পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՆ बजालभन्नि [?षां বাঙ্গালির মত ভীরুজাতি পৃথিবীতে আছে কিনা সন্দেহ । কুন্দনন্দিনী এই ভীরুতার ফল। বাঙ্গালিনী রমণী কতদূর ভীরুস্বভাব হইতে পারে কুন্দনন্দিনী তাহা প্রকাশিত করে, সংসারেব সাহসিকতা কিরূপ কুন্দনন্দিনীর হ্যায় রমণী তাহা জানে না, ভাবিতেও পারে না ; সে সাহসিকতার উপন্যাস বলিলে শিহরিয়া উঠে । যে অল্প বীৰ্য্য ও তেজ বাঙ্গালির অাছে, তজ্জন্ত সৰ্ব্বদাই সশঙ্কিত থাকে। কেহ উচ্চরবে কথা কহিলেও ভীত হয় । পুষ্পের আঘাতেও মৃচ্ছা যায়। জননীর নিতান্ত অঙ্কপ্রিয় হয়। কিছু করিবার জন্য হস্ত প্রসাবণ করিতে ভয় পায়। উচ্চরবে কথা কহিতে জানে না । অন্তে উচ্চরবে কথা কহিলে থমকিয়া কাদিয়া পড়ে। কেহ কিছু বলিলে কুটীব মধ্যে একাকিনী বসিয়া নীরবে কাদিতে থাকে। তাহার অবগুণ্ঠন-বিমুক্ত মুখচন্দ্রিমা অল্পালোকেই দেখিতে পায়। একাকিনী থাকিতে ভালবাসে । অন্যান্য রমণীর সহিত মিশিতে সাতস হয় না । মিশিলে তাহাদিগের সহিত দুই একটি কথামাত্র কয় । তাহাদিগের সহিত অগ্রসারিণী হইয়া কার্য্য করতে যায না, হয় ত এক পাশ্বে টাডাইয়া থাকে, অবগুণ্ঠন টানিয়া পরের সাহস ও কার্য দেখিতে থাকে। পরেব প্রতি দুষ্ট চক্ষে চাহিতেও ভয় পায় । চক্ষে চক্ষে মিলিলে আমনি নয়নপল্লব ফেলিয়া মুখ অবনত কলে । মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করিতে পাবে না ; ইচ্ছা হইলে মনে মনেই বিলীন হয় । কোন ইচ্ছা BBBBB BBBB BBBB BBBBBB BBB BB BBB BBB BB BBBBB পারে না ; সঙ্গিনীর সঙ্গিত চুপি চুপি কাণে কাণে কঠিয় দেয় । সে ইচ্ছা, দেখা যায়, অন্য রমণীৰ ইচ্ছার সহিত কিছু স্বতন্ত্র। অস্তেল সঙ্গিত সে ইচ্ছার কিছু বিশেষ হইবেষ্ট হইবে । সে ইচ্ছাতে হয় ত ধীবতা আছে, নম্রতা আছে ; উচ্চাশ। নাই, সাহস নাই । হরিদাসী বৈষ্ণবী আসিলে কুন্দনন্দিনী এইরূপ ব্যবহার করিয়াছিলেন । অনুরুদ্ধ ন হইলে, যাহা হইত ও ঘটিত, তিনি নীরবে ও নিঃশব্দে তাত শুনিয়া ও দেখিয়া যাইতেন। সহিষ্ণুতা, ভীরুতার ফল । সুতরাং কুন্দের স্যায় রমণীর সহিষ্ণুতা থাকা অবশ্বাস্তাব ধৰ্ম্ম । আবার প্রকৃত সোহাগ কি, তাহা ইহারাষ্ট জানে, ইতাদিগেরই থাকে । ইতাদিগেরই প্রকৃতিতে ভীরুতা কোমলতার সহিত মিশিয়া যায় । কোমলম্ভার সঠিত না মিশিলে ইহাদিগের ভীরুতা অন্যবিধ কামিনীর স্বাভাবিক ভীরুতার সহিত সমান হইত, তাহার বিশেষ ভাব লক্ষিত হইত না । হৃদয়ের কোমলতার সঙ্গিত ভীরুতা মিশিয়া প্রকৃতি যে সুকোমলভাব ধারণ করে ভাঙ্গ বাঙ্গালির প্রকৃতিতে আছে। তাছা বাঙ্গালিনী রমণীতে পরাকাষ্ঠ প্রাপ্ত হইয়াছে। বাঙ্গালিনীতে তাহা এক মুন্দর অভূতপূর্ব রমণীয়ভাব ধারণ করিয়াছে। কুন্দনন্দিনী সেই অভূতপূৰ্ব্ব মুকোমলতার অবয়বী কল্পনা ও মুন্দর দৃষ্টান্ত। এই কোমলতা প্রকৃত জীবনে এতদূর প্রাপ্ত