পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] মাই, অথবা যাহা আছে তাহ প্রকাশযোগ্য ' নহে, কিংবা পদকল্পতরু হইতে ভণিতা. সংবলিত পদগুলি বাছিয়া সঙ্কলন করিয়া . আমাদের কৰ্ত্তব্যজ্ঞান কৃতার্থ ও অধ্যবসায় পৰ্য্যবসিত কুইয়াছে। • শেষের অনুমানই সত্য মনে হয়। মহা জনপদাবলী ও প্রাচীনকাব্যসংগ্রহে যে সঙ্কলন প্রকাশিত হয়, মোটের উপর তাহাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । আরও বিশুদ্ধ ও সম্পূর্ণ হইবে, এরূপ আশা করা যায়, কিন্তু তদনুরূপ হয় নাই। বরং কোন কোন সংস্করণে পদ গুলি সাজাইবার প্রণালী বিকৃত হইয়াছে। বিদ্যাপতি বাঙালীর কবি ; তিনি মিথিলাবাসী হইলেও বঙ্গভাষার আদিকবি বলিয়া এদেশে তাহার সমাদর ও সম্মান। তাহার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত কবিতাবলী সঙ্কলন, তাহার সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য সকল কথা নিরূপণ করা বাঙালীর কৰ্ত্তব্য, কিন্তু রাজকৃষ্ণবাৰু অধ্যবসায়ের যে পথ প্রদর্শন করেন, তাহ আর কেহ “অসুসরণ করেন নাই । বাঙালী ক্ষান্ত হইল বটে, কিন্তু যে জাতির অসীম অধ্যবসায়, ভাযাতত্ত্ব ও সাহিত্য সংগ্রহে ষাহাদিগের আত্মপরজ্ঞান নাই, সেইজাতীয় একজন পণ্ডিত বাঙালীর অসমাপিত কৰ্ত্তব্য সমাপনে যত্নবান হইলেন। যে সময় সারদাবাবু "বিস্কাপতির পদাবলী সঙ্কলনে ও গ্রন্থের উপক্রমণিক লিখলে নিযুক্ত ছিলেন, সেই সময় প্রিয়ার্সন মিথিলায় তৎপ্রদেশপ্রচলিত বিদ্যাপতির গীতাবলী প্রভূত পরিশ্রম ও যত্ন সহকারে সঞ্চা করিয়া মৈথিল পুণ্ডিতদিগের সহায়তায় অর্থ করিতেছিলেন। সারদাবাবুর তাহার পরের সঙ্কলনগুলি , বিদ্যাপতির প্রকাশিত-পদাবলী। 6. স্বতন্ত্র সঙ্কলন প্রকাশ হইবার নুনাকি ছয়বৎসর পরে, খৃষ্টাব্দ ১৮৮১-৮২ সালে গ্রিয়ার্সন' এসিয়াটিক সোসাইটি হইতে মৈথিলভাষার ব্যাকরণ, রচনাসংগ্রহ ও শঝার্থ প্রকাশ করেন (An Introduction to the Maithili language of North Bihar, containing a Grammar, Chrestomathy, and Vocabulary)। এই সংগ্ৰছে বিদ্যাপতি-বিরচিত ৮২টি পদ সামুবাদ প্রকাশিত হয়, তন্মধ্যে ৭৬টি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক, অবশিষ্ট ৬টি অপরাপর প্রসঙ্গে। এই পদগুলির অধিক সংখ্যাই বঙ্গ ভাষায় অদ্যাবধি অপ্রকাশিত রহিয়াছে। বিদ্যাপতিসম্বন্ধে গ্রিয়ার্সন আরও কয়েকটি তত্ত্ব নির্ণয় করেন। দানপত্রের কথা পূৰ্ব্বেই উক্লি খিত হইয়াছে। খৃষ্টীয় ১৮৮৫ সালের Indian Antiguaty পত্রে তিনি সারদাবাবুর লিখিত উপক্রমণিকার প্রশংসা করিয়া আদ্যস্ত অমুবাদ, শিবসিংহের সম্পূর্ণ বংশবলী প্রকাশ এবং অপর প্রবন্ধে বিদ্যাপতিসম্বন্ধে তাছার অভিমত ব্যক্ত করেন । তাহার সঙ্কলিত পদাবলীর পূৰ্ব্বভাষে বলেন যে, তাহার বিশ্বাস, ত্ৰিছতে প্রচলিত• সমুদায় পদ তিনি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। প্রসঙ্গক্রমে বঙ্গদেশে প্রচলিত বিদ্যাপতির পদাবলীর প্রতি কিছু কঠোর কটাক্ষপাত করেন। নকল বিন্ধ্যাপতি (Pseudo Vidyapati ) আখ্যা দিয়া তিনি যাহা লিথিয়াছেন, উদ্ধৃত করিতেছি। “These spurious songs of Vidyapati, have been more than once collected... I have gone carefully through every poem in both these collectiens"