপন জীবন নির্ভর করিয়া রহিয়াছে তখন তাহারা যে মরণ ধৰ্ম্মশীল তাহাতে আর সন্দেহ নাই । তথায়ও রোগ শোক জরা আছে, সুতরাং ধৰ্ম্ম আলোচনাও আছে, দ্বেষ আছে, প্রীতি আছে, সমাজ আছে, কুশল আছে, রণ আছে । হয় ত আমরা যেমন নানা প্রকার মত প্রচার করিয়া পুস্তকাদি লিখি চন্দ্রেও এরূপ লেখক আছে, বিতও আছে, হর্ষ আছে, আশা আছে, ভয় আছে। বিশ্বপতি, তোমার কাগু অদ্ভুত । 够 穩 কিন্তু চন্দ্র সম্বন্ধে আমাদের এ সুখের স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া যায় যখন আমরা মেন সাহেবের লিখিত গ্রন্থ পড়ি। তিনি বলেন চন্দ্রে যদিও বায়ু থাকে তাহা এত তরল যে তাহা অপেক্ষ আমাদের বায়ু ২০০০ গুণে গাঢ়। যাহা হউক চন্দ্রে যে যৎকিঞ্চিৎ বায়ু আছে তাহার কুইটি প্রমাণ দেওয়া যাইতেছে।