পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ২১৮ শোক করিতেছ কেন ? যুদ্ধে কেনই বা विभूषं ? অবিনাশি তু তদ্বিদ্ধি যেন সৰ্ব্বমিদং ততম্। বিনাশমব্যয়স্তান্ত ন কশ্চিৎ কত্ত মৰ্হতি ॥ অস্তবস্তু ইমে দেহ নিত্যস্তোক্তা: শরীরিণঃ । অনাশিলোইপ্রমেয়ন্ত তন্মাদযুদ্ধশ্ব ভারত । , § ১৮ সেই যে সৰ্ব্বব্যাপী পরমাত্মা, তাহাকে অবিনাশী জানিবে। এই অব্যয়ের কেহ বিনাশ করিতে সক্ষম নহে। নিত্য, অবিনাশী এবং অপ্রমেয় আত্মার এই দেহ নশ্বর বলিয়া কথিত হইয়াছে, অতএব হে ভারত ! যুদ্ধ কর । অজো নিত্য: শাশ্বতোহয়ং পুরাণে। ন হস্ততে হস্তমানে শরীরে : ইনি জন্মবিহীন, নিত্য, শাশ্বত ও পুরাণ, শরীর হত হইলে ইনি হত হয়েন না । পঞ্চদশ অধ্যান্ত্রে ভগবান স্পষ্টই বলিতে ८छ्न মমৈবাংশে জীবলোকে জীবভুত: সনাতন । মন:ষষ্ঠানীন্দ্রিয়াণি প্রকৃতিস্থানি কৰ্ষতি ॥ ৭ এই জীবলোকে সনাতন জীব আমারই অংশ। ইনি প্রকৃতিবিলীন পঞ্চেন্দ্রিয় ও মনকে আকর্ষণ করেন । কি আত্মজ্ঞান, কি ব্ৰহ্মজ্ঞান, গীতার উপদেশসকল বেদান্তভাবে অস্থবিদ্ধ ; যে সমস্ত বচন পূৰ্ব্বাপর উদ্ধৃত হইয়াছে, তাহ হইতে এ কথা স্পষ্টই প্রতিপন্ন হুইবে । বিশ্বরূপদৰ্শন’ অধ্যায়ে এই একাত্মভাব অপূৰ্ব্ব কবিত্বমাধুরীতে প্রস্ফুটিত। বেদান্তের সঙ্গে সঙ্গে ইহাতে সাংখ্য ও যোগতত্ত্বসকল উপদিষ্ট হইতেছে। প্রথম ছয় অধ্যায়ে যোগশাস্ত্রের অঙ্কুশাদিত কৰ্ম্মযোগ-শেষ ছয় অধ্যায়ের বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, ভাঙ্গ । অধিকাংশ সাংখ্যোক্ত উপদেশে পূর্ণ, মধ্যাংশ ও অন্তান্ত স্থানে বেদান্ত ;–গীতার রচনাপ্রণালী এইরূপ বুমিশ্র। কিন্তু এই পরস্পরবিরোধী তত্বের কি কোন বন্ধনস্বত্র নাই ? অবশু আছে এবং তাহা হুক্ষদশী স্বধাগণ দেখিতে পান। ফলত, এ কথা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন যে, সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয়েই গীতার প্রধান গৌরব। শ্ৰীকৃষ্ণ জানিতেন যে, সকল শাস্ত্রের শিক্ষা–সৰ্ব্বপ্রকার সাধনার একই লক্ষ্য—যিনি যে পথ দিয়া গমন করুন, সেই একই স্থানে গিয়া তাহাকে পৌছিতে হইবে – ধ্যানেনাত্মনি পশুস্তি কেচিদায়ানমাত্মন! । অস্তে সাংখ্যেন যোগেন কৰ্ম্মযোগেন চাপরে a অস্তে ত্বেবমজানন্ত: শ্রত্নাস্তেভ্য উপাসতে । ডেংগি চাতিতন্তেব মৃত্যু প্রতিপালা। কি কেহ কেহ ধ্যানযোগে, কেহ সাংখ্যযোগে, কেহ বা কৰ্ম্মযোগে আত্মাতে পরমাত্মাকে উপলব্ধি করেন। অন্তেরা তাহাকে এইরূপে জানিতে না পারিয়া গুরুর নিকট উপদেশ শ্রবণপুৰ্ব্বক তাহার উপালনায় প্রবৃত্ত হন । সেই শ্রুতিপরায়ণ ব্যক্তিরাও মৃত্যু হইতে উত্তীর্ণ হয়েন । এই সকল ভিন্ন ভিন্ন পন্থার লক্ষ্য ও গতি একষ্ট। এইহেতু গীতার প্রণয়নকালে যে সমস্ত দৰ্শনতত্ব প্রচলিত ছিল, তাহার কোনটিকেই তিনি উপেক্ষা করেন নাই—সকলকেই আপনার মতের সঙ্গে মিলাইয়া প্রশ্রয় দিতেছেন । এই সাৰ্ব্বভৌমতা গীতার একটি বিশেষত্ব । “গীতায় সাম্প্রদায়িকত বা "সঙ্কীর্ণতার লেশমাত্র মাইল সেইজন্য সকল শ্রেণীর দার্শনিক, ywo

  • সকল সম্প্রদায়ের সাধক গীতাকে সমান