পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ ষষ্ঠ সংখ্যা । ] সার সত্যের আলোচনা। “ Gevම් করির একাকী থাকিতে পারে না, শক্তি তেমনি অস্তি-ভাতির সহিত সম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়া একাকী থাকিতে পারে না। শুধুই কেবল সত্তা নহে, শুধুই কেবল শক্তি নহে, শুধুই কেবল প্রকাশ নহে ; পরস্তু অমুলোমক্রমে সত্তা হইতে শক্তির মধ্য দিয়া প্রকাশ পৰ্য্যস্ত এবং প্রতিলোম-ক্রমে প্রকাশ হইতে শক্তির মধ্য দিয়া সত্তা পর্য্যস্ত--- সবটা লইয়া এক অদ্বিতীয় অখণ্ডসত্য নিত্য-বর্তমান । সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ, এই তিনটি মৌলিকপদার্থের একাত্মভাৰের কথা এ যাহা ৰলিতেছি, এ কথার যাথার্থ একদিকে আমরা -বিম্পষ্টভাবে চক্ষের সম্মুখে দেখিতে পাই, আর-এক দিকে সংক্ষিপ্তভাবে হাতের কাছে দেখিতে পাই । বিস্পষ্টভাবে দেখিতে পাই বৃহৎ-ব্রহ্মাণ্ডে, সংক্ষিপ্তভাবে দেখিতে পাই ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডে । এখনকার কালের নুতন নুতন বিজ্ঞান এবং তত্ত্বজ্ঞানের আলোকে বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র উভয় ব্রহ্মাণ্ডের অনেকানেক নিগূঢ় তত্ত্ব অনেকে জানিতে পারিয়াছেন, কিন্তু একটি বিষয়ে বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতগণের এখনো চক্ষু ফোটে নাই—যদিচ পরমেশ্বরের কৃপায় আমাদের এই দীন-হীন-মলিন হতীক দেশের ইহা সামান্ত সৌভাগ্যের বিষয় নহে যে, মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত জগদীশচন্দ্র বসু সেই বিষয়টির রীতিমত পৰ্য্যালোচনায় প্রবৃত্ত , ইয়া ইহারি মধ্যে কতকগুলি অভাবিতপূৰ্ব্ব আশ্চৰ্য্য নুতন তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া পাশ্চাত্যু •ा७िख्नमाप्छ। झ्णहूण दाषाहेब्र। निग्राप्झ्न । সে বিষয়টি সংক্ষেপে এই –যাহা বৃহৎব্ৰহ্মাণ্ডে—তাইাই ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডে ; যাহা ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডে—তাহাই বৃহৎ-ব্রহ্মাণ্ডে। * ক্ষুদ্র-ব্ৰহ্মাও এবং বৃহৎ-ব্রহ্মাও, দোছে দোহার পর নছে—পরন্তু একেরই এপিটওপিট । খুব সংক্ষেপ্লে-বলিলাম —শুনিৰামাত্রই অনেকে অনেকপ্রকার ভুল বুঝিতে পারেন। অতএব তিনটি বিষয় পৃথক্ পৃথকৃ করিা দেখানো আৰশুক— ( ১ ) ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাওে সত্তা, শক্তি এবং জ্ঞানের অমুলোমক্রম এবং প্রতিলোমক্রম কিরূপ ; ( ২ ) বৃহৎ-ব্রহ্মাওে সত্তা, শক্তি এবং জ্ঞানের অমুলোমক্রম এবং প্রতিলোমক্রম কিরূপ ; ( ৩ ) উভয়ের মধ্যে একাত্মভাব কিরূপ এই তিনটি বিষয় পৃথকৃ পৃথক্ করি;য়৷ দেখানে আবশুক। তাহারই এক্ষণে চেষ্টা দেখা ৰাইতেছে । ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডের সত্তা,শক্তি এবং প্রকাশ । ক্ষুদ্র-ব্ৰহ্মাও আর-কিছু না—জীবাত্মা । জীবাত্মা এক বটে, কিন্তু তিন লইয়া এক— ( ১ ) আত্মসত্তা, ( ২ ) আত্মশক্তি এবং (৩) আত্মজ্ঞান, এই তিন লইয়৷ এক । পাশ্চাত্য দর্শনের আদিগুরু ৰলিয়াছেন—“আমি চিত্ত৷ করিতেছি, অতএব আমি আছি ।” দেকর্তার এই মূলবচনটির তাৎপর্ঘ্য শুধু এই যে, যেমন দূর হইতে তরঙ্গক্রীড়া দেখিলে সমুদ্রের অস্তিত্ব প্রতীয়মান হয়, তেমনি চিন্তা’র প্রতি লক্ষ্য নিবিষ্ট করিলে আত্মার অস্তিত্ব প্রতীয়মান হয়। তা বই, উছার জুর্থ কেহ যদি এরূপ বোঝেন যে, চিন্তার উপরেই আত্মার অস্তিত্ব নির্ভর করে, তবে সেটা তাহার বড়ই ভুল। তরঙ্গক্রীড়ার উপরেও সমুদ্রের অস্তিত্ব নির্ভর করে নৃ-চিম্ভার উপরেও আত্মার অস্তিত্ব নির্ভর করে না । কোনো মঙ্গুষ্যই চিন্ত করিয়া পৃথিবীতে • আসেন