পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্য। ] হনুমান | sq अकाब थ६डकिड कन চতুর্দিকে প্রক্ষিপ্ত “রছিয়াছে ; নৃত্যগীতক্লাস্ত অঙ্গনাগণের অলসলুঙ্গিত দেহ হইতে বসন স্থলিত হইয়া পড়িয়াছে ; নানাস্থান হইতে আহৃত রমণীবৃন্দ পরস্পরের . ভুঙ্গস্থত্রে গ্রথিত হইয়া বিচিত্রকুসুমখচিত মাল্যের স্তায় দৃষ্ট হইতেছে ; একটু দূরে সুন্দরীশ্রেষ্ঠা লঙ্কাপুরীশ্বরী প্রমুগু মন্দোদরীর স্বর্ণপ্রতিমার দ্যায় কাস্তি দেখিয়া মনে করিলেন, এই ‘সীতা । তাহার চেষ্টা কৃতার্থ হইল ভাবিয়া তিনি আঙ্গলাদে সাশ্রনেত্র হইলেন। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইল, রামবিরহিতা সীতা এভাবে নুপ্ত থাকিতে পারেন না, এরূপ ভূষণ ও পরিচ্ছদ, এরূপ সৌম্য শান্তির ভাব পতিপরায়ণ সীতার পক্ষে অসম্ভব। আবার হনুমান বিমর্ষ হইয়া খুজিতে লাগিলেন । কোনস্তানেই তিনি নাই। হয়, সীতা কি রাবণকর্তৃক হৃত হুইবার সময় স্বর্গের একটি স্খলিত মুক্তাহারের ন্তায় সমুদ্রে পড়িয়া গিয়াছেন, অথবা পঞ্জরা •বদ্ধ শরিকার দ্যায় অনশনে প্রাণত্যাগ করিয়াছেন ? রাবণের উৎপীড়নে হয় ত বা তিনি আত্মহত্যা করিয়া থাকিবেন। যে রামচন্দ্র ৰ্তাহার শোকে উন্মত্ত হইয়া অশোকপুষ্পগুচ্ছকে আলিঙ্গন দিতে ধাবিত হন, রাত্রিদিন যাহার চক্ষে নিদ্রা নাই, স্বপ্নেও যাহার মুখ হইতে ‘সীতা’ এই মধুরবাক্য নিঃস্থত হয়, সেই বিরহবিধুর প্রভুর নিকট হনুমান কি বলিয়া উপস্থিত হইবেন ? উৰ্ম্মিময় ক্রীড়োন্মত্ত মহাবারিধির বেলাভূমিতে যে বিপুল বৃনরবধুনী তাহার মুখ হইতে স্ত্রীতার সংবাদ পাইবার জন্ত উৎ কটিত ইয়া আকাশপানে তাকাইয় আছে —তাহাদের নিকট তিনি যাইয়। কি বলিবেন ? অমুসন্ধানশ্রান্ত হনুমানের মনের উপর নৈরাপ্তের একটা প্ৰৱল আবির্ভ আসিয়ু পড়িল, কিন্তু কিয়ংকাল পরে আশা আসিয়া তাহার হস্ত ধরিয়াউঠাইল ; -হনুমান লঙ্কার বিচিত্র হৰ্য্যসমূহ ও বিচিত্ৰ কাননরাজি পুনরায় পৰ্য্য টন করিয়া অন্বেষণ করিতে লাগিলেন, আশার মৃদুমস্তুে যেন তিনি পুনরায় উজ্জীবিত হইয়া উঠিলেন। রক্ষঃপ্রসিাদের সমস্ত স্থান তিনি তন্নতর করিয়া খুজিলেন, “কিন্তু সীতাকে দেখিতে পাইলেন না। রক্ষঃপুরীর বিশালতা তাহার নিকট শূন্তমর বলিয়া বোধ হইল। কোথায়ও সীতা নাই—সীতা জীবিত নাই,—হনুমান গভীর-নৈরাপ্ত-মগ্ন হইয়া ক্লাস্তপাদক্ষেপে কোথায় যাইবেন, স্থির করিতে পারিলেন না। “রাজপুত্রদ্ধয় এবং বানরবাহিনী আমার প্রতীক্ষার অাছে, আমি তাহা- . দের উদ্যত আশামঞ্জরী ছিন্ন করিতে পারিব না। রামচন্দ্র নিরাশ হইয়া প্রাণত্যাগ করিবেন, লক্ষ্মণ স্বীয় অগ্নিতুল্য শরদ্বারা নিজে ভস্মীভূত হইবেন —মগ্রীবের মৈত্রী বিফল হইবে ;—আমার প্রত্যাগমনে এই সকল বিভ্রাট অবশ্যম্ভাবী।" এই ভাবিয়া হনুমান অবসর হইয়া পড়িলেন ; . কখনও বা রাবণকে বধ করিবার জন্ত ক্ৰোধে উন্মুক্ত হইয়া, উঠিলেনু, —কখনও বা স্থির করিলেন— o “চিতং কৃত্ব প্রবেক্ষামি।" “প্রজীলিত চিতায় প্রাণ বিসর্জন দিব”,“কিংবা সাগরোপকূলে অনশনে দেহত্যাগ করিৰ,”— “শরীরং ভক্ষয়িষ্যন্তি বায়সীঃ শ্বাপদানি চ ।” ‘আমার শরীর কাক ও শ্বাপদগণভক্ষণ করিয়। :