ষষ্ঠসংখ্যা । ] ইংরাজবর্জিত ভারতবর্ষ।
- Woe o
উইদৈর শুামল নগ্নগাত্র ঐ সকল লাল পাথরের উপর সে দিয়া রহিয়াছে ; নেত্রগুলি জলজল করিতেছে ; এবং উহাদের রমণীস্থলভ সুদীর্ঘ কৃষ্ণ কেশগুচ্ছ স্কন্ধের উপর লতাইয়। পড়িয়াছে। উপরে থামগুলির মাথায়, খিলানমণ্ডলের সমীপবৰ্ত্তী স্থানে, অন্ধকার একাধিপত্য করিতেছে । মগুপের সুদূর পশ্চাদ্ভাগ পৰ্য্যস্ত আমি অলক্ষিতভাবে এখান হইতে সমস্ত দেখিতেছি। অক্ষুরন্ত সারি-সারি স্তম্ভ অস্পষ্টরূপে উপলব্ধি হইতেছে । ক্ষীণপ্রভ দীপাবলা ঘনঘোর অন্ধকারের মধ্যে কোথায় যেন . হারাইয়া গিয়াছে । সুদূর প্রান্তে শুভ্ৰবসন মনুষ্যমুক্তিসকল বিশৃঙ্খলভাবে চলাফের করিতেছে। এবং ঐ স্থানটি স্তুতিপাঠে ও গানকীৰ্ত্তনে মুহুমুহু অসুরণিত হইতেছে। যে নিষিদ্ধ দ্বার দিয়া আমি লুকাইয়া দেখিতেছি, তাহার গঠন অতি অপূৰ্ব্ব ; একেবারেই যাস্তুবিদ্যার অপরিজ্ঞাত। দ্বারের প্রকোষ্ঠটি খুব বড়। কিন্তু এতাদৃশ প্রকাও গগনম্পর্শী চুড়ার তুলনায়, মন্দিরের দ্বারটি বড়ই নীচু, এমন কি, গুপ্তপথ বলিয়াও মনে হইতে পারে ; মনে হয়, উহা যেন সুরঙ্গপথের দ্বার Tরহস্তরাজ্যের প্রবেশপথ ! জীবনের মধ্যে এই সব্ব প্ৰথম ব্রাহ্মণ দিগের একটি মন্দির দ্ধেfখয়া অামার ,'মনে হইল, আমি এমন একটা কিছু দেখিলাম, যাহা পৌত্তলিকতার বিষাদ অন্ধকারে আচ্ছন্ন ;–ভীষণ বৈরভাবাপন্ন লোকের দ্বর পূৰ্ণ । আমি এইরূপ দেখিব ৰলিয়। প্রত্যাশা করি নাই ; ,গার ইহাও ভাবি নাই, মন্দিরে আমার প্রবেশনিষেধ হইবে। আমি কতকটা আশা করিয়াছিলাম, ভারতবর্ষে ਆਿ, आश्পূৰ্ব্বপুরুষগণ-অবলম্বিত ধৰ্ম্মের অস্তস্তলে কিঞ্চিৎ জ্ঞানালোক প্রাপ্ত হইবু। কিন্তু এখন আমার সেই চিরপোণিত অশি। অতীব শূন্তগর্ভ ও নিতান্ত “ছেলেমান্ষি বলিয়া মনে হইতেছে। .আহা ! ধৃষ্টধৰ্ম্মের মধ্যে কেমন একটি মন-ভুলানিয়া মধুময় শান্তির ভাব বিরাজিত-— সেই ধৰ্ম্ম, যাহার দ্বার সকলেরই নিকট অবরিত এবং যাহ। শ্রদ্ধাহীন ব্যক্তিদিগেরও হিতসাধনে সতত নিযুক্ত ৷... এখন আমাকে সকলে এইরূপ আশ্বাস দিতেছে, ভারতবর্ষের অঙ্গ প্রদেশে, দেবালয়ের মধ্যে এতটা দারুণ কঠোরতা লক্ষিত হইবে না, এমন কি –সেখানকার দেবালরে হয় তো আমি প্রবেশ করিতেও অনুমতি পাইব । যাই হউক, এইবার এই থান হইতে সরিয়া পড়া ভাল—বেশিক্ষণ থাকাটা স্ববুদ্ধির কাজ নহে । কিন্তু যদি ইচ্ছা করি, গাড়িতে থাকিয়া আস্তে-সাস্তে এই বৃহৎ মন্দিরের চারিদিক প্রদক্ষিণ করিতে পারি—তাহাতে কোন বাধা নাই । মন্দিরের ঘেরট সমচতুষ্কোণ,—এত বৃহৎ ষে, ইহার মধ্যে একটা নগরের সমাবেশ ইহঁতে পারে। ইহার চতুঃসীমার মধ্যস্থল হইতে একটি প্রকাও স্তুপ সমুখত – উছার নিম্নদেশে একটি দ্বার ফুটানো আছে । এই সকল মুক প্রাচার, যাহার ধার দিয়া ইমামর। নিস্তব্ধ অন্ধকারের মধ্যে চলিয়াছি,—উহ। দুর্গপ্রাচীরের দ্যায় কঠোরভাবে খাড়া হইয়া আছে। ষে বিজন পথটি আমরা অঙ্গুসরণ করিতেছি, উহা সেই পবিত্র গণ্ডিরই সামিল,—যাহার মধ্যে নীচজাতীয়-লোকের