পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\ba দাড়াইবে । খোদাতালা এই ব্যাপারে অব শুই তাহাকে বিজয়ী করিবেন এবং তিনি অচিরে গাজি ও মুজাহিদের গৌরব প্রাপ্ত হইবেন।’ % “কুমার শা’রুকু বলিলেন—‘ভারতবর্ষ অতি বিস্তৃত সাম্রাজ্য,—সেস্থান অধিকার করিতে পারিলে আমরা পৃথিবীতে সৰ্ব্বোচ্চ সম্মান পাইব.। আমি পারস্তদেশীয় সুলতানগণের ইতিহাসে পড়িয়াছি যে, ভারতরর্ষের সম্রাটুগণ গৰ্ব্বিত ‘দারাই উপাধি গ্রহণ করেন। পারস্তের সুলতানের উপাধি—“কি শ্র', তাতারাধিপতিগণের উপাধি—'খাকন, চীনসম্রাটের উপাধি—“ফাগফুর" এবং ইরান ও তুরাণের অধিপতির উপাধি—“শাহানশা’। ভারতববীয় সম্রাটুগণ সৰ্ব্বদাই “শাহানশা’র আমুগত্য স্বীকার করিয়। আসিয়াছেন । আমরাই খোদাতালার ইচ্ছায় এখন ইরান ও তুরাণের শাহানশা’—মুতমাং ভারতবর্ষের রাজগণের উপর আমাদিগের প্রভুত্ব না থাকা বড়ই ক্ষোভের বিযয় ।” “কুমার মহম্মদ মুলতান বলিলেন—"যে দেশের অধিবাসিগণের অধিকাংশই কাফের, পৌত্তলিক এবং সুয্যের উপাসক, তাহাদিগের মধ্যে সত্যধৰ্ম্মপ্রচারের চেষ্টা অবগুকৰ্ত্তব্য। আর শুনা যায় যে, ভারতবর্ষে হীরা, স্বর্ণ ও রৌপ্যের ১৭টি খনি আছে, সে দেশের তৃণগুল্ম চিরহরিৎ ও মঞ্চবর্ণ, ফুল না থাকিলেও সেখানকার তরুরাজ, মগন্ধি, সেখানে অপৰ্য্যাপ্ত ইক্ষু জন্মে। এস্থান অধিকারভুক্ত রাখা প্রয়োজনীয়।’ “কিন্তু কোন কোন সচিব বলিলেন— *cখাদাতালার প্রসাদে আমরা ভারতবর্ষ জয় বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, অষিাঢ় । করিতে পারি, কিন্তু সেখানে যাইয়া যদি বাসস্থাপন করি, তবে আমাদের সন্তানগণের সকল বিষয়ে অবনতি হইবে এবং কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই আমরা তদেশবাসিগণের দ্যায় বলবীৰ্য্যশূন্ত ও ভীরু হইয়া পড়িব ।” এই কথায় আমিরগণ ও সেনাপতিবর্গ বড়ই বিচলিত হইয়। পড়িলেন। তখন আমি তাছাদিগকে বলিলাম —“আমার উদ্দেশু নয় যে, সেখানে যাইয়া বাস করা হইবে । এই ধৰ্ম্মযুদ্ধের একমাত্র উদ্দেশু, আমি তদেশবাসীদিগকে পবিত্র ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিক— সে দেশের ঘৃণিত পৌত্তলিকতা, বহু ঈশ্বরের উপাসনা এবং নাস্তিকতার ভিত্তি বিচলিত করিব—তাহাদের মন্দির ও বিগ্রহগুলা চুর্ণবিচূর্ণ করিয়া ফেলিব এবং খোদাতালার নিকট গীজি ও মুজাহিদ বলিয়া প্রতিপন্ন হইব ।” “আমার কথায় সকলে যেন একটু অনিচ্ছাসত্ত্বেও সম্মতিপ্রদান করিল, কিন্তু এইসমঘ শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতমণ্ডলী উপস্থিত হইয়া বলিলেন—“যাহারা বিশ্বাস করেন, “খোদাতালা একমাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বর এবং মহম্মদ র্তাহার দুত”, তাহদের কর্তব্য -সৰ্ব্বত্র ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করা এবং যে-কোন স্থানে সত্যধন্মের শক্র থাকে, তাহাদের বিরুদ্ধে সাগ্রাম ঘোষণা করা-ইহা অপেক্ষ উন্নততর ব্রত ইসলামধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের আর কিছু নাই। এই উৎসাহপূর্ণ শাস্ত্রব্যাখ্যায় সমবেত মুধীমণ্ডলীর সমস্ত দ্বিধা ঘুচিয়া গেল, তাহারা জাস্থ পাতিয়া বসিয়া খোদাতালার স্তুতি করতে লাগিলেন এবং হিন্দুস্থানধাত্রার *উদ্যোগে প্রবৃত্ত হইলেন। গুরু হজরত