পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ं२e বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, ভাত্র। একাদশ ইন্দ্রিয় ; পঞ্চতন্মাত্র হুইতে পঞ্চ তের উৎপত্তি কিরূপে হইল ? সাংখ্যোক্ত मशङ्कङ । পুরুষ = আত্মা, অনাদি, ইনি প্রকৃতিও নছেন, বিকৃতিও নহেন'। কোন কোন সাংখ্যকার ( তত্ত্বসমাস ) অষ্ট প্রকৃতি ও ষোড়শ বিকার, এই দুই শ্রেণীতে চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বকে বিভক্ত করেন । অষ্ট প্রকৃতি কিনা মূলপ্রকৃতি এবং বুদ্ধি, অহঙ্কার ও পঞ্চতন্মাত্র । এই শেষোক্ত সপ্তক যদিও প্রকৃতি হইতে উৎপন্ন, কিন্তু ইহারা ইন্দ্রিয় ও মহাভূতাদির স্বষ্টিকর্তা বলিয়৷ গৌণভাবে প্রকৃতি । এই অষ্ট প্রকৃতির ষোড়শ বিকার হচ্চে একাদশ ইঞ্জিয় ও পঞ্চমহাভূত । গীতার হ্রয়োদশ অধ্যায়ের ৫।৬ শ্লোকে এই চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বের উল্লেখ আছে— মহাভূতান্তহঙ্কারো বুদ্ধিরব্যক্তমেব চ। • ইন্দ্রিয়াণি দশৈকঞ্চ পঞ্চ চেন্দ্রিয়গোচরী: ॥৫ অব্যক্ত অর্থাৎ মূলপ্রকৃতি, বুদ্ধি অর্থাৎ মহৎতত্ত্ব, অহঙ্কার, পঞ্চতন্মাত্র অর্থাৎ শব্দাদি ইন্দ্রিয়গোচর বিষয়-পঞ্চ, একাদশ ইন্দ্রিয়, এবং পঞ্চমহাভূত। ইহাদের নাম সবিকার ক্ষেত্র। ইচ্ছা-দ্বেষ প্রভৃতি ক্ষেত্ৰধৰ্ম্ম পরের শ্লোকে কথিত হইয়াছে— ইচ্ছা দ্বেষ: হখং দু:খং সঙ্ঘাতশ্চেতনা ধৃতিঃ । এতৎ ক্ষেত্ৰং সমাসেন সবিকারমুদাহৃতম | ইচ্ছ, দ্বেষ, মুখ, দুঃখ, সঙ্ঘাড় অর্থাৎ দেহেন্দ্রিশ্নের সমষ্টি, চেতনা ও ধৃতি, এই দেহ ও মনোবৃত্তিসমুদায় ক্ষেত্রাস্তঃপাতী। ইহার সূৰ্ব্বসমেত সবিকার ক্ষেত্র। অব্যক্ত প্রকৃতি হইতে পঞ্চভূতময় জগ স্বষ্টিপ্রকরণ এই— প্রকৃতি গুণময়ী; সত্ত্ব, রজ, তম, এই গুণত্রয় প্রকৃতির অস্তনিহিত। প্রলয়কালে এই তিন গুণ সাম্যাবস্থায় থাকে—এই সাশ্যাবস্থার বিচু্যতি ঘটিলেই স্বষ্টিক্রিয়া আরম্ভ হয় । এই বিপ্লবে প্রকৃতির যে প্রথম পরিণাম, তাহাই মহৎতত্ত্ব, মহতের বিকার অহঙ্কার ; অহঙ্কারের বিকারে তমোগুণ প্রবল হইলে পঞ্চতন্মাত্র, এবং সত্ত্বগুণ প্রবল হইলে একাদশ ইন্দ্রিয় উৎপন্ন হয়। পঞ্চতন্মাত্রের বিকারে পঞ্চমহাভূতের উৎপত্তি। এই পঞ্চমহাভূত স্থলবিষয়ক্ষপে ও खोक्रमश्রূপে আমাদের উপভোগ্য হয় । সত্ত্বাদিগুণের সাম্যভঙ্গজনিত অব্যক্ত প্রকৃতির প্রথম পরিণাম ষে বুদ্ধি, তাছা কি ? বুদ্ধির অর্থ প্রকাশ, আলোক, চিৎপ্রভার প্রথম বিকাশ । যাহা স্বপ্তাবস্থা হইতে প্রবুদ্ধ করে, তাহাই বুদ্ধি। বুদ্ধির অপর নাম মহৎতত্ত্ব। এই মহৎতত্ত্বকে অস্তান্ত শাস্ত্রে ও জ্ঞানস্থানীয় বলা হইয়াছে । মহতের পরিণাম অহঙ্কার । আগে বুদ্ধিয় উদয়, পরে তদ্বিষয়ে অহঙ্কার অর্থাৎ আমি, অামার, এই বিশিষ্টজ্ঞান জন্মে। বিষয় ও বিষয়ীর পরস্পর প্রতিঘাত না হইলে এই জ্ঞান আমাদের আরম্ভ হয় না। জ্ঞানের এই যে নিশ্চয়াত্মক বিকাশ, তাহাই অহঙ্কারের কাৰ্য্য। অতএব বলা বাইতে পারে যে, অহঙ্কার হইতে জ্ঞানের কার্য্য আরম্ভ হয় । অহঙ্কার তাহার জ্ঞেয়বিষয়’ কোথা হইতে পায় । ইন্দ্ৰিয়সকল হইতে ;. ইজিয়ের * बुझि बि ? अग्निौ, श्रश्वङिद्मiढ=*षं, श्iश्नं,