পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२२.' রশ্মি জামার স্থলকাপড়ের বাধা ভেদ করিয়া গাত্রে ক্ষত উৎপন্ন করিয়াছিল । রেডিয়মরশ্মি ব্যাধিজীবাণুর (Bacili) একটি প্রধান শক্ৰ । দুষ্টক্ষতে রশ্বিপাত করিলে যে রোগী শীঘ্র আরোগ্যলাভ করে, কয়েকজন চিকিৎসক ইতোমধ্যেই তাহা প্রত্যক্ষ দেখাইয়াছেন। যক্ষ্মারোগোৎপাদক জীবাণু রেডিয়মৃরশ্মিদ্বারা অতি সহজে বিনষ্ট হয় বলিয়া অনেকে মনে করিতেছেন এবং বিষয়টি লইম্বা নাকি আজও পরীক্ষা চলিতেছে । যাহা হউক, রেডিয়মের এই সকল বিশেষগুণ আলোচনার এখনও সময় আসে নাই বলিয়া মনে হয় ; এখন ইহাদের সাধারণ ধৰ্ম্ম কি, দেখা যাউক । অধ্যাপক রদারফোর্ড ও সদির (Soddy ) গবেষণায় এসম্বন্ধে অনেক নুত্তন জ্ঞাতব্য তথ্য জানা গেছে। রদাফোর্ড বলেন, রেডিয়ম্ হইতে আমরা মোটামুটি যে তাপ ও বিদ্যুৎময় রশ্মিয় নির্গমন দেখি, সেটি প্রকৃতপক্ষে এক জাতীয় রশ্মি নয়, উহা স্পষ্ট তিনজাতীয় রশ্মির সংমিশ্রণফল। ইহাদের মুধ্যে একজাতীয় রশ্মি রেডিয়মেরই স্কুষ্মতম অংশের প্রক্ষেপ বলিয়। ধরা পড়িয়াছে। রদারফোর্ডসাহেব পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন, পদার্থটির অতিক্ষুদ্র অণুসকল কোন অজ্ঞাতকারণে বিদ্যুদযুক্ত হইয়া মহাবেগে চারিদিকে ছুটিতে থাকে, এবং অণুর এই অবিচ্ছিন্ন প্রবাহই আমাদের নিকট একপ্রকার রশ্মি আকারে প্রতিভাত হয়। রেডিয়মের এই স্থাণবিক রশ্মির বেগ অত্যন্ত অধিক বটে, কিন্তু ইহা কোন্স বাধা ভেদ করিয়া বহির্গত হইতে পারে না ; যে-কোন পদার্থদ্বারা ইহার পথ রুদ্ধ করিতে পারা যায়। बक्रम*ॉन । [ ৪র্থ বর্ষ, অগ্রহায়ণ । দ্বিতীয়জাতীয় রশ্মিগুলিও প্রগমের স্তার রেডিয়মূ-কণাময় হইয়া বহির্গত হয়। পার্থক্যের মধ্যে এই যে, দ্বিতীয়ের কণাগুলি প্রথমরশ্মিস্থ অণু অপেক্ষ অনেক ছোট। এইজন্স কোন জিনিষই এই দ্বিতীয় রশ্মিপথে বাধা উৎপাদন করিতে পারে না । এক-ইঞ্চি স্থল লৌহ বা সীসফলক দ্বারা রশ্মিপথ অবরুদ্ধ কর, রেডিয়ুমের অতিসূক্ষ্ম দ্রুতগামী কণাসকল লৌহের মধ্য দিয়া অনায়াসে বাহির হইয়া চলিতে থাকিবে গণনাদ্বারা জানা গিয়াছে, হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুকে হাজারভাগ করিয়া তাহার এক ভাগ লইলে হাইড্রোজেন্‌-কণার আকার যত ক্ষুদ্র হয়, ' রেডিয়ুমের দ্বিতীয়ুরশ্মিস্থিত অণুগুলির আকার তাহা অপেক্ষ কোনক্রমে বৃহত্তর নয়। তৃতীয়জাতীয় রেডিয়মৃরশ্মির বাধ-মতিক্রমশক্তি আরো অদ্ভুত। প্রায় সাড়ে-তিনইঞ্চি স্থল আলুমিনিয়ম-ধাতুফলকের বাধা ভেদ করিয়া ইহারা অনায়াসে বহির্গত হইতে পারে। এই রশ্মিতে সম্ভবত রেডিয়মৃকগ নাই। সাধারণ আলোকরশ্মি যেমন ঈথরের কম্পনবিশেষদ্বারা উৎপন্ন হয়, এগুলিও সেইপ্রকার কোন ঈথরূকম্পনের ফল বৰ্ণিয় অনুমিত হইয়াছে। রন্‌জেনরশ্মির সহিত ইহাদেরই কতকটা সাদৃপ্ত দেখা যায়। এই ত, গেল তিনজাতীয় রেডিয়মূরশ্মি। এতদ্ব্যতীত পদার্থটি হইতে সৰ্ব্বদাই এক প্রকার বাষ্পীর পদার্থ ও তাপের বিকিরণ হইয়া থাকে । এই অক্ষয় তাপ এবং পূৰ্ব্বোক্ত রশ্মিগুলির মূল কোথায়, আজও কোন পণ্ডিতনিঃসলেহে বলিতে পারেন নাই। রেডিয়মের সকল কাৰ্য্যই বৈজ্ঞানিকগণের