পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার সত্যের আলোচনা । S AeJeeeAeS AAAAAS বিগত প্রবন্ধের শেষভাগে একটি কথা বল। হইয়াছিল এই যে, “সাক্ষাৎ-উপলব্ধি শুধু কেবল চিস্তান্ধায় সম্ভাবনীয় নছে । চিস্তাকে নিরোধ করিয়া মনকে প্রশাস্ত করিলে কেবলমাত্র ঈশ্বরপ্রসাঙ্গেই তাহা সম্ভাবনীয় ।” সংক্ষেপে এ স্বাহ বলা হইয়াছিল, ইহার • ভিতরে ইএকটি কথা আছে এরূপ, যাহার ভাবার্থের একটু এদিক-ওদিক হইলে ভ্রম আলিবাৰ্য্য । এই যে একটি কথা বলা হইয়াছিল যে, “সাক্ষাৎ-উপলব্ধি শুধুকেবল চিস্তাদ্বার সম্ভাবনীয় নছে”, ইহার অর্থ এ নহে যে, সাক্ষাৎ-উপলব্ধির সঙ্গে চিন্তা’র ক্ৰোনো সম্পর্কই নাই ;---সম্পর্ক খুবই আছে—শক্তরকমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে ; তাহ। যদি না থাকিবে, তবে চিন্তাবেচারী সাক্ষাৎ-উপলব্ধির আঁচল ধরিয়া ஆை. রাত্রিদিন ঘুরিয়া ৰেড়াইৰেই বা কেন, আর, সাক্ষৎ-উপলব্ধি হইতে দূরে পড়িলে সাক্ষাৎউপলব্ধির ক্রোড়ে প্রত্যাবর্তন করিবার জন্ত ৰ্যস্ত হইবেই বা কেন ? চিন্তু কিছু-আর সাক্ষাৎ-উপলব্ধির পর নহে ; ঠিকৃ তাহার বিপরীত। চিত্ত সাক্ষাৎ-উপলব্ধির স্নেহের ললন । তুমি হয় তো ৰলিৰে—“তবে কেন চিত্ত’কে নিরোধ করিতে বলিতেছ?” নিরোধ করুিতে বলিতেছি এইজন্স-যেহেতু চিন্তা নিতান্তই চঞ্চলগ্রকৃতি বালিক। একটি कुळिं cष८ब्र षङ्क्षि मांख्iब्र इ८खब्र ब्षवश्चन। ছাড়িয়া-দিয়া পৰ্ব্বত আরোহণ করিতে যায়, তবে পাশ্ববৰ্ত্তী হিতৈষী ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য যে, তিনি তদণ্ডে মেয়েটিকে বলপুৰ্ব্বক টানিয়াআনিয়া মাতৃক্রোড়ে সমর্পণ করেন । আমি তাই বলিতেছি যে, এলোমেলো পাগলী চিন্তাকে বিপথের কণ্টক বন হইতে বলপুৰ্ব্বক টানিয়া-জানির তাহাকে সাক্ষাৎউপলব্ধির ক্রেগড়ে সমর্পণ করা শুভান্বেষী ব্যক্তির কর্তব্য । ইহারই নাম চিস্তক্ষে । নিরোধ করা । চিস্তাকে রোধ করিলে চিন্তাকে বধ করা হর ন! ;--হয় কেবল চিন্তাকে ৰিপথ হইতে স্বপথে ফিরাইয়। আন ; অমূলক কল্পনা এবং অসম্বন্ধ জল্পনা’র পথ হইতে ৰাস্তবিক-সত্যের পথে ফিরাইর। আন । এই গেল চিত্ত-নিরোধ। এতদ্ব্যতীত, বিগত প্রবন্ধে ঐ কথাটির লেজুড় টানিয়া আর-একটি কথা বলা হইরাছিল এই যে, “ক্ষুদ্র-ব্রহ্মাণ্ডের তত্ত্বালোচনা করিতে গেলেই বৃহৎ-সুহ্মাণ্ডের কথা আপনা-আপনি আসিয়া পড়ে ; যেহেতু উভয়ে উভয়ের সছিত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ওতপ্রোত।” .তুমি হয় তো বলিবে যে, হইতেছে চিত্ত-নিরোধের কথা—মাঝে হইতে বৃহৎ ব্ৰহ্মাণ্ডের কখী জানিয়া তাছার গুরুভার ঐ ক্ষুদ্র বেচারিটির স্বন্ধে চাপাইয়া-দেওয়া হইতেছে কেন ?