পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। “গুরুদক্ষিণ ।” * حــســحنتين ونعيلان نتيجة ( সমালোচনা । ) সতীশ যখন প্রথম আমার কাছে আসিয়াছিল, সে অধিকদিনের কথা নহে। তখন সে কিশোরবয়স্ক—কলেজে পড়িতেছে —সঙ্কোচে-সন্ত্রমে বিনম্র --মুখে অল্পই কথা । কিছুদিন আলাপ করিয়া দেখিলাম, সাহিত্যের হাওয়াতে পক্ষবিস্তার করিয়াদিয়া সতীশের মন একেবারে উধাও হইয়। উড়িয়াছে। এ বয়সে অনেক লোকের সঙ্গে আমার আলাপ হইয়াছে, কিন্তু এমন সহজ অস্তরঙ্গতার সহিত সাহিত্যের মধ্যে আপনার সমস্ত • অন্তঃকরণকে প্রেরণ করিবার ক্ষমতা আমি অন্তর দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। সাহিত্যের মধ্যে ব্রাউনিং তখন সতীশকে বিশেষভাবে আবিষ্ট করিয়া ধরিয়াছিল। খেলাচ্ছলে ব্রাউনিং পড়িবার জো নাই । ষে লোক ব্রাউনিংকে লইয়া ব্যাপৃত থাকে, সে হয় ফ্যাশানের খাতিরে, নয় সাহিত্যের প্রতি আকৃত্রিম অঙ্কুরাগবশতই এ কাজ করে । আমাদের দেশে ব্রাউলিঙের ফgশান বা

  • y সতীশচন্দ্র রীর প্রদত। বোলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয়

ব্রাউলিঙের দল প্রবৰ্ত্তিত হয় নাই, সুতরাং ব্রাউনিং পড়িতে যে মনোনিবেশের শক্তি, যে অনুরাগের বল আবগুক হয়, তাহ বালক সতীশেরও প্রচুরপরিমাণে ছিল । বস্তুত সতীশ সাহিত্যের মধ্যে প্রবেশ ও সঞ্চরণ করিবার স্বাভাবিক অধিকার লইয়া আসিয়াছিল । যে সময়ে সতীশের সহিত আমায় আলোপের স্বত্রপাত হইয়াছিল, সেই সময়ে বোলপুরষ্টেশনে আমার পিতৃদেবের স্থাপিত “শাস্তিনিকেতন “নামক আশ্রমে আমি একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলাম। ভারতবর্ষে প্রাচীনকালে দ্বিজবংশীয় বালকগণ যে ভাবে, যে প্রণালীতে শিক্ষালাভ করিয়া মানুষ হইত, এই বিদ্যালয়ে সেই ভাব, সেই প্রণালী অবলম্বন করিয়া বৰ্ত্তমানপ্রচলিত পাঠ্যবিষয়গুলিকে শিক্ষা দিব, এই আমার ইচ্ছা ছিল। 'গুরুশিষ্যের মধ্যে আমাদের দেশে যে আধ্যাত্মিক সম্বন্ধ ছিল, সেই সম্বন্ধের মধ্যে থাকিয়া ছাত্ৰগণ ব্রহ্মচৰ্য্য পালনপুৰ্ব্বক শুদ্ধ হইতে ত্রকাশিত মূল্যw ছয় আন।