পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] শ্ৰোতৃৰগের মধ্যে-কতকগুলি পাতৃল-পাতলু নগ্নগাত্র ব্যক্তি অবস্থিত ; শ্বেতজাতীয় দুইচারিটি খোকা-খুকি—( শ্বেতজাতির মধ্যে দুইচারিজনমাত্র এখানে আছে ) রং খুব ফ্যাকাসে --ভারতীয় ধাত্রীর ক্রোড়ে অবস্থিত। তা ছাড়া, দেশীয় শিশুও কতকগুলি ছিল --রাজাদের ছেলে ; কিন্তু কি দুঃখের বিষয়, এখন তাহারা আর নিজেদের জাতীয় পরিচ্ছদ পরিধান করে না, পরন্তু উদ্ভট-অদ্ভুত পাশ্চাত্যপুতুলের ছদ্মবেশ ধারণ করে ; তাম্রবর্ণপত্ত্বেও এই নরপুত্তলিকাগুলি অতি স্বন্দর, আর চোখগুলিও খুব বড়-বড় ও কালো মখমলের মত। এই পগু-উষ্ঠানটি একটু উচ্চভূমির উপর অধিষ্ঠিত হওয়ায়, দুরন্থ ভারতসমুদ্র অল্প অল্প দেখিতে পাওয়া यांब ; किरू ५ नभूप्म खांशंण नाहे ? अछদেশে সমুদ্র বহিজগতের সহিত গতিবিধির পথ বলিয়াই পরিচিভ ; কিন্তু এ অঞ্চলের সমুদ্রট একেবারেই অব্যবহার্য্য ও মঙ্গুষ্যের প্রতিকুলাচারী ;— যোগনিবদ্ধ করা দূরে থাকুক, ৰাহ্যজগতের সহিত উহা যেন অtয়ও বেশি পৃথকৃ করিয়া দেয়। কেন না, এই উপকূলের কোথাও একটি বন্দর নাই ; এমন কি, একখানি নৌকাও নাই, ধীবরও নাই, কেবল চারিদিকে দুলঙ্ঘ্য বীচিমালা । ত্ৰিবজcমর এই "সৌধীল’ দিবাবুলানসময়ে যখন কেবলমাত্র দুইচারিটি বেচারি খোকা ত্ৰিবন্ধুরঃ 8ጭom भूर्किब्र जछ भैकठानवांछ वांनिष्ठ श्छ, তখন ঐ দুরন্থ সমুদ্রের উপচ্ছায়া প্রবাসীর মনে কষ্ট ও বুলদের ভাব আরো ধন বাড়াইয়া তুলেই এক্ষণে স্বৰ্য্যদেৰ অস্ত গেলেন—বড় শীঘ্র অস্ত গেলেন –- ক্ষণেকের জলস্ত মহিমা ; দেখিলে মনে হর, যেন রক্তবর্ণ ভূমির উপর গোলাপি রংমশালের অালো, এবং তৃণপুঞ্জের উপর—দিগন্তব্যাপী দুর্ভেগু বনভূমির উপর— সবুজ রংমশালের আলো পতিত হইয়াছে। তাহার পর অতি শীঘ্ৰ (সহসা বলিলেও হয় ) রাত্রির আবির্ভাব হইল। এখানে দীর্ঘবিলম্বিত গোধূলি নাই— ঠিক একই অপরিবর্তনীয় সময়ে রাত্রি আসিয়া পড়ে—আমাদের দেশের স্তায় এই সময়টি ঋতুর উপর কোন প্রভাব প্রকটিত করে না । উদ্যানে রাত্রিটা যেন আরো বেশি করিয়া দেখা দিয়াছে— কেন না,ইহার ঝোপঝাড়ের স্বfড়পথে, তালপুঞ্জের নীচে–চতুদিকের সকল স্থানই ইহারই মধ্যে ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন । এই সময়ে ব্ৰহ্মার মন্দির হইতে একটা কোলাহল উখিত হইল ; আর সমস্ত অন্যান্ত ইতস্ততোবিকীর্ণ মন্দির হইতে, প্রাতঃকালের ন্যায়, আবার শঙ্খ ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। নারিকেল-ভৈলসিক্ত শতসহস্র প্রদীপ বনভূমিতলে প্রজ্জ্বলিত হইল এবং এই লাল আগুনের আলোকচ্ছটা অন্ধকারাচ্ছন্ন পথসমূহে প্রসারিত হইল । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরণ