পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వీనశి বঙ্গদর্শন । ৪র্থ বর্ষ, শ্রাবণ। , ক্রম হইয়াছিল। দ্বিশত বৎসর পূৰ্ব্বে ইতিহাসসঙ্কলনের প্রথম চেষ্টার স্বত্রপাত হয় । রাজকুমার মিটে তাহার প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। তাহার উৎখহে যে ইতিহাস সঙ্কলিত হইয়াছিল, তাহ যাপানের কাব্য, উপন্যাস ও সঙ্গীতের মধ্যেও পূৰ্ব্বগৌরবের প্রভাব বিস্তার করিয়াছে । যাপানবাসী তাহাদের পুরাতত্ত্বের মধ্যে আত্মত্যাগের পুণ্যকাহিনী প্রাপ্ত হইয়া, আত্মবিসর্জনকে পরম পুণ্যব্রত ৰলিয়া শিক্ষালাভ করিয়াছে। সে শিক্ষা যাপানের আবালবৃদ্ধবনিতাকে স্বদেশসেবায় আত্মোৎসর্গ করিবার জন্ত উত্তেজিত করিয়া আসিতেছে । পুরাতন ইতিহাসের মধ্যে ধাপানের দ্বিবিধ অবস্থার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করিবার পূৰ্ব্বে যাপানের অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহার সহিত পরবর্তী কালের সমালোচনা করিবামাত্র, যাপানকে “ভাবের মাতৃভূমি’র উদ্দেশে ভক্তিবিস্ময়ে প্ৰণিপাত করিতে হয় । এশিয়া এক এবং অথও মহাদেশ । এশিয়ার ধৰ্ম্ম মানব-ধৰ্ম্ম । এশিয়ার জ্ঞান ক্ষুদ্র হইতে বৃহতের দিকে মানবপ্রাণকে আকর্ষণ করে । এশিয়া সম্ভোগ অপেক্ষা ত্যাগের প্রাধান্ত কীৰ্ত্তন করিয়া থাকে। এই সকল শিক্ষা পুরাতন ইতিহাসের প্রত্যেক ঘটনার ভিতরদিয়া পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে। এই শিক্ষার প্রাধান্ত লোকচিত্তে দৃঢ়মুদ্রিত হইবামাত্র, লোকে ইউরোপীর শুক্তিসাম্রাজ্যের অন্তঃসারশূন্ত উচ্ছম্বল বৰ্ব্বরতার প্রকৃত মূল্যনির্ণয়ে সমর্থ হইয়াছে। এশিয়া গঠনশীল প্রতিভা লইয়া মানবসমাজে শাস্তির পুণ্যসাম্রাজ্য গঠিত করিবার আয়োজন করিয়াছিল। ইউরোপ ধবংসশীল প্রতিভা লইয়া বৰ্ব্বরের গুণয় মানবসমাজের শাস্তিসৌধশিখরে নিরস্তর লৌহদণ্ডের আঘাত করিয়া আসিতেছে । একদা অসভ্য বরর্বর, পুরাতন সভ্যতার কীৰ্ত্তিচিহ্লস্বরূপ সমুন্নত সোধাৰলী ধূলিলুষ্ঠিত করিয়া বস্থদ্ধর অন্ধকার করিয়া ফেলিয়াছিল । আবার স্বসভ্য বৰ্ব্বরগণ বর্তমান সভ্যতার অতৃপ্ত দিগ্বিজয়লালসায় বসুন্ধরার শাস্তিসাম্রাজ্য চূৰ্ণবিচূর্ণ করিবার জন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছে । যাপান তাহার ধে তীব্র প্রতিবাদ कब्रिवांब्र खछ न७iब्रभान श्ब्रांtछ्, उश इंडिহাসের প্রতিৰাদ। তাহার প্রকৃত অর্থ— শাস্ত হও ; যথেষ্ট হইয়াছে । ভারতবর্ষ তর্কবলে যে শিক্ষার বিস্তার সাধন করিয়া পৃথিবীকে প্রেমপুণ্যে সমুন্নত করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, সে চেষ্ট ব্যর্থ হইয়াছে দেখিয়া, যাপান বাহুবলে সেই পুরাতন শিক্ষাই অভিনব উপায়ে প্রচার করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছে। এই জ্ঞানবিস্তারে অকুতোভয় যাপান সন্ন্যাসীর দ্যায় সহাস্তমুখে আত্মবিসর্জন করিয়া এশিয়ার বিজয়ঘোষণা করিতেছে । ইহার সহিত সামরিক জয়পরাজয়ের ংস্রব নাই । সমরক্ষেত্রে পরাজিত হইলেও মানবসমাজের ইতিহাস ধাপানের বিজয়ঘোষণা করিতে বাধ্য হইবে । সে বিজয়ের মূলমন্ত্র ভারতবর্ষ হইতেই দিগ্বদিগন্তে প্রচারিত হইয়াছিল। ভারতবর্ষের পুরাকালের জ্ঞানগৌরব যে যাপানকে সমুন্নত করিয়াছে, এ কথা ইউরোপীয় পণ্ডিতবর্গও অস্বীকার করিতে পারেন না। "ভারতবর্ষের আধুনিক দুঃখদুর্দশ যাপানের