পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• পঞ্চম সংখ্যা । ] কর্সিকাদ্বীপের একটি গল্প। S్చరిa ইয়া কাদিতে কঁাদিতে স্বরে ফিরিয়া বিশুমাতা মারীর মূৰ্ত্তির সামনে পড়ির কাতর প্রার্থনা করিতে লাগিল। ইতিমধ্যে মাটিয়ে৷ মাকীর রাস্তু ধরিয়া রশিচারপাচ তফাতে এক নাল পাইয়া তাহার মধ্যে নাবিয়া পড়িল। বন্দুকের বঁটি দিয়া ঠুকিয়া দেখিল, মাটি নরম, র্থোড়া সহজ । এ স্থান সে নিজের অভিপ্রান্ধের উপযোগী বোধ করিল । “ফটু নাটাে । ঐ বড় পাথরের ধারে গিয়া দাড়াও ” ৰালক বাপের কথামত সেখানে গিয়া হাটু গাড়িয়া পড়িল । “তুমি স্তবস্তোত্র যা জান, তা বল ।” “বাবা ! বাবা ! আমাকে মেরে ন৷ ৷ ” মাটিয়ে পুনরায় ভীষণস্বরে বলিল— “স্তোত্র বল !” ৰালক ফোপাইতে ফোপাইতে থতিয়েমতিয়ে দুই একটি স্তোত্র আওড়াইল । পিতা প্রত্যেকটির পর উচ্চকণ্ঠে শান্তিপাঠ করিল। “এ ছাড়া আর কিছু জান ?” “মারাস্তোত্র জানি বাবা, আর পিসিমা যে বন্দনাটা শিখিয়েছিলেন ।” “সেটা মস্ত লম্বা, য, হোৰু, তা-ও ৰল ।” বালক ক্ষীণকণ্ঠে বন্দনা সাঙ্গ করিল।

  • *c*श श्हेंब्राप्छ् ?”

“দোহাই বাব ! আমাকে মাপ কর, আমি আর কখনো কয়ূৰ ন । আমি স্বৰেদার-খুড়োর হাতে-পায়ে ধরে’ গ্যালেটোর সাজা মাপ করিয়ে দেৱ ।” সে কাদাকাটি করিতে থাকিল’। মাটিয়ে ৰন্দুকের ঘোড়া তুলিয়া লইয়াছিল, এক্ষণে নিশুনি ঠিক করিয়া কহিল—“ভগবানু তোমার ক্ষমা করুন - বালক উঠিয়া বাপের পা জড়াইয়া ধরিৰার প্রাণপণ চেষ্টা করিল, কিন্তু সময় পাইল না। মাটিয়ে বন্দুক ছাড়িল, ফটু নাটো কাঠের মত মরিয়া পড়িল । মড়ার দিকে একটিবারও না চাহিয়া মাটিয়ে ছেলেকে গোর দিবার জন্ত কোদাল আনিতে বাড়ী ফিরিল । দুই প। যাইতেই, গীসেপ বন্দুকের আওয়াজে ভয়ে অস্থির হইয়৷ ছুটিয়া আসিতেছিল, তাহার সঙ্গে দেখা হইল । সে কাদিয়া উঠিল—“কি করলে ?” “সুবিচার ” “সে কোথায় ?” “নালায় । আমি তাকে গোর দিতে চলিলাম। সে উপযুক্ত খৃষ্টানের মত মরেছে, আমি তার ভালরকম সৎকার করাব । বড়জামাইবাড়ী খবর পাঠিয়ে দাও, সে আমাদের সঙ্গে এসে থাকুক।” ঐস্বরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।