পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8ર বলিবে মহদাশয় ব্যক্তি, ইহা সরকারদত্ত , রাজামহারাজা উপাধির চেয়ে তাহাদের কাছে বড় ছিল । জন্মভূমির সন্মান ইহার অস্তরের সহিত বুঝিয়াছিলেন— রাজধানীর মাহাত্ম্য, রাজসভার গৌরব ইহাদের চিত্তকে নিজের পন্নি হইতে বিক্ষিপ্ত করিতে পারে নাই । এইজন্য দেশের গওগ্রামেও কোনোদিন জলের কষ্ট হয় নাই, এবং মনুষ্যত্বচর্চার সমস্ত ব্যবস্থা পল্লিতে পল্লিতে সৰ্ব্বত্রই রক্ষিত হইত। দেশের লোক ধন্ত বলিৰে, ইহাতে আজ আমাদের মুখ নাই ; কাজেই দেশের দিকে আমাদের চেষ্টার স্বাভাবিক গতি নহে। স্বস্থ অবস্থায় শারীরিক ক্রিয়ার প্রবৰ্ত্তক অব্যবহিত উত্তেজনা শরীরের মধ্যেই থাকে—যখন মৃগনাভি, অ্যামোনিয়া, সাপের বিষ দিয়া শরীরকে সক্রিয় করিতে হয়, তখন অবস্থাট। নিতান্ত ংশয়াপল্প । আজিকাল আমাদের সমাজশরীরের আভ্যন্তরিক উত্তেজনা ইহাকে কোনে কাজেই প্রবৃত্ত করিতে পারিতেছে না —বৈ মহাশয়ের বড়ি না হইলে একেবারে অচল । এখন সরকারের নিকট হইতে হয় ভিক্ষ, নয় তাগিদ দরকার হইয় পড়িয়াছে। এখন দেশের জলকষ্ট্রনিবারণের জন্য গবমেণ্ট দেশের লোককে তাগিদ দিতেছেন— স্বাভাবিক তাগ্নিদগুলা সব বন্ধ হইয়া গেছে। দেশের লোকের নিকটে খ্যাতি, তাহাও রোচে না। আমাদের হৃদয় যে গোরার কাছে দাসখৎ লিখিয়া দিয়াছে, আমাদের কুঁচি যে সাহেবের দোকানে বিকাইয় গেল ! – কে বলে, জলকঃনিবারণের সামর্থ্য আমাদের নাই ? একদা দেশের যে অর্থ দেশের বঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, তাতু। কল্যাণকৰ্ম্ম সাধন করিয়া চরম সার্থকতা লাভ করিত, আজ সেই অর্থ অজস্রধারায় মিলটনের আড়গড়, ডাইকের গাড়িখানা, ল্যাজারসের আসবাবশালা, হামানুকোম্পানির দজ্জির দোকানকে অভিষিক্ত করিয়া দিতেছে! স্বদেশের শুষ্কতালুতে জলবিন্দু দিবার বেলার টানাটানি না পড়িবে কেন ? ভিক্টোরিরা.মেমোরিয়ালে, লেডিডফরিন ফওে, ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের ঘোড়দৌড়ে, লাটসাহেবের অভ্যর্থনায় টাকা ঝরিয়া পড়িতেছে কখন ? যখন, সেই টাকা-জোগানকারী প্রজার দল দীপ্তমধ্যাভুে পানীয়জলের জন্ত হাহাকার করিতেছে, ষখন ম্যালেরিয়ায় তাহারা উৎসল্প হুইধা গেল, ষখন তাছাদের গরু-বাছুর চরিবার একছটাক জমি নাই, ষখন তাহাদের নিম্নভূমির উপর হইতে বর্ষার পর তিনচারমাস ধরিয়া জলনিকাসের কোনো উপায় থাকে না ! আর র্যাহারা পল্লী হইতে ৰাহির হইয়। गाभाल्न अवश श्हेप्ड पनि अवशब उखोर्न হইয়াছেন—তাছাদেরও ধনের আড়ম্বল্প ধরিবার স্থান সদরে এবং আড়ম্বরের উপায়ও বারো-আনা বিলাতা । ইহাতে যে টাকাগুলাই কেবল ৰাহিরে চলিয়া যায়, তাই। নহে, হৃদয়ও দেশে থাকে না । রুচির দ্বারা, অভ্যাসের দ্বার, আচরণের দ্বারা প্রতিমুহূর্তে বাহাকে অবজ্ঞা করি, তাহাকে সাহায্য করিবার জs যে কেবল আধিকশক্তির অভাব ঘটে, তাহা নহে—চিত্তশক্তিও থাকে না। সুতরাং তখন দেশহিতৈষিতার সর্ব७थशान्न दूणि ७हे० रुहेब्रा नाछांइ cय, “च्यांमब्र নিজে কিছুই করিতে পারিৰ না, কারণ