পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిe 8 নাই, চিন্তা করিয়া বাচিয়া থাকেন না, চিন্তা কৃরিয়া পৃথিবী হইতে অবস্থত হ’ন না। “আমি চিন্তা করিতেছি, অতএব আমি আছি” —এ কথাটির অর্থ শুদ্ধকেবল এই যে, চিস্তাতে আত্মশক্তি স্ফক্তি পায় এবং আত্ম শক্তির ফুৰ্ত্তিতে আত্মসত্তা অভিব্যক্ত হয়। আত্মসত্তা, আত্মশক্তি এবং আত্মপ্রকাশ, এই তিনের কোনোটি অপর দুইটিকে ছাড়িয়া একাকী থাকিতে পারে না । পাশ্চাত্য দশন কারের সাক্ষাৎউপলব্ধিকে থাটো করিয়া চিস্তাকে বেশীমাত্রা বাড়াইয়া তুলিয়াছেন—ইহা তাহাদের কথ। বাৰ্ত্তার ভাবে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায়। কাণ্ট কিন্তু বুঝিয়াছিলেন যে, সাক্ষাৎ উপলব্ধি ব্যতিরেকে চিন্তা ফাক। কিন্তু হইলে কি হয়—তিনিও ইউরোপীয় ভেদদৃষ্টির কঠিন বন্ধন কাটাইয়া উঠিতে পারেন নাই । তিনিও ভাবিতেছি’র মুলুকেই আটক পড়িয়া-রহিয়৷ সংশয়ে বিভ্রান্ত হইয়াছেন–জানিতেছি’র মুলুকে পৌছিতে পারেন নাহ। দেকৰ্ত্তা যে জায়গায় বলিয়াছেন যে, “আমি ভাবিতেছি, অতএব আমি আছি, আমাদের দেশের এক জন গ্রন্থকার সেই জায়গায় বলিয়াছেন— “আম জানিতেছি, অতএব আমি আছি।” “ দ্রষ্ট। সামান্ততঃ সিদ্ধে জনেহইমিতি ধীবলাৎ ।” চিন্তা, জিজ্ঞাসা, সংশয়, জ্ঞানসাধনের প্রথম সোপান, তাহাuত আর ভুল নাই— কিন্তু তাছাই কিছু আর জ্ঞানের সারসৰ্ব্বস্ব নহে । সমুদ্রে বাপ দিলে মনে হয় যে, সমুদ্র তরঙ্গেরই ক্রীড়াক্ষেত্র ; কিন্তু সমুদ্রে ডুব দিলে সে ভুল অচিরে ঘুচিয়া যায়; তখন মনে হয় যে, মুদ্র প্রশাস্তির আলয় । “আমি আছি”-এই প্রশস্ত জ্ঞানটি আত্মার গৃভীরে दत्रमलन । [ ৪র্থ বর্ষ, আশ্বিন । নিরস্তর জাগিতেছে—তাহাই আত্মার অস্তিত্ত্বের প্রত্যক্ষ প্রমাণ ; তদ্ব্যতীত, আত্মার অস্তিত্ব সপ্রমাণ করিবার জন্ত ভাবিতেছি”কে সাক্ষী মান্ত করা নিতান্তই বাড়া’র ভাগ ! এ একপ্রকার—সোনার গাত্রে সোনালি রঙ, মাখানো—প্রফুটিত গোলাপফুলের গাত্রে গোলাপজল মাখানে । স্পষ্টই বুঝিতে পার! যাইতেছে যে, আত্মাকে ধ্রুবরূপে জ্ঞানে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিতে হইলে চিন্তার তরঙ্গক্রীড়া থামানো আবগুক—চিত্তবৃত্তি নিরোধ করা অবিশুক । আর, আমাদের দেশের বোগশাস্ত্রের গোড়া হইতে শেষ পর্য্যন্ত কেবল তাহারই প্রণালীপদ্ধতি প্রদশিত হইয়াছে । বোগশাস্ত্রের একমাত্র উপেশু হ’চ্চে সাধনরূপ জ্ঞানের ( অর্থাৎ চিন্তা’র ) মূলে যেখানে সিদ্ধরূপ জ্ঞান ( অর্থাৎ স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান ) রহিয়াছে, সেইখানে মনকে লইয়া যাওয়া । ইউরোপীয় দশনকারের। “অসীম অসীম।” করিয়া ক্রমাগতহ গণ্ডগোল করেন । শেষে কলরবে ক্ষাস্ত দিয়া বলেন যে, অসীমকে চিন্তা দিয়৷ নাগাল পাওয়া যায় না । তাছাদের জানা উচিত যে, যে-অসীমকে তাহার চিন্তাম্বার বঞ্চন করিম ঘরে জানিতে চেষ্ট৷ করতেছেন - তাহা তাহদের চিন্তার পুত্ৰ হইতেই ঘরে খুঁহিয়াছে ষোল-আন মজুদ । তোমার আত্মার অস্তিত্ব তো আল্প, তোমার চিস্তার ফল নহে - তাহা তোমার চিস্তার মূল। যাহার দৌলতে তুমি চিস্তা করিতে পারিতেছ—তাহাকে তুমি চিস্তাদ্বারা , , ফলাহা তুলিতে cbèl করিতেছ - 리 তোমার চেষ্টা ব্যথ হইবে না তা আর কি ?