পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-পঞ্চম সংখ্যা । ] পল্লীর প্রাঙ্গণ মুখরিত। সমাজ বাহিরের সাহায্যের অপেক্ষ মাখে নাই এবং বাহিরের উপদ্রবে ঐ ভ্রষ্ট হয় নাই । .দেশে এই যে সমস্ত লোকহিতকর মঙ্গলকৰ্ম্ম ও আনন্দ-উৎসব এতকাল অব্যাহতভাবে সমস্ত ধনিদরিদ্রকে ধন্ত করিয়া আসিয়াছে, এজন্য কি চাদার খাত কুক্ষিগত করিয়া উৎসাহী লোকদিগকে দ্বারে দ্বারে মাথ৷ খুড়িয়া মরিতে হইয়াছে, না, রাজপুরুষদিগকে সুদীর্ঘ মস্তব্যসহ পরোয়ানা বাহির করিতে হইয়াছে । নিশ্বাস লইতে যেমন আমাদের কাহাকেও হাতে-পায়ে ধরিতে হয় না, রক্তচলাচলের জন্য যেমন টেন্‌হলমাটিং অনা বশুক—সমাজের সমস্ত অত্যাবশুক হিতকর ব্যাপার সমাজে তেমনি অত্যন্ত স্বাভাধিক নিয়মে ঘটিয়া আসিয়াছে । আজ আমাদের দেশে জল নাই বলিয়া যে আমরা আক্ষেপ করিতেছি, সেটা সামান্ত কথা । সকলের চেয়ে গুরুতর শোকের বিষয় হইয়াছে - তাহার মূল কারণটা । আজ সমাজের মনটা সমাজের মধ্যে নাই। আমাদের সমস্ত মনোযোগ ৰাহিরেয় দিকে গিয়াছে । কোনো নদী যে গ্রামের পাশ্ব দিয়া বরাবর বহিয়া আসিয়াছে, সে যদি একদিন সে গ্রামকে ছাড়িয়া অন্তর তাহার স্রোতের পথ লইয়া যায়, তবে সে গ্রামের জন্ম নষ্ট হয়, ফল হ, স্বাস্থ্য नटे श्ब्र, बांञिछT नछे झग्न, তাহার বাগান জঙ্গল হইয়া পড়ে, তাছুরি পূৰ্ব্বসমৃদ্ধির ভগ্নাৰশেষ আপন দীর্ণভিত্তির काभ्रेरण झांझेपण बछे-अश्वथ८क ७थथञ्च मिब्रा পেচকবাজত্বের বিহারস্থল হইয়া উঠে। • মানুষের চিত্তস্রোত মদীর চেয়ে সামান্ত স্বদেশী সমাজ । ఇురిసి জিনিষ নহে। সেই চিত্তপ্রবাহ চিরকাল বাংলার ছায়াশীতল গ্রামগুলিকে অনাময় ও আনন্দিত করিয়া রাখিয়ছিল- এখন বাংলার সেই পল্লীক্রোড় হইতে বাঙালির চিত্তধারা বিক্ষিপ্ত হইয়া গেছে । তাই তাহার দেবালয় জীর্ণপ্রায়—সংস্কার করিয়া দিবার কেহ নাই, তাহার জলাশয়গুলি দূষিত—পঙ্কোদ্ধার করিবার কেহ নাই, সমৃদ্ধঘরের অট্টালিকাগুলি পরিত্যক্ত—সেখানে উৎসবের আনন্দধ্বনি উঠে না । কাজেই এখন জলদানের কৰ্ত্ত সরকারবাহাদুর, স্বাস্থ্যদানের কর্তা সরকারবাহাদুর, বিদ্যাদানের ব্যবস্থার জন্তও সরকারবাহাদুরের দ্বারে গলবস্ত্র হইয়া ফিরিতে হয়। যে গাছ আপনার ফুল আপনি ফুটাইত, সে আকাশ হইতে পুষ্পবৃষ্টির জন্য তাহার সমস্ত শীর্ণ শাখাপ্রশাখা উপরে তুলিয়া দরখাস্ত জারি করিতেছে। না হয়, তাহার দরখাস্ত মঞ্জুর হইল, কিন্তু এই সমস্ত আকাশকুসুম লইয়া তাহার সার্থকতা কি ? ইংরাজিতে যাহাকে ষ্টেটু বলে, আমাদের দেশে আধুনিকভাষায় তাহাকে বলে সরকার । এই সরকার প্রাচীন ভারতবর্ষে রাজশক্তি-আকারে ছিল । কিন্তু বিলাতের ষ্টেটের সঙ্গে আমাদের রাজশক্তির প্রভেদ আছে । বিলাত, দেশের সমস্ত কল্যাণকৰ্ম্মের ভার ষ্টেটের স্থাতে সমর্পণ করুিয়াছে—ভারতবর্ষ তাছা আংশিকভাবে মাত্র করিয়াছিল। দেশের র্যাহার গুরুস্থানীয় ছিলেন, র্যাহারা সমস্ত দেশকে ৰিনা বেতনে বিস্তাশিক্ষা, ধৰ্ম্মশিক্ষা দিয়া জাসিয়াছেন, তাহাদিগকে পালন করা, পুরস্কৃত করা معصومعه خ» به ع ষে রাজার কর্তব্য ছিল ম',.ভাছ। মছে—