পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●W。 दछझुन्नि ak A: [ 8णार्छ তৃতীয় রজনীতে নিৰ্ম্মল আসিয়া তাহার কাছে শয়ন করিল। সমস্ত রাত্রি দুইজনে দুইজনকে বক্ষে রাখিয়া রোদন করিয়া কাটাইল। নিৰ্ম্মল বলিল, “আমি তোমার সঙ্গে যাইব ।” কয়দিন ধরিয়া সে এই কথাই বলিতেছিল । চঞ্চল বলিল, “তুমি আমার সঙ্গে কোথায় যাইবে ? আমি মরিতে যাইতেছি।” নিৰ্ম্মল বলিল “আমিও মরিব । তুমি আমায় ফেলিয়া গেলেই আমি কি বাচিব ?” চঞ্চল বলিল, “ছি । অমন কথা বলিও না—আমার দুঃখের উপর কেন দুঃখ বাড়াও ?” নিৰ্ম্মল বলিল “তুমি আমাকে নিয়ে যাও বা না যাও, আমি নিশ্চয় তোমার সঙ্গে যাইব—কেহ রাখিতে পাবিবে না।” দুইজনে কাদিয়া রাত্রি কাটাইল । এদিকে, সৈয়দ হাসান আলি খী, মনসবদার মোগল সৈন্তের সেনাপতি, রাত্রি প্রভাতে রাজকুমাবীকে লইয়া যাইবার সকল উদ্যোগ করিয়া রাখিলেন । একাদশ পরিচ্ছেদ এই সময়ে একবার মাণিকলালেব কথা পাডিতে হইল । মাণিকলাল রাণার নিকট হইতে বিদায় হইয়া, প্রথমে আবার সেই পৰ্ব্বতগুহায় ফিবিয়া গেল। আৰ সে দস্ত্যতা করিবে, এমত বাসনা ছিল না, কিন্তু পূৰ্ব্ববন্ধুগণ মরিল কি বাচিল তাঙ্গ দেখিবে না কেন ? যদি কেহ একেবারে না মবিয়া থাকে তবে তাহাব শুশ্ৰষ কবিয বাচাইতে তইবে । এই সকল ভাবিতে ভাবিতে মাণিকলাল গুই। প্রবেশ করিল। দেখিল, দুইজন মবিয়া পড়িয়া রহিয়াছে , যে কেবল মুষ্ঠিত হইয়াছিল, সে সংজ্ঞালাভ কবিয়া উঠিয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে। মাণিকলাল তখন বিষন্নচিত্তে বন হইতে একবাশি কাট ভাঙ্গিয়া আনিল—তদদ্বারা তুইটি চিতা রচনা করিয়া দুইটি মৃতদেহ তদুপরি স্থাপন করিল। গুহা হইতে প্রস্তর ও লৌহ বাহির করিয়া অগ্ন্যুৎপাদন পূর্বক চিতায় আগুন দিল । এইরূপ সঙ্গীদিগের অস্তিম কাৰ্য্য কবিয়া সেস্থান হইতে চলিয়া গৈল । পরে মনে করিল যে, যে ব্রাহ্মণকে পীড়ন করিয়াছিলাম, তাঙ্গার কি অবস্থা হইয়াছে, দেখিয়া আসি ।* যেখানে অনন্ত মিশ্রকে বাধিয়া রাখিয়াছিল, সেখানে আসিয়া দেখিল যে, সেখানে ব্রাহ্মণ নাই। দেখিল স্বচ্ছসলিলা পাৰ্ব্বত্য নদীর জল একটু মালা হইয়াছে—এবং অনেক স্থানে বৃক্ষশাখা, লতা গুল্ম তৃণাদি ছিন্নভিন্ন হুইয়াছে। এই সকল চিহ্নে মাণিকলাল মনে করিল যে, এখানে বোধ হয় অনেক লোক আসিয়াছিল। তারপর দেখিল, পাহাড়ের প্রস্তরময় অঙ্গেও কতকগুলি অশ্বের