‘চতুর্থ সংখ্যা । ] শিল্পত্ত্বাণিজ্যাদির অবস্থা দর্শনে সেইরূপ একটা ভাবের উদয় হইবে, অথচ দেউস্করমহাশয় কোন উত্তেজিত বক্তৃতা প্রদান করেন নাই,-কতকগুলি সংখ্যাৰাচক অঙ্ক এবং সেন্সাস ও ষ্ট্যাটিষ্টিৰ হইতে সমুদ্ভূত কথা নিঃশথে একটি মৰ্ম্মচ্ছেদী দৃশু উদঘাটন করিয়া দেখাইবে। এই দৃপ্ত একটি বিয়োগান্ত নাটকের ন্যায়,—প্রভেদ এই যে, ইহাতে কাল্পনিক দুঃখের কথা নাই, ইহা অামাদের নিজেদের দুঃখদারিদ্র্য ও মৃত্যুর চিত্র প্রদর্শন করিতেছে । গ্রন্থকার ভিষকের ন্যায় আমাদের ক্ষতস্থানটি জাগাইয়াতুলিয়া বেদনাবোধের সঞ্চার করিয়াছেন।” ইহার অনতিদুর পরেই তিনি লিখিতে, ८छ्न। 3 “দেউস্করমহাশয় বলেন, পুনঃপুন আন্দো লন করিলে গভমেন্ট অবশুই আমাদের কথায় কর্ণপাত করিবেন ।” শিক্ষাটা কি এই হইল ? ইতিহাসে প্রমাণ হইতেছে, প্রবল জাতি ইচ্ছা করিয়া, চেষ্টা করিয়া দুৰ্ব্বলজাতির স্বত্ব নষ্ট করিতৃেছে ; ইহা হইতে কি এই সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, সেই প্রবল জাতির নিকট পুনঃপুন আন্দোলন, করিলেই লোপত্রদ্রৰ্য ফিরিয়৷ পাওয়া যায় ? ব্যাপারটা এতই সুহজ ? ইহায়ু উত্তরে আন্দোলনের দল বলিবেন —ভা ছাড়া আর কি করিব ? একটা ত কিছু করা চাই । আমরা বলি, কিছু যদি করিতেই হয় ত थे जब्ररक्षा ८ब्रीनना नञ्च ।* जांभरैिमब्र' बनि জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমরা এই ইতিহাস * সাময়িক প্রসঙ্গ । ૨૪છે হইতে লাভ করিবার বিষয় কি দেখিলে ? আমরা বলিব, লাভের বিষয় দেখিয়াছি, কিন্তু সেটা দরখাস্তপত্রিকা নহে। আমাদের লাভ এই যে, ইংরাজের অfদর্শ আমাদের হৃদয় জয় করিয়াছিল—স্বদেশের সকল দিক্ হইতে আমাদের হৃদয় বিমুখ হইতেছিল। মুখে আস্ফালন করিয়া যাহাই বলি, আমাদের অন্তঃকরণ বলিতেছিল—বিলাতী সভ্যতার মত সভ্যতা অার নাই। এই কারণে আমাদের দেশের আদর্শ কি, শক্তি কোথায়, তাহ যথার্থভাবে বিচার করিয়া বাহির করিতে পারিতেছিলাম না। প্যাটিয়টিজম-মূলক সভ্যতার চেহারা ইতিহাসে উত্তরোত্তর যতই উৎকট হইয় ফুটিয়া উঠিতেছে, ততই আমাদের হৃদয়ের উদ্ধার হইতেছে । ক্রমশই আমাদের দেশ ৰথার্থভাবে আমাদের হৃদয়কে পাইতেছে । ইহাই পরম লাভ । ধনলাভের চেয়ে ইহা অল্প লাভ নহে । অন্তপক্ষ বলিবেন, তবে দেশহিতৈষিতাটাকে তোমরা ভালই বল না। আমরা বলি, দেশহিতৈষিত কাহাকে বলে, তাহ লইয়া এত তর্কের বিষয় আছে যে, কেবল ঐ নামটাকে লইয়া মুখে মুখে লোফালুফি করিয়া কোনো ফল নাই। প্যাটিয়টিজমের প্রতিশব্দ দেশহিতৈষিত নহে। জিনিষটা বিদেশী, নামটাও বিদেশী থাকিলে ক্ষতি নাই —যদি কোনুে বাংলাশব্দই চালাইতে ছয়, তবে “স্বদেশিকতা” কথাটা ব্যবহার করা যাইতে পারে । o স্বাদেশিকতার ভাবখানা এই যে, স্বদেশের উন্ধে আর কিছুকেই স্বীকার না, করা। স্বদেশের লেশমাত্র স্বার্থে যেখানে বাধে না,