পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] নারিকেলের মধ্য দিয়া সহজভাবে ও দ্রুতগতি • कनिष्ठ कि उँनामक श्रांनन ! ब्रखर्नेौद्र शमभूत्र বায়ুরাশি ভেদ করিয়া, সমস্তক্ষণ পুষ্পসৌরভ অন্ত্রিাণ করিতে করিতে আমরা যেন অফুরন্তু কোন একটি পরী-উদ্ধানের মধ্য দিয়৷ চলিয়াছি। আবার বাদ্যধবনি ; আবার মশালের রক্তিম অনলশিখা। এত অধিক রাত্রি, আর এই ঘোর নিস্তব্ধ সময়, তবু এখনো আর একদল বরযাত্রী এই পথ দিয়া চলিয়াছে । এবার বরটি অশ্বারা । উহার জরির জামাজোড়া অশ্বের পশ্চাদ্ভাগ পর্য্যন্ত বিস্তৃত। বেশভূষায়

  • বরটিকে রাজার মত দেখিতে হইয়াছে। এখন রাত্রি প্রায় একটা । যে সকল তালবৃক্ষের পরস্পরবিজড়িত শাখাপক্ষপুঞ্জ অামাদের মাথার উপর দিয়া ছুটিয়া চলিয়াছিল, এক্ষণে হঠাৎ যেন তাহাদের গতিরোধ হইল । এটি অরণ্যের মধ্যস্থিত একটি ফাঁকা জমি। অমির ক্রমে একটা পাকা-রাস্তার উপরে আসিয়া পড়িলাম ।

মনে হইতেছে, যেন এই রাজপথটি গভীর - निश्लब भय । झ्टारौन ब्राप्ज, औश्रयथान দেশে, তারকারাজি যে শীতল-শাস্ত ভষ্মাভ আলোক বিকীর্ণ করে, সেইরূপ আলোকে এই রাস্তাটি আলোকিত । যে সকল বাড়ী দিবসে ধবধবে শাদা দৈখাইবার কথা, এই রাত্রিকালে তাহারা"একটু যেন নীলাভ বলির মনে হইতেছে । বারাও'র উদ্ধে আর একটি তলা আছে, তাহাতে মিশ্রধরণের ছোটছোট থাম এবং কোধিক খিলানের আকারে; ত্রিপত্রের আকারে, ঝালোস্তুের আকারে খুব ছোট-ছোট রন্ধ-গৰাক্ষ। নীচে, ত্ৰিবন্ধুর রাজ্যে |

  • 8నీ

রুদ্ধদ্বারের দুই পাশ্বে, দেয়ালের কুলুঙ্গিতে, ভূতপ্রেষ্ঠের প্রবেশনিবারণার্থ সলিতাৰিশিষ্ট ছোট-ছোট প্রদীপ জোনাকির মত ੇਓ করিয়া জলিতেছে। . কতকগুলি পরিচিত জীবজন্তু নিম্পনাভাবে সিঁড়ির ধাপের উপর গুইয়া আছে । উহাদের প্রতি কে-যেন-কি অনিষ্টfচরণ করিবে, এইরূপ কোন অনির্দিষ্ট আশঙ্কায়, উছারা যেন মনৰ-আবাসের যতদুর-সম্ভৰ নিকটবৰ্ত্তী স্থানে আশ্রয় লইয়াছে —গরু, ভ্যাড়া, ছাগল, ঘোড়া, এই সকল জীবজন্তু । আমাদের গমনকালে উহারা জাগিয়া উঠিল না । বালুকাময় রাস্তা দিয়া আমাদের গাড়ি চলিয়াছে। গাড়ির চাকার মৃদু শক ছাড়া আর কোন শব্দ গুনা যাইতেছে না । এই সকল বাড়ী, নিদ্রিত পগুর পাল, নিম্পনা পদার্থসমূহ, যেন কোন দূরবর্তী রং-মশালআলোকের আভার দ্যায়, একপ্রকার অস্পষ্ট নীল সালোকে পরিস্নাত । আমাদের সম্মুখে একটা প্রকাও ঘের, একটা উত্তঙ্গ তোরণ, শ্রেণীবদ্ধ লণ্ঠনের আলোকে দেখা যাইতেছে । এই তোরণের মধ্য দিয়া একটা বিস্তৃত জনশূন্ত তরুবীথি সিধা চলিয়া গিয়াছে। প্রাচীরের উৰ্দ্ধে তালবৃক্ষাদি ও প্রাসাদের ছাদ, এবং দূরপ্রান্তে, তরুবীথির কেন্দ্রস্থলে ও পশ্চাদ্ভাগে, ব্রাহ্মণিক মন্দিরের চুড়াসকল দেখা যাইতেছে। স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে, এইবার আমরা ক্রিস্তুর মহারাজের রাজধানী—ম্প্রকৃত ‘ত্ৰিবন্ত্রম’-নগরে প্রবেশ করিতেছি। পূৰ্ব্বে যেখানে নিদ্ৰিতজীবজন্তুসমাচ্ছন্ন নীলাভ রাজপুখ দেখিয়াছিলাম, উহা ইহারই সংলগ্ন উপনগরমাত্র।...