وان كان জুরক্ষিত্ত লঙ্কার প্রভাব দেখিয়া তিনি চিন্তিত হইয়া পড়িলেন–র্তাহার মুথে সহসা আশস্কার কথা উচ্চারিত হইল— “न हि यूकन ६व लक শঙ্কা জেতু সুরৈরপি । ইমাস্তুবিষমং লঙ্কাং দুর্গাং রাবণপালিতাম । প্রাপ্যাপি সুমহাবাহুঃ কিং করিষ্যতি রাঘব ।” ‘এই লঙ্কা দেবগণও যুদ্ধে জয় করিতে পারেন না । রাবণরক্ষিত এই দুৰ্গম, ভীষণ লঙ্কাপুরীতে রামচন্দ্র উগস্তিত হইয়াই শ কি করিবেন । যাহার ধ্রুব বিশ্বাস— ” “ন হি রামসমং কশ্চিদৃবিদাতে ত্ৰিদশেম্বপি " —“দেবগণের মধ্যেও কেহ রামের তুল্য नरश्न’, उँशब অটল বিশ্বাসের মূলে যেন একটা আঘাত পড়িল। লঙ্কার বহির্দেশে সুগন্ধি নীপ, প্রিয়ঙ্গু ও করবীতর দেখানে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া শোভিত ছিল, হনুমান সেই দিকে চাহিয়৷ একবার দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন । রাত্রিকালে রাবণের শয্যাগৃহে যখন তাহাকে নিদ্রিতাবস্থায় তিনি চোরের দ্যায় সস্তপণে দেখিয়াছিলেন, তখনও তাহার নির্ভীক চিত্তে ভরের সঞ্চার হইয়াছিল । হস্তিদন্তলিম্মিত উজ্জলস্বর্ণমণ্ডিত থট্রায় মহাৰ্ঘ আস্তরণ বিস্তারিত, তাহার এক পাশ্বে শুভ্র চন্দ্রমণ্ডলের ন্তায় একটি ছত্র-তন্নিম্নে মহাবলশালী উগ্রমূৰ্ত্তি রাবণ প্রক্ষপ্ত—তাহাকে (ตfงขt . * *** পরমোদ্বিগ্নঃ সোহপসৰ্পং শুষ্ঠাতবৎ " উদ্বিগ্নভাবে হনুমান ভীতচিত্তে • কিঞ্চিৎ অপস্থত হইলেন। অশোকবনে সাঁতার সম্মুখে উপস্থিত রাবণকে ‘দেথিয়াও তাহার মূনে এইরূপ ভয়ের সঞ্চার হইয়াছিল— বঙ্গদর্শণ। [ ৪র্থ বর্ষ, বৈশাখ “স তথাপুঞ্জতেজঃ সৰু নিধুতন্তস্ত তেজস। পত্রে গুহান্তরে সক্তে মতিমান ৭ংবৃতোহুভবৎ।" উগ্ৰমূৰ্ত্তি রাবণের তেজে তাড়িত হইয়। তিনি শিংশপাবৃক্ষের শাখাপল্লবে লুকাস্থিত হইয়া রহিলেন । কোন মহাকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিবার প্রাক্কালে, উদ্দেশুের বিপ্লাটু ভাব এবং প্রবল প্রতিপক্ষের কথা মনে করিয়া সময়ে সময়ে এইরূপ ভয় হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু হনুমানের উন্নত কৰ্ত্তবাবুদ্ধি তাহাকে শীঘ্রই উদ্বোধিত করিয়া তুলিল । তাছার লঙ্কাপরিদর্শনব্যাপারে তিনি কত চিন্তা ও ধৈর্যের সহিত অগ্রসর হইয়াছেন, বাল্মীকি তাহার ইতিহাস দিয়া গিয়াছেন । প্রকাগুভাবে, তাহার বিপদের সম্ভাবনা আছে এবং বৈদেহীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার তাহার পক্ষে দুর্ঘট হইতে পারে— “মাতয়স্তাহ ক্যাতি পণ্ডিতমনিন: " পাণ্ডিত্যের অহঙ্কারে অনেক সময়ে দূতগণ কাৰ্য্য নষ্ট করিয়া থাকে -সুতরাং স্পদ্ধ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক ছদ্মবেশে তিনি রাত্রিকালে লঙ্ক। অনুসন্ধান করিবেন, ইহাই স্থির করিয়া প্রতাঙ্গ করিতে লাগিলেন । শনৈঃশনৈ নিশীথিন আসিয়া লঙ্কার প্রতি বিলাস প্রকোষ্ঠে প্রমোদদীপাবলী জালিয়া দিল ; হনুমান রাবণের বিশাল পুরাতে রমণীরুদের বিচিত্র আমোদপ্রমোদ । প্রত্যক্ষ করিলেন। পানশালায় শর্করাসব, ফলাগব, পুষ্পাসব প্রভৃতি বিবিধ প্রকার মুরা .বৃহং স্বর্ণভাজনে সজ্জিত ছিল ; রাবণ এবং তাহার স্ত্রীগণ কুকুটের মাংস, দধিসিক্ত বরাহমাংস কুতক আহা, করিয়ু কতক ফেলিয়৷ •রাখিয়াছে ; অন্ন ও লবণপাত্র এবং নানা
