পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అృs बकक्षििन , [ চৈত্র ১ম । তারাগ্রহণ ; যখন একটি তারা চন্দ্রের আড়ালে পড়ে, তখন তারার প্রথম প্রবেশ হইতে বহির্গমন পৰ্য্যস্ত যতটা সময় জ্যোতিষিক গণনাতে লাগিবার কথা বস্তুতঃ তাহ লাগে না । তারাটি শীঘ্রই বাহির হইতে দেখা যায়। ইহার কারণ আর কিছুই হইতে পারে না ; তারাটি চন্দ্রের অন্তরালে প্রবেশ করিলেও চন্দ্রের পার্শ্বস্থ কোন সূক্ষ্ম বায়বীয় পদার্থসংঘটিত রশ্মির বক্রীভবন (refraction) বশতঃ কিয়ৎক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায়। এবং ঠিক ঐ কারণে বাহির হইবার কিয়ৎক্ষণ আগে আমরা দেখিতে পাই। উক্ত সূক্ষ্ম পদার্থ বায়ুরাশি ভিন্ন সম্ভবে না। বক্রীভবন কাহাকে বলে তাহা বিবেচনা করা উচিত, যদি একটি প্রদীপের কয়েক হাত অস্তরে একটা পুরু কাচ ধরা যায় ও সেই কাচ হইতে কয়েক হাত অস্তরে বসিয়া কাচের মধ্য দিয়া উক্ত প্রদীপকে দেখা যায় তবে দর্শকের চক্ষুদ্রপথে প্রদীপের যে অবস্থান হইবে, প্রদীপের প্রকৃত অবস্থান তাহা নহে তাহার কিছু নিয়ে। কাচের যে গুণ বুশত প্রদীপের রশ্মিকে কিছু উচ্চ করিল তাহাকে বক্ৰীভবনকারিত্ব বা refracting power কহিয়া থাকে। বায়ু জল প্রভৃতি স্বচ্ছ ও লঘু পদার্থে উক্ত ক্ষমতা আছে। বায়ুর এই গুণ থাকা প্রযুক্ত কোন এক নির্দিষ্ট সময়ে আমরা তৎসাময়িক সূর্য্যের প্রকৃত অবস্থান হইতে তাহাকে কিছু উচ্চে দেখি । ২য় । গোধূলি (Twilight) শুক্ল দ্বিতীয় বা তৃতীয়ার চন্দ্রের অধিকাংশ ব্যাপার উজ্জল হয়। সূর্য্যের কিরণ যত দূর পড়া সম্ভব তাহার অধিক দূর পর্য্যস্ত উক্ত তিথিতে চন্দ্রের পরিধিকে আলোকিত দেখায়। ইহার প্রকৃত কারণ কি ? যেমন সূৰ্য্যাস্তের পরও অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত রশ্মির বক্রীভবন বশত: আমাদের বায়ুরাশি প্রভাবিশিষ্ট থাকে সেইরূপ বোধ হয় চশ্রেরও ঘটে চন্দ্রের বায়ু সূর্য্যের খানিকটা রশ্মি হরণ করিয়া পার্শ্বে লইয়া যায় । 歌 পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে চন্দ্রে প্রত্যেক দিবাই এক একটি গ্রীষ্মকাল, প্রত্যেক নিশাই শীতকাল, কিন্তু সময় বিশেষে চন্দ্রে দৈবসিক উত্তাপের তারতম্য হইয়া থাকে । চন্দ্র পৃথিবীর অনিয়মিক আকর্ষণ বশত: কখন কখন সূর্য্যের সমীপস্থ কখন কখন দূরস্থ হয় । ইহার প্রমাণ করিতে গেলে সূৰ্য্যগ্রহণ সম্বন্ধে কিছু বলা আবশ্যক হয়। যখন চন্দ্র, পৃথিবী ও সূর্য্যের মধ্যস্থলে পড়ে তখন যদি পৃথিবীর কোন প্রদেশের সহিত চন্দ্র ও সূৰ্য্য ঠিক সমসূত্রপাতে অবস্থিত হয় তখন সেই , প্রদেশে সূৰ্য্যগ্রহণ হয়, যদি চন্দ্র ঠিক সূর্য্যের মধ্যভাগে পড়ে তখন হয় সৰ্ব্বগ্রাস নয় মধ্যগ্রাস হয়। চন্দ্র স্বর্ঘ্যের সমীপন্থ ও পৃথিবী হইতে দূরস্থ হইলে চন্ত্রের অবয়ব অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র দেখাইবে মুতরাং সে সময় সূর্ব্যের মধ্যগ্রাস হুইবে ও