বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն . शत्रनलनं । পদের ভাষা ও ভঙ্গীতে বর্ণ ও মজ্জাৰ্গত এত বৈলক্ষণ্য দৃষ্ট হয় যে, তৎসমুদায় একই কবির রচনা বলিয়া, কোনমতে বিশ্বাস করিতে পারা যায় না। বিস্কাপতি নাম অথবা উপাধিধারী অপর কোন কবি এদেশে ছিলেন কি না, নিঃসংশয়ে বলা যায় না । বিদ্যাপতির নামসংবলিত কোন পদ পরিত্যাগ করিতে না পারিলেও সঙ্কলনকারের কৰ্ত্তব্য সম্ভব-অসম্ভব-সম্বন্ধে প্রমাণাদি ও যুক্তি প্রয়োগে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার পৰ্থ মুক্ত করিয়া দেওয়া, এবং বিদ্যাপতির স্বাতন্ত্র্য কিরূপে নিরূপিত হইতে পারে, তাহা নির্দেশ করিয়া, দেওয়া। ভ্ৰষ্টলক্ষ্য সঙ্কলনকারগণ নানাবিধ অবান্তর প্রসঙ্গের অবতারণা করিয়াছেন। কবির অনুকরণের প্রাচুর্য্যে সঙ্কলনকার কিছু সংশয়ে পড়িতে পারেন । বিদ্যাপতির যেরূপ অনুকরণ হইয়াছিল, বোধ হয় কোন দেশে কোন কবির ভদ্রুপ হয় নাই । বঙ্গের পশ্চিমম্বারে বিদ্যাপতি ও অন্তঃপুরমধ্যে চণ্ডীদাস যে সঞ্চিত মধুররসার্দ্র আবেগময়ী রাগিণীতে পঞ্চমমুরে গান গাহিয়াছিলেন, তাহার দিগন্তপ্রসারী পুর্ণবিকাশ হুইল বৈষ্ণব কবিদিগের শত শত কোকিলকণ্ঠ ঝঙ্কারে । জয়দেবের আলাপমূৰ্চ্ছনা বিদ্যাপতির গানে স্টুটবাক বৈদন । চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের আগমনীসঙ্গীত বিদ্যাপতির ললিত রাগৃিণীতে। তাহার পর সঙ্কীৰ্ত্তনক্ষেত্রে যখন গৌরাঙ্গ অৰতীর্ণ হইলেন, তখন স্বরসরিৎ জাহ্লবী যেমন উষরভূমিকে উৰ্ব্বর করিয়া, বিপুল প্রবাহপরিসরে, পুলকিত 'কলকলনাদে, গদগদকণ্ঠে ভগীরথের শখধ্বনি-অমুসারিণী { ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ। হইয়াছিলেন, সেইরূপ চৈতন্তের হরিহরিধ্বনির অনুগামিনী অমৃতনিষ্যন্দিনী উচ্ছসিত কাব্যধারা শতসহস্রমুখী হইয়া, তরল, শ্রুতিশীতল, মধুর তরঙ্গভঙ্গে তরতররবে দ্যায়ব্যাকরণদর্শনদগ্ধ বঙ্গদেশকে সরস, সিক্ত, প্লাবিত করিয়া প্রবাহিত হইল ! প্রাচীন কবির মধুৰ্বরসাত্রিত পদ ছিল একবেণীস্রোতস্বিনীতুল্য, শান্ত, দাস্ত, বাৎসল্য, সখ্য প্রভৃতি বহুতর ভাবপ্রবাহিণীর মিলনে নানা সঙ্গমতীর্থ হইয়া উঠিল । ভাব চৈতন্যদেবের, ভাষা বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের—বৈষ্ণব কবিতার ইহাই উপাদান। চওঁীদাসের অপেক্ষ বিদ্যাপতির অনুকরণ অনেক অধিক । তাহারই ভাষা ভাঙিয়া-চুরিয়া, গড়িয়া-গঠিয়া, রূপরস, ছন্দোবন্ধ, ঠামভঙ্গী, শবা, উৎপ্রেক্ষা, উপমা তাহারই পদাবলী হইতে লইয়া লোকমনোমোহন বৈষ্ণবকাথ্যসমূহ স্বজিত হইল । মিথিলাবাসী বিদ্যাপতি বাঙালীর কবি নয়, এমন কথা কে বলিবে ? যে বলে, সে রাধাকৃষ্ণপ্রেমরজু, গলায় দিয়া বৈষ্ণবকাব্যের অমৃতসায়রে ডুবিয়া মরুক ! যাহারা বিদ্যাপতির অগ্নকরণে কবিতা ও সঙ্গীত রচনা করেন, র্তাহাদিগের মধ্যে গোবিন্দকবিরাজ প্রধান। গোবিন্দদাস স্বয়ং প্রতিভান্বিত ক্ষমতাশালী কবি, কিন্তু বিদ্যাপতির আশ্রয়.তিনি কোনমতেই পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। বিদ্যাপতির শিষ্যত্ব তিনি অপুৰ্ব্ব কৌশল ও কবিত্বের সহিত স্বীকার করিয়াছেন— বিদ্যাপতিপদ মোহে উপদেশল • ब्रांश्! ब्रर्मैश्याः श्म। !. গোবিলদাস কহ কোন হেরল যে হেরি লাগরে ধন্দ ॥