পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা। ] প্রাচীন ভারতের ইতিবৃত্ত সঙ্কলন । - * ৪১৩ उँांशंब्रां शैषिक्छ,-वनवांनिनौ, ॐांशांब्रां उग्न, সমাজের রীতি কি জানেন ? অরণ্যচারী জনের অকপট সরলতা দেখাইবার জন্যই কৰি এরূপ করিয়াছেন, এইথানেই ত কবির প্রতিভার বাহাদুরী । এ কথা কিয়ৎপরিমাণে সত্য। কিন্তু এরূপ মনে করা যাইতে পারে না যে, কুলপতি কধের শিক্ষার অধীনে থাকিয়:ও তাহার নারীধৰ্ম্মবিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন । আগন্তুক পুরুষের সহিত কথা কহ। যদি তৎকালে নারীধৰ্ম্মবিরুদ্ধ হইত, তাহা হইলে কবি তাহদের লাজুকতারক্ষার জন্য হয় ত আর একটু ঘুরাইয়া আবরণ দিয়া ও তোহু ভেদ করিয়া তাহাদিগকে রাজসমীপে উপনীত করিতেন । ইহাতে অনুমান করা যায় যে, সে সময়ে সে দেশে সাধারণ প্রজাকুলের মধ্যে নারীর অবরোধ ছিল না । অথচ রাজ-অবরোধের উল্লেখ দেখা যাইতেছে, এবং ইহাও দেখা যাইতেছে ফুে, পঞ্চম অঙ্কে যেখানে শকুন্তলা শান্ত্র রব ও গোতমীর সহিত দুষ্মন্তের সদনে উপস্থিত হইতেছেন, তখন অবগুণ্ঠনাবৃতা হইয়া ধাইতেছেন। এই সকলের একত্র যোগ করিয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অযৌক্তিক নয় যে, সে সময়ে সাধারণ প্রজাকুলের মধ্যে নারীর অবরোধ ছিল না, নারীগণ অসঙ্কোচে পুরুষদিগুর সহিত মিশিতেন ; কিন্তু কোন প্রকাগুস্থানে যাইতে হইলে ॐांशंब्री श्रां★नांनिशं८क श्रद७écनब्र चांत्रु আবৃত করিতেন। কিন্তু ধনিগৃহের নারীদের এ স্বাধীনতা ছিল না, সেখানে বহুবিবাহ ও नाब्रेोई जयब्रार, इन्हे विब्रांबभौन इिन । हेइ মধ্যভারতবর্ষের বর্তমান প্রথার কেমন অঙ্ক রূপ! ইয়াতেই বোধ হয়, কালিদাসের উজ্জ্বয়িনীর রাজসভার পারিন্দ্র বলিয়া যে উল্লেখ, আছে, তন্মধ্যে সত্য থাকিতে পারে।. * নারীকুলের অবস্থাস্থচক আরও কোন কোন ঘটনার উল্লেখ দেখা যায় । প্রথম— তৃতীয় অঙ্কে দেখিতেছি, বিরহকাতর শকুস্তল সর্থীদের পরামর্শে দুষ্মন্তকে প্রণয়পত্রী লিখিতে বসিতেছেন। ইহা কিছু নুতন নহে, আরও অনেক নাটকে নায়িকাদের প্রণয়লিপির উল্লেখ আছে । ইহাতেই প্রমাণ, সে সময়ে ভদ্রকুলাঙ্গনাদিগের অনেকে লিখিতে ও পড়িতে জানিতেন । এখনও গুজরাটদেশে ও দক্ষিণাত্যে দেখা যায়, ভদ্রকুলাঙ্গনাদিগের মধ্যে লিথিবীর ও পড়িবার রীতি বহুদিন হইতে চলিয়; আসিতেছে। তাঁহাদের অনেকে পিতা বা শ্বশুর প্রভৃতির নিকট শাস্ত্রপাঠ করিয়া থাকেন । মধ্যে মধ্যে সংস্কৃতভাষায় অভিজ্ঞ রমণী ও পাওয়া যায়। বর্তমান ইংরাজিশিক্ষা বা স্ত্রীশিক্ষার আন্দোলনের সহিত ইহার কোন সংস্রব নাই। ইহার্তাহাদের দেশের চিরন্তন প্রথা। কালিদাসের উক্তিতেও তাহার প্রমাণ পাইতেছি। ইহার উপরে তখন সন্ত্রাস্তগৃহের রমণীগণ সঙ্গীত, চিরবিদ্যা প্রভৃতি সুকুমার কলাতে শিক্ষিতা হইতেন। তাহার প্রমাণ, পঞ্চম অঙ্কের প্রারম্ভে; দেখিতেছি, রাজা ও বিদূষক বসিয়া আছেন, এমন সময়ে অন্তঃপুর হইতে মধুর সঙ্গীতধ্বনি আসিতে লাগিল। তাছার নিৰ্দ্ধারণ করিলেন যে, রাণী,হংসপদিষ্ট বর্ণ পরিচয় করিতেছেন, অর্থাৎ সারেগামী সাধিতেছেন। রাণী এরূপ উচ্চস্বরে গাহিতেছেন যে, বাছির হইতে তাহা শোনাবাইতেছে!