পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘চতুর্থ সংখ্যা। ] আমরা ন্যায়শাস্ত্র বলিলে, গৌতমের দর্শন বুঝি, অন্য কিছু বুঝি না। ন্যায়শাস্ত্র বা ন্যায়দর্শন গৌতমপ্রণীত, এইটুকুমাত্র সর্ববিদিত ; কিন্তু তাহার বিষয় বকুলোকের অবিদিত । আজকাল বাঙলাভাষার এত উন্নতি যে, যে স্থানেই ষাই, সেই স্থানেষ্ট সাংখাপাতঞ্জলাদি দর্শনের আন্দোলন শুনিতে পাই, কিন্তু কুত্ৰাপি ন্যায়দর্শনের প্রসঙ্গ পর্য্যন্তও শুনিতে পাই না । তাহাতেই বোধ হয়, ন্যায়দর্শনের বিষয় সকল এখন ও সাধারণসমাজে অন্ধকারসমা. ছন্ন রহিয়াছে । সাঙ্খাপাতঞ্জলদিও এইরূপ অন্ধকাবমগ্ন ছিল ; অল্পদিন হইল, চলিতভাষায় তৎসংক্রান্ত পুস্তক প্রবন্ধাদি প্রচারিত হওয়ায় আজকাল কিছু প্রকাশপ্রাপ্ত হইয়াছে । সাজ্যপাতঞ্জলাদিতে যাহা আছে, তাহ। আজিকাল অনেকে জানিতে পারিয়াছেন, কিন্তু ন্যায়ে কি আছে, তাহা কোন ও ৱিষয়ী লোক অদ্যাপি বিদিত হইতে পারেন নাই । কেবল শ্রাদ্ধসভার বিচার শুনিয়া ॐाशद्रा স্থির করিয়া রাখিয়াছেন যে, ন্তায় শাস্ত্রে কেবল কতকগুলি ফঙ্কিক আছে, ভার ধর্মবহির কথা আছে, আর কিছুই নাই। তবে কোন কোন বিজ্ঞ বিষয়ী লোক আছেন, —পণ্ডিতমণ্ডলী যাহাদের নিকট সৰ্ব্বদ গতিবিধি করেন,—যদিও তাহারা জানেন যে, ন্তায়শূন্ত্র ঈশ্বরাচুমানের শাস্ত্র, তথাপি সে জানা ঠিক জানা নহে । তাহারা নব্যনৈরায়িকদিগের মুখে-মাত্র গুনিয়া ঐরূপ বলিয়া থাকেন। ফলত গৌতমের গ্রন্থে जेश्वब्रथठिनामक एकान श्र्ज नाइँ " ब्रेषब्र উপাস্ত কি বিজ্ঞেয়, তাহ গৌতমের দর্শনেও গৌতমমুনি ও স্যায়দর্শন। 粤 yసి(t বিচারিত হয় নাই। এতদীয় দর্শনের প্রথমেই প্রতিজ্ঞাস্বত্র, তন্মধ্যে প্রমাণ,. প্রমেয় প্রভৃতি ষোল পদার্থের উল্লেখ ;"ঈশ্বরের উল্লেখ নাই । প্রমেয়বিভাগে যে, আত্মার উল্লেখ আছে, লক্ষণ ও পরীক্ষাস্বত্র দৃষ্টে স্পষ্টই প্রতীত হয়, সেকথা জীবাত্মপর। গৌতমের মতে জীবাত্মবিষয়ক তত্ত্বজ্ঞানই মোক্ষপ্রদ ; ঈশ্বরতত্ত্বজ্ঞান মোক্ষপ্রদ কি না, তাহা গৌতমের গ্রন্থদ্বারা জানা যায় না। তবে চতুর্থ অধ্যায়ে প্রসঙ্গ ক্রমে ঈশ্বরের উল্লেখ দেথা যায় বটে, পরস্তু সে উল্লেখ উল্লেখমাত্র। তাই আমার বক্তব্য, নব্যনৈয়ায়িকগণ যে কিসে স্তায়দশনকে ঈশ্বরাচুমানের শাস্ত্র বলেন, তাহ আমি বিদিত নহি । যাহাই হউক, স্তায়শাস্ত্র ঈশ্বরামুমানের শাস্ত্র, এ কথাও বহুলোকে অবিদিত। সেই কারণে র্তাহার হ্যায়শাস্ত্রকে ফক্কিকার শাস্ত্র বলিয়া জানেন । অনেক বিষয়ী লোকের মনে ঐরূপ একটা কুসংস্কার থাকায়, তাহাদিগকে আমি অনেকবার ‘দ্যায়রত্ন’ ‘হ্যায়বাগীশ” প্রভৃতি ন্যায়শব্দঘটিত উপাধির অতি অদ্ভুত সমালোচনা করিতে শুনিয়াছি । একজন ব্যাকরণের পণ্ডিত, র্তাহার উপাধি ন্যামবাগীশ, আর একজন স্থতির পণ্ডিত, র্তাহার উপাধি ন্যায়রত্ন । যিনি ব্যাকরণের পণ্ডিত, তিনি যে ব্যাকরণোক্ত অন্তরঙ্গ-বহিরঙ্গাদি ন্যায় পড়িয়া ন্যায়বাগীশ, এবং যিনি স্মাৰ্ত্তপণ্ডিত্ব, তিনি জৈমিস্থ্যক্ত সংযোগপৃথকৃত্বাদি ন্যায় পড়িয়া ন্যায়রত্ন, এ রহস্ত বিষয়ী লোকে বিদিত নহে। প্রসিদ্ধি অমুসারে, বিষয়ী লোকে মনে করে, ইনি যখন, ন্যায় রত্ন, তখন ইনি অবশুই ন্যায় জানেন, অর্থাৎ