পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] .পতির পদাবলী সারদাবাবু স্বতন্ত্রপুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। অক্ষয়বাৰু বিশ্ববিদ্যালয়ের সবিশেষ পারদর্শী ছাত্র, ক্রমে সাহিত্যসমাজেও • উচ্চ আসন প্রাপ্ত হইলেন। সায়দাবাবু মেধাবী, সহপাঠীদিগের অগ্রণী, কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিশেষ যশস্বী হইয়া এক্ষণে উচ্চতম ধৰ্ম্মাধিকয়ণে বিচারপতির আসন গ্রহণ করিয়াছেন । একদিকে রাজকৃষ্ণবাবুর দ্যায় পণ্ডিত গ্রগণ্য, বহুশাস্ত্রবিশারদ, চিন্তাশীল, মনীষী লেখকের আবিষ্কার, অপরদিকে সদ্যপরীক্ষো তীর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ভুষণ ছাত্রের উৎসাহপূর্ণ আগ্রহ - শিক্ষিতসমাজে বিদ্যাপতির আদর হইবার উপক্রম হইল। এতকাল এই মৈথিল কবি ভিক্ষুক বৈষ্ণবের কণ্ঠে ও কস্থায় আশ্রয় লইয়াছিলেন, বটতলার জীর্ণ মলিনবেশ ধারণ করিয়াছিলেন, এতদিনে তাহার ভদ্রবেশে ভদ্রসমাজে স্থান হইল। যাহার ভারতচন্দ্র রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে বঙ্গভাষার শ্রেষ্ঠকবি বলিয়া জানিতেন, তাহtদের পুত্ৰগণ এই বৈষ্ণবকবির সমাদর 'করিতে শিখিলেন। সৌভাগ্য কবির नग्न, কারণ বৈষ্ণবভিক্ষুকের ঘরে ও রাজপ্রাসাদে কবির তুল্য প্রতি। বঙ্গভাষায় অপ্রকাশিত কোন পদে তিনি স্বয়ং বলিয়াছেন— মণি কাদব লপটায় রে । উই কি তনিক গুণ যায় রে । মণি কুৰ্দ্দমলিপ্ত হয়, তাহাতে কি তাহার গুণ যায় ? কিমপৈতি রজোভিরোঁৰ্বরৈরুবকীর্ণন্ত মণের্মহার্যতা ?’ ষে মণি চিনে, সেই সৌভাগ্যশালী। যে শিবসিংহ রাজা বিদ্যা পতিকে গ্ৰীমদান করিয়াছিলেন, কবির পরিচয়েই আঁজ তাহার পরিচয় । কবির গোপতে, যতন করি পহু মোর (চৈতন্ত বিদ্যাপতির প্রকাশিতৃ-পদাবলী। e পদাবলীতে তাহার নাম,পুনঃপুন গ্ৰন্থস্থাত. না থাকিলে রাজা শিবসিংহকে আজ কে চিনিত বিস্তৃপিতিকে তাহার উপযুক্ত আসনে বরণ করিয়া বঙ্গসাহিত্য স্বয়ং গরিমান্বিত হইয়াছে। সাহিত্যের ভদ্রপল্লীতে বিদ্যাপতির পদাবলীর সংস্করণ হইল, কিন্তু পাঠের, টীকার, অর্থের, অসংখ্য ভ্রম রহিয়া গেল। কারণ • নানা, তাহার মধ্যে দুইটি নির্দেশ করিতেছি। প্রথম, ভাষা। বিদ্যাপতির ভাষা প্রাচীন বঙ্গভাষা কি লা, পাঁচশত বৎসর পূৰ্ব্বে । মিথিলার ও বঙ্গদেশের কথিত.ও লিখিত ভাষায় কতদূর সাদৃ ও পার্থক্য ছিল, সে কথার বিচার বা আলোচনা না করিয়াও স্বীকার করিতে হইবে যে, চওঁীদাস বিদ্যাপতির সমসাময়িক কবি, কিন্তু দুইজনের ভাষায় কোন সাদৃশু নাই। বীরভূম ও মিথিলায় ষত ব্যবধান, কলিকাতা ও. চট্ট- ” গ্রাণের পরস্পর দুরত্ব তাহার অপেক্ষ অধিক, কিন্তু উভয় স্থানের লিখিত ভাষায় বড় প্রভেদ নাই । যাহাকে ব্রজভাষা ও ব্রজবুলি বলা যায়, তাহাও ঠিক কোন দেশের * ভাষা নয়, পুথির ও গানের ভাষা, এব: বিদ্যাপতিই তাহার স্রষ্টা । বঙ্গদেশে বিস্তর বৈষ্ণবকবি সেই ভাষার ললিত্যে, শ্রতিমাধুর্য্যে, তরলতায় ও মধুময়ী মোহিনীতে भूझ इहेब ॐांशद्र अश्कब्रटंग छूब्रिडूब्रि भन রচনু করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু ঐ ভাষা দুৰ্ব্বোধ। চৈতন্যদেবের পূৰ্ব্বে .এদেশে বিদ্যাপতির গীতাবলীর বহুলপ্রচার ছিল না, সেইজন্ত বৈষ্ণবদাস বলির त्रिंब्रj८छ्न, “श्रोहिण०