পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌতমমুনি ও হায়দর্শন। • SAASASAAAeeAeSAASAASAAAS কিছুদিন পূৰ্ব্বে জনৈক বিজ্ঞ বিষয়ী লোকের সঙ্গে আমার দ্যায়সংক্রান্ত কতিপয় কথার আলোচনা হয়। সেই আলোচনা লিপিবদ্ধ করায় এই প্রবন্ধ জন্মলাভ করিয়াছে । তাহাই পাঠ করিতে আমি অদ্যকার সভার উপস্থিত হইয়াছি। এক্ষণে ইহার দ্বারা শ্রোতৃবর্গের যৎকিঞ্চিৎ পরিতোষ জন্মিলেই আমি সমস্ত শ্রম সফল বোধ করিব । প্রথম কথা, এভদেশীয় ষড় দর্শন। তন্মধ্যে ষে মুনির যে দর্শন, তাহা একটি শ্লোকে গাথা पत्रां८छ् । पृ५ीं : “কপিলন্ত কণাদস্ত গৌতমস্ত পতঞ্জলেঃ । বাসস্ত জৈমিনেশ্চাপি দর্শনানি ঘড়েব হি ।” কপিলের দর্শন, কণাদের দর্শন, গৌতমের দর্শন, পতঞ্জলির দর্শন, ব্যাসের দর্শন, ও জৈমিনির দর্শন, এই ষড় দর্শন। তন্মধ্যে গৌতমের দর্শন—ষ্ঠায় । স্তায় বলিলে আমরা গৌতমের দর্শনই বুঝি সত্য, পরস্তু গৌতমের দর্শন ব্যতীত আরও অনেক স্থায়নামের নামী আছে ;—যেমন কাকতালীয়স্ল্যায়, সামান্তবিশেষন্তার, বীজাঙ্কুরন্তার, অন্ধপঙ্গুষ্ঠায়, স্থালীপুলাকম্ভার, ৰীচিতরঙ্গন্তার ও কৈমুতিকস্তায় প্রভৃতি। এই সকল ভায়ের উল্লেখ ও প্রচার ক্ষাব্য-অলঙ্কার, স্মৃতি পুরাণ ও ংখ্য-পাতঞ্জলদি দর্শন,সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হয়। এমন কি, লৌকিক আচারব্যবহারাদির মধ্যেও ন্যায়-অম্ভার-শব্দের সম্যগব্যবহার প্রচলিত রহিরাছে। কাজেই বলিতে হয়, কেবল গৌতমের দর্শনই যে ন্যায়পদবাচ্য, তাহ নহে । আরও অনেক দ্যায়পদবাচ্য আছে । যে সকল দ্যায়ের উল্লেখ করা হইল, ঐ সকলের কতক স্বতঃসিদ্ধ লৌকিক ঘটনার উদাহরণমাত্র । কতক পাণিনি প্রভৃতি ব্যাকরণকৰ্ত্তাীিগের প্রচারিত পরিভাষা, কতক বা ব্যাসজৈমিন্যাদি ঋবিদিগের অভিহিত সিদ্ধান্তকথা । অতএব ন্যায় বলিলেই যে কেবল গৌতমের ন্যায় বুঝিতে হইবে, তাহা নহে। তবে যদি ন্যায়শাস্ত্র, ন্যায়ুবিদ্যা বা ন্যায়দর্শন বলা যায়, তাহা হইলে গৌতমের ন্যায় ব্যতীত অন্য কোন ন্যায় বুদ্ধ্যারূঢ় হইবে না। কারণ এই যে, লৌকিক ন্যায়ের কোন শাস্ত্র নাই,—তাহা কোন বিদ্যা নহে, এবং ব্যাসজৈমিন্যাদির অভিহিত ন্যায় ও অধিকরণ ও মীমাংসা নামে স্ব প্রসিদ্ধ। লৌকিক ন্যায়ের অনেকগুলি পুস্তক त्रांप्ह বটে ; পরস্তু সে সকল পুস্তক শাম্বলক্ষণবর্জিত। সে সকল কেবল দৃষ্টশ্রাতামুযায়ী সংগ্ৰহমাত্র । জৈমিনি ও ব্যাসের এক একটি বিচার ন্যায়নামের নামী হইলেও, সমগ্রুশীয় ন্যায়লামের নামা নহে। কাজেই

  • গত ৫ই আষাঢ় রবিবার বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের বিশেষ অধিবেশনে পঠিত ।