পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مe by(ي؟ আৰ্ত্তনাদের আলাপ শুনিতে পাই, তখনি ঠিক বুঝিতে পারি, এটি পৃথিবীর কোন বিভাগ ; তখনি ইহাকে ভারতবর্ষ বলিয়া, ব্রাহ্মণের দেশ বলিয়া চিনিতে পারি ; আর তখনি বুঝিতে পারি, আমাদের দেশ হইতে এই স্থানটি কতটা দূর । - তরুতিমিরের মধ্যে, ছোট ছোট শাদা বারাওfওয়ালা বাড়ী পথের দুই ধারে দেখা দিতে সুরু করিয়াছে ; যেখানে আমাদের যাইবার কথা, সেই “তৃণবল্পী”-নগরে ইহারক্ট মধ্যে আমরা আসিয়া পড়িয়াছি। পথের দুষ্টধারে তালজাতীয় বৃক্ষশ্রেণী ;–ভঙ্গুর বুস্তের উপর ভর করিয়া আকাশে যেন কালো-কালো পাখা বিস্তার করিয়া আছে। এই তরুপথটি যেখানে শেষ হইয়াছে, সেইখানে একটি ছায়াচিত্র অঙ্কিত দেখিলাম। এই ছায়াচিত্রটি একটু বিশেষ-ধরণের, অতীব নয়নাকর্ষক । ইহা একটি প্রকাও মন্দির। ভারতৰর্ষে যে কখনো আসে নাই, সে-ও ইহাকে মন্দির বলিয়া চিনিতে পারে ; কেন না, চিত্র-প্রতিমূৰ্ত্তি-আদি দেখিয়া, পুৰ্ব্ব হইতেই উহাদের আকারসম্বন্ধে সকলেরই কিছু-না-কিছু অস্পষ্ট ধারণা থাকে । কিন্তু ঈদৃশ প্রকাও মন্দির সহসা নৈশগগনে সমুথিত দেখিব, ইহা কথন কল্পনা বা প্রত্যাশা করি নাই। ইহা যেন রাশীকৃত দেবমূর্তির একটা প্রকাও স্থূপ : ইহার চুড়াদেশও বিকটাকার মূৰ্ত্তিতে আকীর্ণ । অসংখ্যতারকাদীপ্ত আকাশপটের উপর এই ছায়াচিত্রের কৃষ্ণবর্ণ-রেখাপাত হইয়াছে । একটু পরেই আমাদের গাড়ি একটি প্রস্তরময় খিলানমণ্ডপের মধ্য দিয়া, সেকেলে स्रङ्गङ्गेमि । [ ৪র্থ পর্ম, আশ্বিল্প ধরণের গুরুভাব সমচতুষ্কোণ স্তম্ভfশ্রণীর মধ্যে প্রবেশ করিল । মন্দিরের હરે ડાবৰ্ত্তী প্রদেশটি অতিক্রম করিয়া, আবার যখন আমাদের মস্তকোপরি তারকা-মণিখচিত গগনাম্বর প্রসারিত কইল, তখন দেখিলাম, একটা বিপুল ঘেরের সম্মুখে আসিয়া পড়িয়াছি । ভাস্কার সীমা লঙ্ঘন করিবার আমাদের অধিকার নাই । সেই প্রকাও মন্দিরস্ত,পটি একেবারে আমাদের সন্মুখে— খুব নিকটে । সেই বিসদৃশপরিমাণযুক্ত মহাভারাক্রান্ত প্রকাও ম+ি রচুড়ার নিম্ন দিয়া একটি পথ গিয়াছে—তাহণর মধ্যে আমাদের প্রবেশাধিকার নাই । কিন্তু সেই প্রবেশপথের মুখটি এত বড় যে, সেখান হইতে অভ্যন্তরস্থ দেবমণ্ডপের মুদুর পশ্চাত্তাগ পৰ্য্যস্ত আমার দৃষ্টিগোচর হইতেছে। সেই পবিত্র অন্ধকারের মধ্যে, মন্দিরমণ্ডপের দুই ধারে অসংখ্য রহস্তময় দীপাবলী সারিসারি সজ্জিত। সেইখান হইতে দেখিতে নিষেধ নাই ; কিন্তু তাহাও বেশিক্ষণের জন্ত কিংবা খুব নিকটে গিয়া দেখা নিষিদ্ধ । এই সুদূরপ্রসারিত প্রবেশপথের প্রত্যেক দিকে, মওলাকারে বিন্যস্ত স্তম্ভশ্রেণীর নিয়ে, ছোট-ছোট মশালের আলোকে, দেবতাদের ব্যবহারের জন্ত ফুলের দোকান, মালার দোকান, মিষ্টাগ্নেয় দোকান বসিয়াছে । এই মশালের আলোকে, দোকানদারদিগকে এবং : মন্দিরের প্রস্তরময় তলদেশটি বেশ দেখিতে পাওয়া যাইতেছে । সেই প্রস্তরে বিকটাকার বিবিধ মূৰ্ত্তি, অদ্ভুতাকার জীবজন্তুর মূৰ্ত্তি থোদিত, কিন্তু সেই মূৰ্ত্তিগুলি ক্ষয়গ্ৰস্ত ওfলুগুমুখ சு. সকল দোকানদারেরাও দেবমূৰ্ত্তিবৎ আচল ।