পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] স্বীকার। دادند ম্বেৰু জৈহাদিন সাহেবের নিকট আমি ধৰ্ম্মার্থ যুদ্ধসঙ্কল্পের কথা লিখিয়া অনুমতি প্রার্থনা করিলাম। তিনি আমার পত্রের একপাশ্বে এই উত্তর লিখিয়া পাঠাইলেন– এতদ্বারা আবুল গাজি তাইমুরকে (ঈশ্বর তাহার সহায় হউন) জানান যাইতেছে যে, এই ধৰ্ম্মকার্য্যের জন্ত ঈশ্বর তাহাকে ইহকালে ও পরকালে বিশেষরূপ পুরস্কৃত করিবেন, এবং তিনি নিৰ্ব্বিঘ্নে বিজয়ী হইয়া ফিরিয়া আসিতে পারিবেন।’ তিনি আমাকে একখানি বুহৎ তরবারি পাঠাইলেন, আমি তাহাই আমার রাজদণ্ডস্বরূপ ব্যবহার করিতে লাগিলাম।” উপরোক্ত বিবরণ হইতে দেখা যায়, তাইমুর রত্নলোভে দিগদেশ জয় করিয়া বেড়ান নাই,— তিনি প্রচারক ও ধৰ্ম্মযাজকের বেশে ভারতবর্ষে পদার্পণ করিয়াছিলেন । তিনি গুরুর আশীৰ্ব্বাদ মস্তকে ধারণ করিয়া ধৰ্ম্মোদেণ্ডে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছিলেন,—তিনি ভারত বর্ষের রত্নভাণ্ডারের প্রতি গৃধ্ৰুৰৎ লোলুপ দৃষ্টিপাত করিয়া এই দেশকে গ্রাস করিতে আইসেন নাই। ধৰ্ম্মবিশ্বাস উন্মত্তকে শ্রদ্ধাস্পদ করে, বৰ্ব্বরের মস্তকে সন্ত্রমের উষ্ণাষ বাধিয়া দেয় । আমাদের নিরীহদেশ অন্ধ ধৰ্ম্মপ্রচারকগণের হস্তে বারংবার বিড়ম্বিত হইয়াছে, তথাপি অকপট বিশ্বাসের প্রতি একটা শ্রদ্ধার ভাব না হইয়া যায় না । ষের পরদেশের প্রতি লোলুপদৃষ্টি ঘূণার উদ্রেক করে । স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টায় হৃদয়ের উচ্চ ভাবগুলি শুষ্ক হয়,—কপটতা দ্যায়ের ছদ্মবেশ পরিয়া প্রতারণা করিয়া যার, এবং কোন উচ্চ আদশের প্রতি লক্ষ্য স্থির রাথ৷ অসম্ভব হয় । ধৰ্ম্মের অন্ধতা শুধু ফলাফলের হিসাবে তুল্য বা অধিকতর অনিষ্টকর হইলেও, উহাতে মানুষের উন্নত ভাবগুলিকে সতেজ ও পরিপুষ্ট করিয়া আদর্শকে সমুজ্জ্বল করে এবং বৰ্ব্বরতাকে ত্যাগের ভাবে মহিমান্বিত করিয়া দেখায় । ঐদীনেশচন্দ্র সেন । AAAAAAAS AAASASASSMSSTSS স্বীকার । সবার মাঝারে ভোমারে স্বীকার করিব হে ! সবার মাঝারে তোমারে হৃদয়ে বরিব হে ।” শুধু আপনার মনে নয়, •আপন খুরর কোণে নর, শুধু আপনার রচনার মাঝে নহে ! তোমার মমি যেথা উজ্জ্বল রহে,