পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

طرا बक्रमलनं । [ ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ। . ব্যাসদেৰই গীতার প্রণেতা বলিয়া • সাধারণ লোকের ধারণা। ঐক্কপ ধরিয়া লওয়া ভিন্ন গত্যন্তর নাই, কেন না, গীতাকারের নামধাম ভারতসাহিত্যে কুজাপি দৃষ্ট হয় না। গীতার রচনাকৌশলে প্রকাশ পায় যে, উহাতে ভগবৎপ্রচারিত ধৰ্ম্ম সঙ্কলিত হইয়াছে, কিন্তু গীত-. গ্ৰন্থখানিকে কি ভগবৎপ্রচারিত বলা যাইতে পারে ? ইহাতে অৰষ্ঠ অনেক পরমার্থতত্ত্ব সন্নিবিষ্ট আছে, অনেক সারান ধৰ্ম্মোপদেশ, আছে, কিন্তু তাছা বলিয়া ইহার সকল কথাই যে অভ্রান্তরূপে গ্রহণ করা মাইতে পারে, তাহ নহে। ঈশ্বরপ্রণীত গ্রন্থের যে সকল লক্ষণ প্রত্যাশিত, তাহা ইহাতে সৰ্ব্বাংশে বিদ্যমান আছে, আমি এ কথা স্বীকার করিতে প্রস্তত নহি। দ্বিতীয়ত, যদি শ্ৰীকৃষ্ণ সত্যই গীতার রচনাকৰ্ত্ত হন, তবে গীতাকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সমসাময়িক বলিতে হয়। কিন্তু কুরুপাওবের যুদ্ধ যে গীতরচনার বহুকাল পূৰ্ব্বে সঙ্ঘটিত, সে বিষয়ে তিলমাত্র সন্দেহ নাই । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বেদসঙ্কলনের সমকালীন ঘটনা, খৃষ্টপূৰ্ব্ব সহস্ৰাধিক বৎসরের পূৰ্ব্বৰী, ইহা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিবেন। এবং গীতার জন্ম বৈদিক সময়ের অনেক পরে, বোধ করি ইহাও কেহ অস্বীকার করিবেন না। গীত “ শ্রুতি নহে, স্থতির

  • মধ্যে গণ্য । to. 尊

গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ ঈশ্বরাবতার বলিয়া আপনার পরিচয় দিতেছেন। যদি শ্ৰীকৃষ্ণ তাহাৰু আবির্ভাবকালে ঈশ্বরবিতাররূপে আর্যসমাজে গৃহীত হইতেন, তাহ হইলে সে সময়ে অথবা তাহার তিরোভাবের পরে ধৰ্ম্মরাজ্যে ঘোরতর বিপ্লব উপস্থিত হইবার সম্ভাৰম্বু, যেমন খৃষ্টের আবির্ভাবকালে হইয়াছিল ; যদি তাহা হইত, তবে পরবর্তী শত শত বৎসরের সাহিত্যে তাহার কোন নাকোন নিদর্শন থাকা সম্ভব, কিন্তু তাহা কোথায় ? ব্রাহ্মণ বল, আদিম উপনিষদ বল, কোথাও এ কথার কোন প্রসঙ্গই নাই । শতপথব্রাহ্মণ, যাহা কুরুপাঞ্চাল প্রদেশে বিরচিত, যাহাতে মহাভারতের অনেক বীরের নাম প্রাপ্ত হওয়া যায়, শ্ৰীকৃষ্ণ ঈশ্বরাবতার বলিয়া তাহার কোথাও উল্লেখ নাই । ছান্দোগ্য উপনিষদে তিনি ঘোর আঙ্গিরসের শিষ্য, দেবকীপুত্ৰ বলিয়া কথিত, ঈশ্বরের অবতার বলিয়া পরিচিত নহেন। এই সকল গ্রন্থের পর অনেককাল পর্য্যন্ত কৃষ্ণ মহাপুরুষ বলিয়া খ্যাত, কিন্তু দেবতা বলিয়া অর্চিত নহেন। পাণিনিতে “বাস্থদেবার্জনাভ্যাং বুন’ বলিয়া একটি স্বত্র আছে, তাহা হইতে এইটুকু পাওয়া যায় যে, তখনকার কালে কৃষ্ণাৰ্জুনভক্ত কোন উপাসকসম্প্রদায় ছিল, কিন্তু গীতাতে দেবমণ্ডলীর মধ্যে শ্ৰীকৃষ্ণের ধেরূপ একাধিপত্য স্থচিত, ভদস্থযায়ী বিশ্বাস ঐ সুত্র হইতে প্রমাণিত হয় না। পাণিনির মহাভাষ্যে ও কৃষ্ণের ঈশ্বরত্বের কোন নিদর্শন নাই । g এই ত একপ্রকার প্রমাণ। এখন দেখা যাউক, গীতোক্ত ঘটনাটি কতদূর সম্ভব ? দুই পক্ষের সেনা বৃদ্ধিত হইয়া পরস্পর প্রচার করিডে উদ্যত, এমন সময়ে যে একপক্ষের সেনাপতি উভয় সৈন্তের মধ্যে রথস্থাপনপূর্বক অষ্টাদশ অধ্যায় যোগশাস্ত্র গুনিতে বসিবেন, এ কথাট বড় সম্ভৱপর বলিস্ট্র, বোধপ্ৰয় না। এই যোগে কৌরবসেনাপতিগণ কৃষ্ণাৰ্জুনের