পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা। । নৌকাডুরি । - - - - - - - - - 静下””方“ —- १वब्र ८१७ब्रां बांकू, छांशांब्र! नमख नकांन बॉन्न श्ट्रेप्ऊ ८नहे नूङन ८नकूटणम् बांहिब्र করিয়া দেখুক ।” শৈলজার ঘরে সেদিন আহারনিদ্রা বন্ধ হইয়া কান্নার রোল উঠিল। নদীতে জেলের নৌকা লইয়া অনেকদূর পর্য্যন্ত জাল টানিয়া বেড়াইল । পুলিস চারিদিকে সন্ধান করিতে লাগিল। ষ্টেশনে গিয়া বিশেষ করিয়া খবর লইল, কমলার সহিত বর্ণনায় মেলে, এমন কোনো বাঙালীর মেয়ে রাত্রে রেলগাড়িতে stå afĘ I সেইদিনই ৰিকালে খুড়া আসিয়া পৌছিলেন । কয়দিন হইতে কমলার ব্যবহার • ও অাস্কোপাস্ত সমুদয় বৃত্তান্ত শুনিয়া তাহার সন্দেহমাত্র রহিল না ষে, কমলা গঙ্গার জলে ডুবিয়া আত্মহত্যা করিয়া মরিয়াছে। লছমনিয়া কহিল, “সেইজন্যই খুকি কাল রাত্রে অকারণে কাল্প। জুড়িয়া এমন একটা অস্তুতকাও করিল—উহাকে ভাল করিয়া ঝড়াইয়া লুওয়া দরকার।” . রমেশের বুকের ভিতরটা যেন শুকাইয়া গেল—তাহার মধ্যে অশ্রুর বাষ্পটুকুও ছিল না । সে বসিয়া বসিয়া ভাবিতে লাগিল -- “একদিন এই কমলা এই গঙ্গার জল হইতে উঠিয়া আমার পাশে আসিয়াছিল, আবার পূজার পবিত্র ফুলটুকুর মত আর একদিন এই গঙ্গার জলের মধুেই অন্তৰ্হিতু হইল।” স্বৰ্য্য বখন অস্ত গেল, তখন রমেশ আবার সেই গঙ্গার ধারে আসিল—যেখানে চারির গোছা পড়িয়া ছিল, সেখানে দাড়াইয়া সেই পায়ের চিহ্লকটি একদৃষ্টি দেখিল—তাহার পরে তীরে জুতা খুলিয়৷ ধুতি গুটাইয়া-লইয়া খানিকটা জল পৰ্যন্ত নামিয়া গেল এবং করিয়া দুরে জলের মধ্যে ছুড়িয়া ফেলিল । রমেশ কখন ৰে গাজিপুর হইতে চলিয়া গেল, খুড়ার বাড়ীতে তাহার খবর লইবার মত অবস্থা কাহারে রহিল না । 8Ꮍ এখন রমেশের সন্মুখে কোনো কাজ রহিল না। তাহার মনে হইতে লাগিল, ইহজীবনে সে যেন কোনো কাজ করিবে না, কোথাও স্থায়ী হইয়া বসিতে পারিবে না। তাহার মনে হইল, তাহার জীবনের নাট্যলীলা একেবায়ে শেষ হইয়া গেছে -- বাতি নিবিয়াছে, যবনিক পড়িয়াছে, সমস্ত সঙ্গীত নিস্তৰু— এখন তাহার কোনো বন্ধন নাই, কৰ্ত্তব্য নাই, সুখও নাই। হেমনলিনীর কথা তাহার মনে একেবারেই যে উদর হয় নাই, তাছা নহে, কিন্তু তাহা সে সরাইয়া দিয়াছে,—সে মনে মনে বলিয়াছে, “আমার জীবনে যে নিদারুণ ঘটনা আঘাত করিল, তাহাতে সামাকে চিরদিনের জন্ত সংসারের অযোগ্য করিয়া তুলিয়াছে । ব্ৰজাছত গাছ প্রফুল্প উপবনের মধ্যে স্থান পাইবার আশা কেন করিবে ?” রমেশ ভ্রমণ করিয়া বেড়াইবার জন্ত বাহির হইল। একজায়গায় কোথাও বেশিদিন রছিল না। সে নৌকায় চড়িয়া কাশীর ঘাটের শোভ8 দেখিল, সে দিল্লিতে কুতৰমিনরের উপল্পে চড়িল, আগ্ৰায় জ্যোৎস্নারাত্রে তাজ দেখিয়া আসিল। অমৃতুসরে গুরুদরবার দেখিয়া রাজপুতানায় অীবুপৰ্ব্বত-, শিখরের মন্দির দেখিতে গেল—এম্নি করিয়া রমেশ নিজের শরীরমনকে আর বিশ্রাম नेिण न। । *