পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] গীতার দর্শন। २९> রূপ, রস, গন্ধ , ইছারাই আবার পঞ্চমহাভূতের উপাদান। “অৰিশেষাৎ বিশেষারম্ভঃ” অর্থাৎ স্বক্ষ ভূতসকল হইতে স্থলভূতের উৎপ্লক্তি। এই নিয়মে, শব্দ হইতে আকাশ, স্পর্শ হইতে বায়ু, রূপ হইতে তেজ, রস হইতে জল, এবং আকাশ হইতে পৃথিবী যথাক্রমে উৎপন্ন হয়। পূৰ্ব্ব-পূৰ্ব্ব ভূত পরপর ভূতের কারণ, সেজন্ত পয়-পর ভূতে একএকটি অধিক গুণ বিদ্যমান আছে । আকাশের এক গুণ শব্দ ; বায়ু দ্বিগুণ-বিশিষ্ট; তেজে শব্দ, স্পর্শ, রূপ ত্রিগুণ , জলে শব্দস্পর্শ রূপ-রস এবং পৃথিবীতে শব্দ-স্পৰ্শ-রূপরস-গন্ধ অবস্থিত আছে। এই স্বক্ষভূত ও স্থলভূত ইন্দ্রিয়গণের ষাবতীয় বিষয়। মন ইন্দ্রিয়ের মধ্যেই গণ্য ;–জ্ঞানেন্দ্ৰিয়, কৰ্ম্মেঞ্জিয়, উভয়াত্মক অস্তরিক্রিয়। মনের ধৰ্ম্ম কি ? “কামঃ সঙ্কল্পে বিচিকিৎসা শ্রদ্ধাহস্রদ্ধা ধৃতিরধূতি খ্রীভীৱিত্যত সৰ্ব্বং মন এবেতি।" সঙ্কল্প, বিকল্প, কামনা ইত্যাদি মনোধৰ্ম্ম । এখন কতকটা জানা গেল, আমরা যে বাহৰস্তুর জ্ঞান লাভ করি, সেই জ্ঞানক্রিয়া সাংখ্যমতে কিরূপে সম্পন্ন হয় ? ইহা আরো একটুকু তলাইয়া বুঝিবার চেষ্টা করা যাউক। এই জ্ঞানক্রিয়ার প্রণালী দুই বিভিন্নপ্রকার বলা যাইতে পারে। এক এই যে, বিষয়জান প্রথমে মনোরাজ্যে প্রবেশ করে। * মন স্বোপার্জিত বিত্ত অহঙ্কারের নিকট আনিয়া দেয়। অহঙ্কার তাহ বাছিয়লইয়া বুদ্ধির হস্তে সমর্পণ করে। বুদ্ধিতে সেই জ্ঞান পরিণতিলাভ করিলে ভবে তাহ পুরুষের বোধগম্য হয়। এইরূপে ইন্দ্রিয়কর্তৃক বিষয়গ্ৰহণ, পরক্ষণে তাহ মনের নিকট অর্পণ ; সঙ্কল্লাত্মক মন হষ্টতে অহঙ্কারে, অহস্কার হইতে নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধিতে পৌঁছিয়া জ্ঞানের উত্তরোত্তর বিকাশ হয় । * প্রকৃতির চিত্রপটে জগৎচিত্রের এই যে ক্রমবিকাশ, তাহা আরোহী প্রণালীতে সম্পন্ন হয়। সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদীতে ইহার এই এক দৃষ্টান্ত లెtz ( రిఆ ) “গ্রামাধ্যক্ষগণ প্রজাদের নিকট হইতে রাজস্ব আদায় করিয়া যেমন বিভাগের কর্তৃপুরুষেয় হস্তে আনিয়া দেয়, ইনি আবার কোষাধ্যক্ষের নিকট প্রেরণ করেন, কোষা ধ্যক্ষ তাহা রাজার কাছে লইয়া যান ; সেইরূপ বাহেন্দ্রিয়গণ কোন বিষয় পাইবামাত্র মনের নিকট লইয়া যায়, মন তাহা দেখিয়া-লইয়া অহঙ্কারের হস্তে প্রদান করে, অহঙ্কার তাহা গণিয়া-গাথিয়া আত্মসাৎ করিয়া বুদ্ধির নিকট লইয়া উপস্থিত করে। বুদ্ধিতে প্রত্যক্ষ জ্ঞান ভাবনা বা প্রজ্ঞারপে পরিণত হয় ।” এই গেল আরোহী প্রণালী । অবরোহী প্রণালীতে বুদ্ধি হইতে আরম্ভ করিয়া বিষয়জ্ঞান অহঙ্কারে সঞ্চারিত হয়—সামান্ত হইতে বিশেষে, ব্যাপক হইতে সক্ষীর্ণে, সৰ্ব্বগত হইতে বস্তুগত ক্ষেত্রে অবতরণ করে। বুদ্ধি সারসত্যের মালোক ধারণ করে, অহঙ্কার তাহা আপনার গণ্ডীর ভিতর আনিয়া স্বায়ত্ত was wors (objective) Ksawre wfoss (subjective) was westers কাৰ্য্য। বুদ্ধিতে জ্ঞানের উদ্রেক, অহঙ্কারে জ্ঞানের কার্য্য পরিসমাপ্ত হয়। মন অন্তরিক্রিয়, ইনি দ্বারপালের কার্ষ্য করেন ; এই প্রহরীর