পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 88ા বঙ্গদর্শণ। [ ৪র্থ বর্ষ, পৌৰ । " একখানা বড় দিশী নৌকা ভাড়। করিয়া যাত্রা করিলাম। ছুদিনের পথ আসিয়া একটা চরের কাছে নৌকা বাধিয়া স্থান করিতেছি, এমন-সময় হঠাৎ দেখি, আমাদের ভূপেন এক ৰন্মুক ছাতে করিয়া উপস্থিত। আমাকে দেখিয়াই ত সে লাফাইয়া উঠিল, কহিল, শিকার খুজিতে আসিয়া খুব বড় শিকারটাই মিলিয়াছে।’ সে ঐ দিকেই কোথায় ডেপুটিম্যাজিষ্ট্রেটি করিতেছিল—তাবুতে মফস্বলভ্রমণে বাহির হইয়াছে। অনেকদিন পরে দেখা, আমাকে ত কোনোমতেই ছাড়িবে না, সঙ্গে সঙ্গে ঘুরাইয়া বেড়াইতে লাগিল। ধোবাপুকুর বলিয়া একটা জায়গায় একদিন তাহার তাবু পড়িল । বৈকালে আমরা গ্রামে বেড়াইতে বাহির হইয়াছি—নিতাস্তই গওগ্রাম—একটি বৃহৎ ক্ষেতের ধারে একটা প্রাচীর-দেওয়া চালাধরের মধ্যে চুকিয়া পড়িলাম। ঘরের কর্তা উঠানে আমাদের বসিবার জন্ত দুটি মোড় আনির দিলেন। তখন দাওয়ার উপরে ইস্কুল চলিতেছে। প্রাইমারি ইস্কুলের পণ্ডিত একটা কাঠের চৌকিতে বসির ঘরের একটা খুটির গায়ে দুই পা তুলিয়া দিয়াছে। নীচে মাটিতে বসিয়া স্টেহাতে ছেলেরা মহ কোলাহল করিতে করিতে বিদ্যালাত रुद्भि তেছে। বাড়ীর কৰ্ত্তাটির : নাম তারিণী क्रांप्लेषा । छूथरनग्न कारइ ' डिनि उग्न ठब्र করিয়া আমার পরিচয় লইলেন। তাবুতে ফিরিয়া আদিত্ত্বে ভাসিতে ভূপেন বলিল, ‘ওহে, তোমার কপাল ভাল—তোমায় একটা বিবাহের সম্বন্ধ আসিতেছে । আমি বলিলাম, ‘লে কিরকম ? ভূপেন কছিল, ঐ তারিণী চাটুয্যে লোকটি মহাজনী করে, ਾਂ জগতে নাই। ঐ যে ইস্কুলটি বাড়ীতে স্থান দিয়াছে, স্লেজন্ত নূতন ম্যাজিষ্ট্রেটু আসিলেই নিজের লোকহিতৈষিত লইর বিশেষ আড়ম্বর করে । কিন্তু ইস্কুলের পণ্ডিতটাকে কেবলমাত্র বাড়ীতে খাইতে দিয়া রাত দশটা পৰ্য্যন্ত স্বদের হিসাব কসাইয়া লয়, মাইনেটা গৰমেণ্টের সাহায্য এবং ইস্কুলের বেতন হইতে উঠিরা যায়। উহার একটি ৰোনের স্বামিবিয়োগ হইলে পর সে বেচার কোথাও আশ্রয় না পাইয়৷ ইহারই কাছে আসে। সে তখন গর্ভিণী ছিল । এখানে আসিয়া একটি কন্যা প্রসব করিরা নিতান্ত অচিকিৎসাতেই সে • भांब्रा यांच्च । श्रांङ्ग 4कछि दि१२i cबांन घब्रকল্লার সমস্ত কাজ করিয়া ঝি রাখিবার খরচ বঁাচাইত, সে এই মেয়েটিকে মায়ের মত মানুষ করে । মেয়েটি কিছু বড় হইতেই তাহারো মৃত্যু হইল। সেই অবধি মাম ও মামার দাসত্ব করিয়া অহরহ ভৎসনা সক্রিয় মেয়েটি বাড়িয়া উঠিতেছে। বিবাহের বয়স যথেষ্ট হইয়াছে, কিন্তু এমন অনাথায় পাত্র জুটিবে কোথায় ? বিশেষত উহার মাবাপকে এখানকার কেহ জানিত না, পিতৃহীন অবস্থায় উছার জন্ম, ইহা লইয়া পাড়ার ঘোটকৰ্ত্তার যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ , করিয়া থাকেন । তারিণী চাটুয্যের অগাধ টাকা আছে সকলেই জানে, লোকের, ইচ্ছ, এই মেয়ের বিবাহ উপলক্ষ্যে কন্যাসম্বন্ধে খোটা দিয়া উহাকে বেশ একটু দোহন করিয়া লয়। ও ত আজ টারবছর ধরিয়া এই মেয়েটির বুয়স দশ বলির পরিচয় দিয়া জ্বালিতেছে। অতএব, হিসাবমত তার বয়স 'এখন অস্তুত