পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৬ ' আবার, প্রকাও বটবৃক্ষের তলে, মুসলমান, ফকিরের একটি সমাধিস্তম্ভ ; উছ শুধু বাৰ্দ্ধক্যের বলে পূজাম্পদ হইয়া উঠিরছে। উহা টাটুকা ফুলের মালায় সজ্জিত । জার, একটি গজমুণ্ডধারী গণেশমূৰ্ত্তি দেখিলাম ; সেঁউতি ও গোলাপের মালা গাথিয়া, কোন ভক্তজন উ হার কণ্ঠে পরাইয়া দিয়াছে। ইহ। বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয়—অথবা জামার চক্ষেরই ভ্ৰম—রাস্তায় এত গুলি স্ত্রীলোক দেখিলাম, কিন্তু উহাদের মধ্যে একটিকেও দেখিতে ভাল নয়, অথচ পুরুষের। অধিকাংশই দেখিতে সুন্দর । পুরুষের মুখে তাম্রবর্ণটি স্বেরূপ মানাইয়াছে, রমণীর মুখে সেরূপ মানায় নাই । পুরুষের ওষ্ঠস্থলত। পুরুষের গোফে ঢাকিয়া যায়, কিন্তু স্ত্রীলোকদিগের অনাবৃত ওষ্ঠের স্থলত আরও বেশি বলিয়া মনে হয় । যাহাঁদের দেহগঠন গ্ৰীশীয় রমণীমূৰ্ত্তির স্কায় অনিন্দ্যমুন্দর-এরূপ কতকগুলি বালিকা ছাড়া প্রায় আর সকলেরই উদরদেশ অকালবৈরূপ্য প্রাপ্ত হইস্থাছে। তা ছাড়া, এমন কোন বস্ত্রাবরণও নাই, যাহাতে ঐ অধোলম্বিত উদর কোনপ্রকারে ঢাকিয়া রাখা যাইতে পারে । উহার নাক ফুড়িয়া সোনার নথ ও কান ফুড়িয়া কানবালা পরিয়া থাকে । কানবালা গুলি ওজনে এত ভারি ষে, উহাতে কান একেবারে ঝুলিয় পড়ে। তবে কিনা, উহার ‘পারিয়া’রমণী ; উচ্চশ্রেণীর মহিলারা মাল বোঝাহ গরুর গাড়িতে কখনই যাতায়াত করে না। এই উচ্চশ্রেণীর স্ত্রীলোকদিগকে কিন্তু এখনও আমি দেখি নাই । রাস্তায় এই মজুর রমণীদিগের জন্তু দুর श्वङ्गर्भिनं । [ ৪র্থ বর্ষ, অগ্রহায়ণ দূরান্তরে একএকটি বিরামস্থান স্থাপিত হইয়াছে। নিরেট পাথরের বেদী, উচ্চতায় এক- , মানুষ-সমান,—এই বেদীর উপর উহার নিজনিজ বোঝা নামাইয়া রাখে । তাহার পর, জাবার যখন ঐ বোঝাগুলি মাথায় উঠাইয়া লয়, তখন তাহাদিগকে ভূমি পৰ্য্যন্ত আর মাথা নোয়াইতে হয় না । চারিদিকে কি রমণীয় নিস্তব্ধতা ! এই সকল বিহঙ্গনীড়বৎ তরু প্রচ্ছল্প বিরল গ্রামগুলির মধ্যে কি স্বৰ্গীয় প্রশাস্তি । একটি বটবৃক্ষের তলে, মহাদেবের একটি পুরাতন মূৰ্ত্তির সন্নিকটে, বেগনি-রঙের পরি চ্ছদ-পরা, শাদা লম্বtদাড়ি, ইরাণীর গুtয় মুখশ্ৰী, একটি লোক শাস্তভাবে বসিয়া কিএকটা গ্রন্থ পাঠ করিতেছে ; ইনি একজন প্রধান-পাদ্রি—একজন সিরিয়াদেশীয় প্রধানপাদ্রি ! প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয়, এই রহস্যময় ব্রাহ্মণ্যের দেশে একি অদ্ভুত দৃপ্ত ! কিন্তু একটু বিবেচনা করিয়ু দেখিলেই প্রতীতি হইবে, ইহাতে বিস্মিত হুইবার কোন কারণ নাই । আমি পূৰ্ব্বেই জানিতাম, ত্ৰিবন্ধুর-মহারাজের রাজ্যে প্রায় পাচলক্ষ খৃষ্টানপ্রজার বসতি। এই সকল খৃষ্টানদের পুৰ্ব্বপুরুষগণ যে সময়ে এখানে গির্জা প্রতিষ্ঠা করে, যুরোপ তখনও পৌত্তলিকধৰ্ম্মাবলম্বী । ইহার ‘সেন্ট টমাসে’র শিষ্য বলিয়া পরিচয় দেয়। সেণ্ট টমাস প্রথম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ভারতবর্ষে আসিরাছিলেন। কিন্তু সম্ভবত ইহার নেঃোরী সম্প্রদায়ের খৃষ্টান, সিরিয়াদেশ হইতে আসিয়াছে। এই স্থপ্রদায়ের কর্তৃপক্ষীয়ের ধরার এখানে পাদ্রি-প্রচারক পাঠাইয়া থাকে। অন্তত