পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘পদ্ম সংখ্যা । ] আম গাড়িজুড়ি কোটুবুন্টু লইয়া অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছি ! হে সরকার, আমরা ‘লয়াল’, অতএব তুমিই সমস্ত করিয়া দাও— যদি না কর, তবে গালি দিব !” আমাকে ভুল বুঝিবার সম্ভাবনা আছে । আমি এ কথা বলিতেছি না যে, সকলেই আপন আপন পল্লীয় মাটি অঁাকৃড়িরা পড়িয়া থাক্, বিস্তা ও ধনমান অর্জনের জন্ত বাহিরে যাইবার কোনো প্রয়োজন নাই । যে আকৰণে বাঙালিজাতটাকে বাহিরে টানিতেছে, তাহার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেই হইবে —তাহতে বাঙালির সমস্ত শক্তিকে উদ্বো. ধিত করিয়া তুলিতেছে এবং বাঙালির কৰ্ম্মক্ষেত্রকে ব্যাপক করিয়া তাহার চিত্তকে ৰিস্তীর্ণ করিতেছে । কি স্তু এই সময়েই বাঙালিকে নিয়ত স্মরণ করাইয়া দেওয়া দরকার যে, ঘর ও বাহিরের বে স্বাভাবিক সম্বন্ধ, তাহ যেন একেবারে উল্টাপাণ্টা হুইয়া না যায়। বাহিরে অর্জন করিতে হইবে, ঘরে সঞ্চয় করিবার পদ্যই। বাহিরে শক্তি থাটাইতে হইলেও হৃদয়কে আপনার ঘরে রাখিতে হইবে । শিক্ষা করিব বাহিরে, প্রয়োগ করিব ঘরে । কিন্তু আমরা আজকাল—

  • ঘর কৈমু বাহির, বহির কৈম্বু ঘর, ન ঞ্চৈমু আপন, আপন શરૂ এইজন্ত কবিকথিত ‘ম্রোতের দেওলি’র মত ভাসিয়াই চলিয়াছি । -

এরূপ অবস্থা কোনোমতেই চিরকাল -থাকিতে পারে না । এইজন্স আপাতত স্রোতের অত্যন্ত প্ৰাৰল্য দেখিলেও মর্মকে इडान रहेरउ मेिहे ना । इश७ उ cनष* স্বদেশী সমাজ । ૨8૭ গেছে, একসময় ইংরাজিরচনার চর্চা দেশে অত্যন্ত প্রবল ছিল—তখনকার শিক্ষিত যুবকেরা বাংলাভাষাকে একান্তমনে ঘৃণা করিতেন। তখন কি কেহ কল্পনাওঁ করিতে পারিত যে, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলাভায়ায় আধুনিক কাব্যসাহিত্যের প্রথম অৰতারণা করিবেন এবং রিচার্ড সনের প্রিয়ছাত্র বাংলাভাষায় বাংলাসাহিত্যের ইতিহাস ও সমালোচনা লিখিতে অগৌরব বোধ করি বেন না । যেমন সাহিত্যে, তেমনি সকল দিকেই স্রোত ফিরিবে—ঘরে আসিতেই হইবে। চারিদিকে তাহার লক্ষণ দেখা দিতেছে। বাঙালীর সাহিত্যপ্রিয়তা একবার বাহিরে ফিরিয়া আসিবার ফলে আমরা দেখিতেছি, বঙ্গসাহিত্য আজ তাহার পৈতৃকসীমানা অনেকদূর পর্য্যস্ত ছাড়াইয়া গেছে । তাহার বিচিত্রশক্তি আজ নানাদিকে নানা আকারে আপনাকে নানাপথে ধাৰিত করিয়াছে । তেম্নি যাহাদের হৃদয় একবার বাহিরে ঘুরিয়া অবশেষে ঘরে ফিরিয়া আসিরাছে, তাহারা ঘরকে বড় করিয়া তুলিবে । বিধাতা এইজন্যই আমাদিগকে এমন করিয়া সকল দিক্ দিয়া ঘর হইতে খেদাইতেছেন—বাহিরটাকে এমন জবরদস্তি করিয়া বারংবার আমাদের রুদ্ধদ্বারের উপর সবলে নিক্ষেপ করিয়াছেন। তিনি ভারতবর্ষে ঘর-ৰাছিবুের একটা বৃহৎ সামঞ্জস্ত করিবেন। যেখানে পঞ্জিীৰনযাত্রার আয়োজন ছিল, সেখানে পরিপূর্ণ মনুষ্যত্বের বিচিত্র উপকরণ জাহরণ ও সঞ্চয় করিবার জন্য তিনি, আমা-- দিগকে আহবান করিয়াছেন ;- যেখানে