পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર8 বঙ্গদর্শন । [ ৪র্থ বর্ষ, অগ্রহীয়। আরো লঘুতর পদার্থপরম্পরার প্রাথমিক জড়কণায় চরমৰিয়োগ লাভ করে। ভূতপদার্থের এই ক্রমিক পরিবর্তনের কথা বড়ই অস্তৃত। এখন মনে হইতেছে, অতিপ্রাচীন রসায়নৰিৎ ও যাদুকরগণ ( alchemists ) লৌহকে স্বর্ণে পরিবর্তিত করিবার জন্ত শত শত বৎসর বৃথা ব্যয় করেন নাই । স্পৰ্শমণির অস্তিত্ব এ জগতে অসম্ভৰ নয় । এখন পাঠক জিজ্ঞাসা করিতে পারেন,— পূৰ্ব্বে যে সকল পরীক্ষাদির কথা বলা হইয়াছে, সে ত কেবল রেডিয়ম্ লইয়া ; কিন্তু ভূতপদার্থমাত্রই যে রেডিয়মের স্তায় রূপাস্তরগ্রহণক্ষম ও বিয়োগধৰ্ম্মী, তাহার প্রমাণ কোথায় ? এ প্রশ্নের উত্তয়ে ক্রুক্স প্রমুখ রসায়নবিদগণ বলিতেছেন, বিয়োগ ( Disintegration ) কেবল রেডিয়ুমেরই একমাত্র ধৰ্ম্ম নয়। ইহার বিশ্লোশ খুব প্রত্যক্ষ, তাই ধরা পড়িয়া গেছে । অপর পদার্থের বিয়োগ অতি ধীরে ও নানা প্রাকৃতিক কার্য্যের জটিলতার ভিতর দিয়া হইতেছে, তাই আমরা সে গুলিকে হঠাৎ ধরিতে পারি না । কাচদণ্ডে যখন রেশমী বস্ত্র ঘষিয়া আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, তখন সেই কাচের উপাদানের ঠিৰু রেডিয়মের মতই বিয়োগ হয়, কিন্তু এই বিয়োগ খুব প্রত্যক্ষ নয়, তাই সেটা এ পর্য্যস্ত আমরা বুঝিতে পারি নাই। জলে-স্থলে, অগ্নিবিছাতে, মেঘে-বৃষ্টিতে এই বিয়োগ নিয়তই চলিতেছে । তবে পরীক্ষাদ্বারা রেডিয়মের যে সকল অদ্ভুত্ত্বধর্মের প্রত্যক্ষ পরিচয় পাওয়া যাইতেছে, তন্দ্বারা পদার্থের উৎপত্তি ও গঠন সম্বন্ধীয় প্রচলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তি যে কম্পিত হুইয়াছে, তাই নিঃসঙ্গেহে বলা যাইতে পারে। যুগযুগান্তের সমবেত শ্রমে বৈজ্ঞানিকগণ যে ৭৫টি মূলপদার্থের উপর আধুনিক বিশাল রসায়নশাস্ত্রকে দাড় করাইয়াছিলেন, বর্তমান আবিষ্কার সেগুলিকে চূর্ণীকৃত করিয়া, শাস্ত্রটিকে শীঘ্রই একটি প্রশস্ততন্ত্র ও দৃঢ়তর ভিত্তির উপর বসাইবে বলিস্থা আশা হইতেছে । r আজকাল বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক সাময়িকপত্রমাত্রেই অবৈজ্ঞানিক বা বৈজ্ঞানিক প্রথায় রেডিয়ামের অনেক আজগুবি কথার আলোচনা দেখা যাইতেছে । ৰানপরিচালনকার্য্যে রেড়িয়ম্কে কেহ কয়লাঁর স্থানে বসাইতেছেন এবং কেহ বা আলোক-উৎপাদনব্যাপারে ইহাকে বিদ্যুতের স্থানে প্রতিষ্ঠা করিবার আয়োজন করিতেছেন। ইছাদের এই সকল কল্পনার সাফল্য ষে অসম্ভব, তাহা বলা আমাদের উদ্দেশু শ্ৰয়, তবে সেগুলি যে সুসাধ্য নয়, তাহা আমরা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি। প্রাকৃতিক শক্তির বিকাশ আমরা /যে প্রকার প্রতিদিনই সহস্রদিকে দেখিতে পাইতেছি, রেডিয়ুমের তাপ ও রশ্মিবিকিরণ সেইপ্রকার একটা শক্তির বিকাশ ব্যতীত তো আর কিছুই নয়। সৌরকিরণের বিপুল তাপ, বায়ুর প্রবল গতি প্রভৃতি প্রকৃতির সুলভ ও উদীম শক্তিকে ব্যাবহারিক বিজ্ঞান অতি অল্পই ধশীভূত, করিতে পারিয়াছেন। কাজেই বৈজ্ঞানিকগণ রেডিয়মের শক্তিকে সুশৃঙ্খলিত করিয়া যে অনায়াসে ঘরের কাজ काणाहेब्रा शहे८दन, छांश इॐॉ९ दिइं:ण इब्र नीं । t" অধ্যাপক রদারফোর্ড ও কুকুসসাহেবের গণনায় রেড়িয়মের শক্তির পরিমাণ সম্প্রতি