পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] ुडमन्निव । २१ নিকট হইতে কাড়িয়া লইতে পারে ; কিন্তু সেই, ব্যর্থ, মৰ্ম্মাহুত, বিয়োগপীড়িত প্রেম সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া লোক “হইতে লোকাস্তরে প্রেমভাজনকে অমুসরণ ಡ —তাহীতেই তাহার চরম সার্থকতা । অবরোধসৌন্দর্য্যের শিরোমণি মমৃতীজকে বাদশাহ যে ভালবাসিতেন, সেই অনির্ভিন্ন গভীর ভালবাসাই এই সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর মৃত্যুমন্দিরের স্বষ্টিকৰ্ত্ত । নচেৎ অর্থ, অহঙ্কার ও ক্ষমতার সাধ্য কি যে, পাষাণমন্দির এমন সুন্দর করিয়া রচিতে পারে, পাষাণে এত কোমলতাসন্নিবেশ করিতে পারে, প্রস্তরকে এমন শোকনম্র করিয়া তুলিতে পারে। শশিসূৰ্য্যবিরাজিত, নক্ষত্রখচিত, উদার, উন্মুক্ত, নীল নভোমণ্ডলের নিয়ে, ইহুপরলোকব্যাপী অসীম প্রেমের কি মহিমান্বিত ছবি ! যুগযুগাত্তের সাক্ষিস্বরূপিণী, স্নেহধারপ্রবাহিণী শীতসলিলা যমুনার নিকট-আজ কতকালের কথা—শুনিয়াছি একদা বিয়োগব্রুিধুর ব্রজবালা তাহার মৰ্ম্মবেদন শুনাইয়াছিল। কুনিষ্কার মালিক মোগলবাদশাহ दिलिङ्गो शृङ्गाल्न निको भब्रालिउ श्डेब्र জীবিতরূপিণী মহিষীর শবদেহ বুকে করিয়া সজলনয়নে সস্তুপ্তের চিরশাস্তি সেই যমুনার কাছে আসিয়াছিলেন। শাজাহান আঞ্জ নাই, কিন্তু করুণাময়ী কলিক্ষ্মী বাদশাহের হঃখভার আজও বুকে করিয়া ঘছিতেছে — স্বস্নিগ্ধ প্রভাতে, উত্তপ্ত মধ্যাষ্ট্রে, পাণ্ডুর সন্ধ্যায়, নিবিড়-নিস্তদ্ধ নিশীথে তুষারুশীতল জলধারায় ভূপতির এই• মৃত্যুজাল ধুইয়াगरेव जनड बर्शनाथ*cरुनिरडई। पू. যুগাম্ভীৰ প্রেমের অনিৰ্ব্বচনীয় মাছাত্মো অনিন্যস্থলীর শ্মশানচ্ছবির চতুর্দিষ্কন্ধ মছাশূন্তে রাজাধিরাজের শোকখাল আজিও কাদিয়া কাদিয়ু ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। তাই হে প্রেমিক, তোমার শোক আজি বিশ্বব্যাপী-প্ৰজলে-স্থলে-জন্তরিক্ষে ছড়াইয়া পড়িয়াছে,-- সমগ্র বিশ্বের মৃত্যুপীড়িত নয়নারী সেই শোক অস্তরে-অস্তরে বুৰিয়া ८ङाभांब्र ८लांकनांकौ, बबूनाटैनकंडहिठ •প্রস্তরীভূত দীর্ঘশ্বাসের দিকে বৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া ব্যথিত ও মৰ্ম্মাহত হইতেছে - হে পরলোকগত রাজরাজেশ্বরি আধ্যমন্দবাস্থ, তুমি ঐশ্বৰ্য্য ও বিদ্বেষ পরিপূর্ণ সপত্নীবহুল মোগলরাজাস্তঃপুরে সুখে ছিলে কি দুঃখে ছিলে, তাছা তুমিই জান। কল্পনার বলে ঐতিহাসিকবৃন্দ, র্যাহার যাহা ইচ্ছ, তাছাই বলিয়া গিয়াছেন। কিন্তু সম্রাটুশ্রেষ্ঠ দিল্লীশ্বরের হৃদয়ে তোমার কি-পরিমাণ স্থান ছিল, তাহ বোধ হয় তুমি অঞ্চবা সম্রাটু, কেহই জানিতে না । ষে ইহলোক হইতে চলিয়া গেলে পৃথিবীর সব স্বথ, সব আনন্দ তাহার সঙ্গে সঙ্গে ফুরাইয়া বাক্ষ, জীবন তুচ্ছ ও দুৰ্ব্বহ বলিয়া মনে হয়, জীবিত থাকিতে সে ষে আমাদের কত আত্মীয়, কত নিকট ছিল, তাহা তাহাকে জানাইবার আমাদের অবসর হয় না, ইছা সংসারের অতি-বড় প্রাচীন এবং আঁতি-ৰত্ব কঠিন হয়। শাজাহানের যুৰি সেই ছঃখই ঘটয়ছিল। অকারণ-অশনিসম্পাত-তুল্য । স্বস্থকায় প্রস্থতিক মহিষীর মৃত্যুসংবাদ যখন বাদশাহ পাইলেন, রাজকাৰ্য্যনিয়ত স্বল্পাৰসর শাজাহান তখনও বুরি তোমাৰুে, জালাইতে পারেন নাই—তুমি তাহার কত