পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ט\ oס\ এখানে বিশেষ একটি দ্রষ্টব্য এই যে, জামি যখন আমার সম্মুখে একটা বৃক্ষ দেখিতেছি, তখন আমি যেমন এ কথা বলিতে পারি ন৷ যে, আমার চিস্তার বলে মামি তাহ দেখিতেছি –তেমনি, আমি যখন আমার আত্মাকে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিতেছি, তখন এ কথা বলিতে পারি না যে, আমি আমার চিত্তার বলে আত্মাকে উপলব্ধি করিতেছি । সাক্ষাৎ-জ্ঞানে আমরা আত্মাকেই উপলব্ধি করি, আর বহির্বত্তকেই উপলব্ধি করি—সাক্ষাৎজ্ঞানে আমরা যে বণ্ডকেই যখনই উপলব্ধি করি, তাহা ঐশ্বরিক শক্তির বলেই উপলব্ধি করি, নিজের বলে নছে । পুনশ্চ, ঐশ্বরিক শক্তির ৰলে যাহা-কিছু আমরা সাক্ষাৎ-জ্ঞানে উপলব্ধি করি --তাছা জাগ্রত-জীৰস্ত-ভাবে উপলব্ধি করি ; পক্ষাস্তরে, চিস্তাদ্বারা যাহা-কিছু উপলদ্ধি করি, তাহা সেই মূলগ্রন্থের এক বঙ্গদর্শন । ৪র্থ বর্ষ, আশ্বিন । প্রকার যৎসামান্ত অনুবাদ ; তাহাও আবার অনেক সময়ে প্রকৃত অনুবাদ নহে—পরস্তু অপভ্রংশ। আত্মাকে যিনি যখন সাক্ষাৎজ্ঞানে জাগ্রত-জীবস্ত-ভাবে উপলব্ধি করেন, তিনি তখন পরমাত্মার সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশের যোগে জীবাত্মার সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশ উপলব্ধি করেন। এরূপ সাক্ষাৎউপলব্ধি শুধুকেবল চিস্তাদ্বারা সম্ভাবনীয় নহে । চিস্তাকে নিরোধ করিয়া মনকে প্রশান্ত করিলে—কেবলমাত্র ঈশ্বরপ্রসাদেই তাহা সম্ভাবনীয়। ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডের তত্ত্বালোচনা করিতে গেলেই বুহৎ-ব্রহ্মাণ্ডের কথা আপনা-আপনি আসিয়া পড়ে—যেহেতু উভয়ে পরস্পরের সহিত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ওতপ্রোত । এবারে এই পর্য্যন্তই যথেষ্ট্র— বারান্তরে বৃহৎ-ব্রহ্মাণ্ডের সত্তা, শক্তি এবং প্রকাশের প্রতি মনোনিৰেশ করা যাইবে । শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । ভারতবর্ষ।* ত্ৰিবন্ধুর-মহারাজের রাজ্যাভিমুখে । এখন সন্ধ্যা । এই সময়ে স্থৰ্য্যাস্তের পরেই স্বস্নিগ্ধ প্রশাস্তি ও মধুর শৈত্য কোথা হইতে খেন লছস আবিভূত হয়। কিয়ৎকালের জন্য এই ক্ষুদ্র অনাদৃত পলঙ্কট-গ্রামে আমি ৰিশ্ৰাম করিতেছি । এইখানেই আজ রাত্রিষাপন করিতে হইবে। & .* পিয়ের-লোট-কৃত। এই দিবাবসানসময়ে, এষ্ট তরুতলে, এই নিস্তব্ধতার মধ্যে, আমি আজ সৰ্ব্বপ্রথমে, বুাস্তবিকই দূরদেশে আসিয়াছি বলিয়া অনুভব করিতেছি । আমি ফ্রান্স হইত ডাক-জাহাজে করিয়া, হরিৎস্যামল আৰ্দ্ৰভূমি সিংহলদ্বীপে