পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछक्थ्{ञ \ [६ध्ख سالهای না, অন্যের কথায় নির্ভর করিয়া মীমাংসা করেন ; এ অবস্থায় অন্যকে মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী রাখা ভাল । র্যাহাদের পদোন্নতি হয় না, অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, তাহারা বড় অভিমানী । অতি সামান্য বিষয়ে অপমানিত বোধ করেন। কাজেই কাহারও অনুগত হইতে পারেন না। হয় ত আবার কেহ কেহ আপনাদের যোগ্যতা বিষয়ে অতিরিক্ত অভিমানী । র্যাহার অধীনে কৰ্ম্ম করা যায়, যোগ্যতার অভিমান থাকিলে, কখন কখন তাহার প্রতি তাচ্ছিল্য জন্মে। অযোগ্য ব্যক্তিরা উচ্চপদ সৰ্ব্বদা পায়, অধীন ব্যক্তিরা যোগ্য হইলেও উভয়ের মধ্যে অসম্ভাব ঘটে । এক পক্ষের তাচ্ছিল্য, অপর পক্ষের বিরুদ্ধতা, ফল অধীনের অনিষ্ট । এই জন্য কেহ কেহ বলেন :– যার অধীনে কাজ করি । কেন না তার পায়ে ধরি ॥ ta যোগতা থাকিলে, তাচ্ছিল্য নানা বিষয়ে নানা প্রকারে উপস্থিত হয় । বালকের নীতিকথায় পড়িয়া থাকে যে, এক খরগস ও এক কচ্ছপ উভয়ের কথা হইল যে, আইস আমাদের মধ্যে কে অগ্রে ঐ পৰ্ব্বতে পৌঁছিতে পারে। মন্দগতি কচ্ছপ তৎক্ষণাৎ ধীরে ধীরে চলিতে আরম্ভ করিল ; খরগস ভাবিল, আমি যখন ইচ্ছা তখন গেলেও কচ্ছপের পূৰ্ব্বে পৌছিব । অতএব তাচ্ছিল্য করিয়া নিদ্রা গেল, নিদ্রাভেঙ্গে দেখে, কচ্ছপ বহু পূৰ্ব্বে পৌঁছিয়াছে। যোগ্য অযোগ্যের কার্য্যপ্রণালী প্রায় এইরূপই ঘটে । একপক্ষের যত্ব, অপর পক্ষের তাচ্ছিল্য। ফল ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির পরাজয় । " 鲁 বিদ্বান ও বুদ্ধিমানের অনেকে যে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন না, তাহার এক বিশেষ কারণ যে র্তাহারা উচিত বা উপযুক্ত বিষয়ে নিযুক্ত না হইয়া, হয় ত বিপরীত বিষয়ে লিপ্ত হন । যে ব্যক্তি বক্তৃতাশক্তিতে বঞ্চিত, তিনি হয় ত উকিল হইলেন ; যিনি বকুতাতে অদ্বিতীয় হইতেন, তিনি হয় ত যোদ্ধা হইলেন । যিনি মহাযোদ্ধা হইতেন, তিনি হয় ত কেরাণি হইলেন । মধ্যে মধ্যে শুনা যায় যে, কেরাণি কলম ফেলিয়া তরবারী ধরিবা মাত্র দেশ জয় হইল ; তাহার মূল কারণ এই। প্রকৃত যোদ্ধা কেরাণির আসনে এতদিন বসিয়া মাটা হইতেছিলেন। সকল দেশেই এইরূপ সৰ্ব্বদ হইয়া থাকে, বিশেষতঃ হিন্দুসমুজে । তাহার বিশেষ কারণ, আমরা পৈতৃক ব্যবসা অবলম্বন করিয়া থাকি । স্বজাভিব্যবসায়ে আমাদের অধিকার বা ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক, তাছা অবলম্বন