পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84રું খঙ্গদর্শন। [ ৪র্থ বর্ষ, পোষ। . তিনি কোন সময়ের পূৰ্ব্বে বর্তমান ছিলেন, তাঙ্কু মোটামুটি निर्मब कब्र मिडाँठ अनडब বলিস্ক বোধ হয় না । এই ভাবে বিচারে প্রবৃত্ত হইলে, পাণিনিকে শাক্যসিংহের আবির্ভাবের বহুপূৰ্ব্বকালবৰ্ত্তী বলিয়া স্বীকার করিতে হয় । সে কোন পুরাকালের কথা, তাহা কে বলিতে পারে ? অনুমানমূলে তাহার সীমানির্দেশ করিবার উপায় নাই । পাণিনির সময় পৰ্য্যন্ত যে সকল সাহিত্য ও ব্যাকরণ সংস্কৃতভাষাকে অলঙ্কত করিত, তাহা অবলম্বন করিয়াই পাণিনিস্থত্র সঙ্কলিত হইয়াছিল। উত্তর কালে অন্তান্ত পুরাতন ব্যাকরণ বিলুপ্ত হইয়া পাণিনিব্যাকরণের প্রভাব সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে । গুণ না থাকিলে, এরূপ ঘটনা সংঘটিত হইত ন। কোন গুণে পাণিনিস্বত্র দেশকাল জয় করিয়া অস্কাপি বর্তমান রহিয়াছে ? কোন -গুণে পুনঃপুন পরীক্ষিত ও সমালোচিত হইয়াও, পাণিনিস্থত্র আত্মগৌরব রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছে ? বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ভাষার শব্দীমুশাসনপ্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা করাই প্রধান গুণ । ইহারই নাম প্রকৃত ব্যাকরণ —এইভাবেই শব্দের ব্যাকার বা বুৎপত্তি নির্দেশ করিতে হয় । এই ওল'পামিনিস্বত্র নানা ঐতিহাসিক তথ্যের আধার। হইয়া, ভারতীয় আৰ্য্যসভ্যতার অতিপ্রাচীনত্ব সংস্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছে। পুরাকাল হইতেই পাণিনিসূত্রের বিবিধ ব্যাখ্যা ও সমালোচনা গ্রন্থ রচিত হইতে আরম্ভ করে। তন্মধ্যে কোন গ্রন্থ প্রথম, তাহ! নির্ণয় করিবার প্রমাণ না পাইয়। অনেকে কাত্যায়নের ‘মহাবাৰ্ত্তিক’নামক সমালোচনাকেই প্রথম স্থান প্রদান করিয়া থাকেন । কাত্যায়নের ‘মহাবাৰ্ত্তিক’ পাণিনিস্থত্রের বৃত্তি বা ব্যাখ্যাপুস্তক নহে । ঐ গ্রন্থ এক্ষণে বিলুপ্ত হইলেও, বাক্টিকস্থত্র গুলি বিলুপ্ত হয় নাই। তাহার বিচারে প্রবৃত্ত হইবামাত্র বুঝিতে পারা যায়,—যে সকল হুত্রে বাৰ্ত্তিক সংযোগের প্রয়োজন অনুভূত হইয়াছিল, কাত্যায়ন কেবল তাহারই সমালোচনা করিয়াছিলেন । পতঞ্জলি আবার সেই সকল বাৰ্ত্তিকের সমালোচনা উপলক্ষে ‘ভাষ্য’ রচনা করিয়াছিলেন। সুতরাং ‘মহাভায্যে” অস্তিস্ত সমগ্র পাণিনিস্থত্রের ভাষ্য বা ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয় নাই। -এই কথা স্মরণ না করিয়া অধ্যাপক-ওর্বের প্রমুখ difficulty. Besides the inspired seers of the works which are the root of Hindu belief, Panini is the only one, among those authors of scientific works who may be looked upon as real personages, who is a Rishi in the proper sense of the word, an author supposed tó have had the foundation of his work revealed to him by a divinity. Yet, however we may regret the necessity of leaving this important personage in the chaos which envelopes the historical existence of all ancient Hindu celebrities, it is better to acknowledge this necessity than attach faith to a date dévoid of real substance and resting on no trustworthy testmony- Goldstucker's PANINI, p 87-89.