পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা। ] তপস্যা 1, ՞ՀԵ-ծ লাভ হয় নাই। বিশ্বামিত্রের দল এপৰ্য্যন্ত পরাজিত হইয়াই আছেন। কলির বিশ্বামিত্রের ততদুর তপোবল নাই যে, ত্রিশঙ্কুগণুের জন্ত একটি নুতন স্বৰ্গরাজ্য স্বষ্টি করিবেন । তবে তাহীদের ক্ষমতা যে একেবারেই নাই, তাহা নহে । ত্রেতার বিশ্বামিত্র তপোবলে যেমন কতকগুলি নক্ষত্র সৃষ্টি করিয়া ত্রিশস্কুকে সেই-কৃত্রিমু-নক্ষত্ররাজিপরিবৃত হইয়ু মনে মনে স্বৰ্গসুখ কল্পনা করিবার স্বযোগ প্রদান করিয়াছিলেন, সেইরূপ কলির বিশ্বামি এদের প্রভাবেও আমাদের ত্রিশস্কুগণের মনস্তুষ্টির জন্ত •কয়েকটি নক্ষত্রভূষণ প্রদত্ত হইয়াছে— swi C. S. I., C. I. E, Hon'ble, Rai Bahadur &c. &c. ı sif iftira fut»fş•fq এই সকল কৃত্রিম নক্ষত্রালোকে তাহাদের নিজ নিজ মনের অন্ধকার কতকটা দুর করিতে পারিয়াছেন, সন্দেহ নাই—কিন্তু যtহাদের স্বর্গগমনের জন্ত, ষে জনসাধারণের হিতকুমিনায়, এই মহাযজ্ঞ আরব্ধ হইয়াছিল, তাহারা পূৰ্ব্বে"যে তিমিরে” ছিল, এখনও “সেই তিমিরে” ডুবিয়া রহিয়াছে। বরং সম্প্রতি এই মহাযজ্ঞানুষ্ঠানের ফলে জনসাধারণের অজ্ঞানতিমির আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা হইয়া দাড়াইয়াছে। জাতীয়-মহাসমিতি সমধিষ্ঠিত, আবেদন=কারিগণের সক্রোধ প্রার্থনায় ইংরেজরাজ কিছুমাত্র কর্ণপাত করিতেছেন না দেখিয়, ইহার মধ্যে আর-এক নূতন প্রস্তাব উপস্থিত করা হইয়াছিল। সে কি ? না, কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে লাঠিখেলার ব্যবস্থা। অর্থাৎ জাতীয় মহাসমিতির বাগিগণের বক্তৃতার, ३ তেলে আমাদের নিম্ভাবপ্রাণে জাতীরতার তড়িচ্ছটা-ফুরণ হইবার যেটুকু বাকী থাকিবে, তাহাঁ নিশ্চয়ই লাষ্ট্রি "কাঠুকীশল্পে পূর্ণ মাত্রায় জাগিয়া উঠিবে। আর সেই লাঠিধারী বীরবৃন্দের শৌর্য্যবীৰ্য্যপরাক্রমবার্তা ডেন্সিগেটদিগের মুখে দেশবিদেশে প্রচারিত হইলে অতি অল্পকালমধ্যেই ভারতব্যাপী একটি অভিনব জাতীয়তা স্বল্প হইবে । যাহা হউক, ভিক্ষার্থিগণের সঙ্গে লাঠিয়াল দেখিয়া গৃহস্বামী ভয়ে ভয়ে গৃছত্যাগ করিয়া পলায়ন করিলে পাছে ভিক্ষণলাভের অত্যন্ত ব্যাঘাত ঘটে, এই আশঙ্কাতেই হউক অথৰi অন্ত যে কারণেই হউক, সেই লাঠিখেলার প্রস্তাবটি মহাসমিতিতে গৃহীত হয় নাই । কিন্তু তাহা না হইয়া থাকিলেও, শরীরস্থ বলদ্বারা হৃদয়স্থ সাহসের অভাবপূরণ হইতে পারে, এই আশ্বাসে ও ৰিশ্বাসে, এখনও স্থানে স্থানে সেই ৰীরত্বস্ফুরণকারী মহামস্ত্রের সাধন পুরাদমে চলিয়াছে;–বোধ হয় এই আশায় যে, এমন একদিন আসিৰে, যেদিন ইংরেজ সেই লাঠির ভয়ে bag and baggage এবং গোলাগুলি লইয়া রণতরিআরোহণে ভারতবর্ষ হইতে পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিবে । সে যাহা হউক, আপাতত এই লাঠিধারী বীরগণ হইতে ইংরেজ অপেক্ষা দেশীয় নিরীহ ভদ্রলোকদিগ্নেরই ভয়ের কারণ বেশী। - এই সকল বীয়গণের স্বগুশৌর্য্য উত্ত্বেজিত হইলে যখন র্তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইবেন, তখন রেলের গাড়িতে কিংবা গড়ের মাঠে তাছাদের উপযুক্ত হৰিনীত ইংয়েজশীকার না মিলিলে, তালুদের তৈলাক্ত লাঠি ও বজকঠোর ঘুলি যে অতি