পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢कूश्मन्निङ्गैौ *५ ፋ 1 ه هد 3. ঐ যে সরোজিনী জলাশয়ে প্রস্ফুটিত হইয়া, রূপে ঢল ঢল করিয়া, চারিদিক সৌরভে আমোদিত করিয়া, মলয়বায়ুহিল্লোলে জলতরঙ্গে নাচিয়া নাচিয় প্রফুল্লমুখবিকাশে উদ্যানরাজি প্রফুল্লিত করিয়াছে উহা একদিন কমলমণির সহিত তুলনীয় হইতে পারে। আর ঐ যে পূর্ণবিকশিত, শতদলশোভিত, পরিমলসুগন্ধিত, রূপে আনন্দিত গোলাবকুসুম উষ্ঠানের মধ্যস্থিত গৰ্ব্বস্বরূপ হইয়া তোমার নয়নের তৃপ্তিসাধন করিতেছে, উন্স সূৰ্য্যমুখীর সদৃশ চতুর্দিক সুশোভিত করিয়া রঙ্গিয়াছে । কিন্তু যদি কুন্দনন্দিনীর সাদৃশ্ব দেখিতে চাও, তবে ঐ গোলাবেরই নিকটস্থ অাব এক তরুশিরে গিয়া দেখ, একদল অৰ্দ্ধমুকুলিত গোলাবগুচ্ছ বৃস্তশিবে সুশোভিত রঙ্গিয়াছে ; তাহার মধ্যকুসুম প্রস্ফুটিতপ্রায়, অথচ দলগুঞ্জে সম্যক প্রস্ফুটিতে পারে নাই। আর উহা ফুটিতে পারিবে না । তুমি অনুমানে উষ্ঠাকে ফুটাইয়া লও, এবং বল দেখি, উহা সম্যক প্রস্ফুটিত হইলে, ঐ পূর্ণবিকসিত গোলাবের শোভা পরাজয় কবিত কি না ? কুন্দনন্দিনী ঐকপ অৰ্দ্ধবিকসিত অথচ প্রস্ফুটিত গোলারস্বরূপ। অনুমানে তাহাকে ফুটাইয লক্টতে হয। ভাত নিজে সমাক্শোভা বিকসিত করিতে পাবে না। রূপে যেন গৰ্ব্বিত থাকে। পবিমলে হৃদয়েকন্দব পৰিপূৰ্ণ কবিয়া বাখে, যিনি আদরে তাতাকে দেখিতে তাসেন, তাহাকে আপনাব হৃদয়ধন কথঞ্চিৎ বিতরণ করিয়া আমোদিত করেন । তাতার হৃদয়ে যে সম্পত্তিবাশি সঞ্চিত আছে, তাহ অন্তকুসুমে নাই ; সেই জন্যই বুঝি সাহসভবে সম্যক প্রস্ফুটিতে পারে নাই। 錄 ‘কুন্দনন্দিনাৰ হৃদয়, এইরূপ, ভাবে পবিপূর্ণ। সে ভাব অবাতবিক্ষোভিত জলধিব স্যায় গভীর, আচঞ্চল, এবং স্থির । সে জলধি মথিত করিলে অমৃত উঠে। ঘটনা বায়ু তাতাতে ক্রীড়া করিয়া,বেড়ায় । যদি আলোড়িত ও তৰঙ্গে আন্দোলিত করে, জলধি নিজ হৃদয়েই সে আন্দোলন ধাৰণ করিয়া রাখেন । চন্দ্র হাসিলে তাহা আনন্দে স্ফীত হইয়া উঠে, কিন্তু সে বক্ষস্ফীতি কেহ দেখিতে পায় না। চন্দ্রকে বক্ষে ধাবণ করিয়া সুখহিল্লোলে নাচিতে থাকে। চন্দ্র সরসীব কুমুদিনীর শোভাতেই মোঙ্গিত, তিনি এ জলধির আনন্দভাস দেখিতে পান না। চন্দ্র একবার এই জলধিতে নিমগ্ন হইয়াছিলেন ; আঁবার মেঘের উচ্চ সিংহাসনে উঠিয়া বসিলেনু ; বসিয়া সেই দূর পশ্চিম সরসীর কুমুদিনীর প্রতি হাসিতে লাগিলেন। মেঘে প্রবল বাত্যা বহিল । জলধি তমসাচ্ছন্ন ও আন্দোলিত হইল। আন্দোলন শেষ হইলে পর যখন শশী,আবার প্রকাশিত হইলেন, তখন দেখা গেল তিনি সেই পশ্চিম সরসীর দিকে ঢলিয়া পড়িয়াছেন। শশী, জলধি পার হইয়া অস্তমিত প্রায়। তখন অৰ্দ্ধরাত্রের ঘন তিমির আসিয়া জলধিকে অন্ধকারে পরিপূর্ণ করিল। জলধি, রজনীর বিশ্বব্যাপী ঘন তিমিরে ডুবিয়া গেলেন।